চীনে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ২৮

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ শানসিতে অতি বর্ষণ ও বন্যার কারণে কমপক্ষে ২৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত নদীতে একটি বাস ডুবে ১৩ জন মারা গেছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

বার্তা সংস্থাটি বলছে, চীনের উত্তরাঞ্চলীয় এই প্রদেশটি মূলত শুষ্ক অঞ্চল। গত এক সপ্তাহে সেখানে তিন মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে হচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। এর ফলে প্রদেশটির ৭০টি জেলাসহ বিভিন্ন শহরে দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধস।

এদিকে চীনের শানসি প্রদেশটি কয়লা খনি অধ্যুষিত প্রদেশ হিসেবে পরিচিত। তীব্র বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে প্রদেশটির কমপক্ষে ৬০টি কয়লাখনি অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা ওয়াং কিরুই এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, চারটি ছাড়া বাকি সকল খনিতেই ফের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওয়াং আরও জানিয়েছেন, দুর্যোগপূর্ণ এই আবহাওয়ার কারণে প্রায় ১৯ হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ১৮ হাজার স্থাপনা ‘মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মকর্তা জানান, মুষলধারে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া আরও তিন জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।’

অন্যদিকে বার্তাসংস্থা এপি এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, বন্যার পানিতে প্লাবিত একটি নদীতে বাস ডুবে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। চীনা কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, নদীতে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া ওই বাসের ১৩ যাত্রী মারা গেলেও বাসটি থেকে ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরও এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় বাসচালককে আটক করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

এএফপি জানিয়েছে, শানসি প্রদেশে বন্যার কারণে কমপক্ষে ১৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এদিকে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতা করতে গিয়ে ভূমিধসের কবলে পড়ে শানসিতে এখন পর্যন্ত ৪ পুলিশ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।

বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১ , ২৮ আশ্বিন ১৪২৮ ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চীনে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ২৮

image

বন্যাকবলিত মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন চীনা জরুরি বিভাগের কর্মীরা -রয়টার্স

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ শানসিতে অতি বর্ষণ ও বন্যার কারণে কমপক্ষে ২৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত নদীতে একটি বাস ডুবে ১৩ জন মারা গেছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

বার্তা সংস্থাটি বলছে, চীনের উত্তরাঞ্চলীয় এই প্রদেশটি মূলত শুষ্ক অঞ্চল। গত এক সপ্তাহে সেখানে তিন মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে হচ্ছে ঝড়ো হাওয়া। এর ফলে প্রদেশটির ৭০টি জেলাসহ বিভিন্ন শহরে দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধস।

এদিকে চীনের শানসি প্রদেশটি কয়লা খনি অধ্যুষিত প্রদেশ হিসেবে পরিচিত। তীব্র বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে প্রদেশটির কমপক্ষে ৬০টি কয়লাখনি অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা ওয়াং কিরুই এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে, চারটি ছাড়া বাকি সকল খনিতেই ফের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওয়াং আরও জানিয়েছেন, দুর্যোগপূর্ণ এই আবহাওয়ার কারণে প্রায় ১৯ হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও ১৮ হাজার স্থাপনা ‘মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মকর্তা জানান, মুষলধারে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া আরও তিন জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।’

অন্যদিকে বার্তাসংস্থা এপি এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, বন্যার পানিতে প্লাবিত একটি নদীতে বাস ডুবে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। চীনা কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, নদীতে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া ওই বাসের ১৩ যাত্রী মারা গেলেও বাসটি থেকে ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরও এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় বাসচালককে আটক করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

এএফপি জানিয়েছে, শানসি প্রদেশে বন্যার কারণে কমপক্ষে ১৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এদিকে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতা করতে গিয়ে ভূমিধসের কবলে পড়ে শানসিতে এখন পর্যন্ত ৪ পুলিশ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।