‘বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ’

টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে সুখকর কিছু পায়নি বাংলাদেশ। আগের ছয়টি বিশ্বকাপে ২৫ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল পাঁচটি, যার চারটিই বাছাইপর্বে। মূল পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একবার হারিয়েছিল বিশ্বকাপের প্রথম আসরে, নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে। হংকং, আয়ারল্যান্ডের মতো প্রতিপক্ষের কাছে হারের লজ্জাও পেয়েছে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ভালো নয়। তবুও এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার এবং প্রত্যাশার চেয়ে বেশিদূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের বিশ্বাস, এবার সেমিফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। গতকাল গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমার প্রত্যাশা সবসময় ভালো। আমি চিন্তা করি, বাংলাদেশ নিজেদের খেলাটা খেলবে। বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারে, নিউজিল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো বড় বড় দল থাকতে আমরা কিভাবে সেমিফাইনাল খেলব। আমি বলব, এই সংস্করণটা এমন, যে কেউ এখানে যে কাউকে হারাতে পারে।’

দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো। ১৩ ম্যাচে ৯টিই জিতেছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১, নিউজিল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারানোর সুখস্মৃতিও আছে। জিম্বাবুয়ের মাটিতেও জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। জয়ের এই ধারাবাহিকতা ও অভ্যাস গড়ে উঠায় বিশ্বকাপে ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। এবার মাহমুদুল্লাহর হাতে দলের মশাল। সঙ্গে আছে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। আর সাকিব, মুশফিক, সৌম্য, মোস্তাফিজ ও লিটনকে নিয়ে তো অভিজ্ঞতার ভা-ার টইটম্বুর। দলের অলরাউন্ডার শক্তিতে বেশ উজ্জীবিত। এমন দল নিয়ে বেশ আশাবাদী সুজন।

তিনি বলেন, ‘এর আগে এই সংস্করণে ভারতের কাছে জেতা ম্যাচ আমরা হেরেছি। বারবার তো আমরা একই ভুল করব না। আমার দলে মুশফিক, সাকিব, রিয়াদ, মোস্তাফিজের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। লিটন এখন অনেক অভিজ্ঞ, নাঈম শেখ, তারা যদি জ্বলে ওঠে, আমাদের আটকানো মনে হয় মুশকিল হবে।’

১৭ অক্টোবর প্রথম দিনেই মাঠে নামবে ওমান-পাপুয়া নিউগিনি এবং বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড। ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ খেলবে ওমানের বিপক্ষে। ওমান শেষ ম্যাচ খেলবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। আর বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে।

সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১ , ২৬ আশ্বিন ১৪২৮ ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

‘বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ’

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে সুখকর কিছু পায়নি বাংলাদেশ। আগের ছয়টি বিশ্বকাপে ২৫ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল পাঁচটি, যার চারটিই বাছাইপর্বে। মূল পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একবার হারিয়েছিল বিশ্বকাপের প্রথম আসরে, নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে। হংকং, আয়ারল্যান্ডের মতো প্রতিপক্ষের কাছে হারের লজ্জাও পেয়েছে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ভালো নয়। তবুও এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার এবং প্রত্যাশার চেয়ে বেশিদূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের বিশ্বাস, এবার সেমিফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। গতকাল গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমার প্রত্যাশা সবসময় ভালো। আমি চিন্তা করি, বাংলাদেশ নিজেদের খেলাটা খেলবে। বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারে, নিউজিল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো বড় বড় দল থাকতে আমরা কিভাবে সেমিফাইনাল খেলব। আমি বলব, এই সংস্করণটা এমন, যে কেউ এখানে যে কাউকে হারাতে পারে।’

দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো। ১৩ ম্যাচে ৯টিই জিতেছে। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১, নিউজিল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারানোর সুখস্মৃতিও আছে। জিম্বাবুয়ের মাটিতেও জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। জয়ের এই ধারাবাহিকতা ও অভ্যাস গড়ে উঠায় বিশ্বকাপে ভালো করতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। এবার মাহমুদুল্লাহর হাতে দলের মশাল। সঙ্গে আছে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। আর সাকিব, মুশফিক, সৌম্য, মোস্তাফিজ ও লিটনকে নিয়ে তো অভিজ্ঞতার ভা-ার টইটম্বুর। দলের অলরাউন্ডার শক্তিতে বেশ উজ্জীবিত। এমন দল নিয়ে বেশ আশাবাদী সুজন।

তিনি বলেন, ‘এর আগে এই সংস্করণে ভারতের কাছে জেতা ম্যাচ আমরা হেরেছি। বারবার তো আমরা একই ভুল করব না। আমার দলে মুশফিক, সাকিব, রিয়াদ, মোস্তাফিজের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। লিটন এখন অনেক অভিজ্ঞ, নাঈম শেখ, তারা যদি জ্বলে ওঠে, আমাদের আটকানো মনে হয় মুশকিল হবে।’

১৭ অক্টোবর প্রথম দিনেই মাঠে নামবে ওমান-পাপুয়া নিউগিনি এবং বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড। ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ খেলবে ওমানের বিপক্ষে। ওমান শেষ ম্যাচ খেলবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। আর বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে।