অঘোষিত সেমিফাইনাল আজ

১৬ বছর ধরে সাফের ফানাইলে যেতে পারছে না বাংলাদেশ ফুটবল দল। এবার শেষ সমীকরণে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। তবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাগতিক মালদ্বীপের কাছে হেরে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। তাই লীগ পদ্ধতিতে বুধবার শেষ ম্যাচ জামাল ভূঁইয়াদের। ডু অর ডাই ম্যাচও। জিতলে ফাইনালে খেলবে। হারলে বিদায় নেবে। হিমালয় কণ্যার দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশের অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৫টায়। টি স্পোর্টস সরাসরি সম্প্রচার করবে ম্যাচটি। 

তিন বছর আগের স্মৃতি ফিরে এসেছে পর্যটনের জন্য বিখ্যাত নগরী মালেতে। ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এই নেপালের বিপক্ষে ড্র করলেই সেমিফাইনালে চলে যেতেন জামাল ভূইয়ারা। কিন্তু ২-০ গোলে হেরে ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টে দর্শক বনে যান তপু বর্মন-সাদ উদ্দিনরা।

সেই একই অবস্থানে এবার দাঁড়িয়ে লাল-সবুজের দলটি। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া নেপালের জন্য ফাইনালে ওঠার সমীকরণ মেলাতে হলে প্রয়োজন শুধুমাত্র ড্র। সমান ম্যাচে চার পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের সামনে ফাইনালে যাওয়ার একটাই পথ, সেটা হলো জয়। নেপালকে হারালেই ২০০৫ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ টুর্নামেন্টের শিরোপা মঞ্চে পা রাখবে লাল-সবুজের দলটি। তবে হাল ছাড়ছেন না রাকিব-বিশ্বনাথরা। মালদ্বীপের কাছে হারের জন্য টানা ম্যাচ খেলায় ক্লান্তিকে সামনে এনেছেন ফুটবলাররা। পাঁচ দিনের বিরতিতে সতেজ হয়েই হিমালয়ের দেশটির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর নেপাল বিশ্রাম পেয়েছে মাত্র দুইদিন। এই জায়গাতে বাংলাদেশ এগিয়ে।

 কিন্তু র‌্যাংকিং এবং সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে নেপালের চেয়ে পিছিয়ে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। র‌্যাংকিংয়ে ১৮৯ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ ২১ ধাপ পিছিয়ে নেপালের (১৬৮) চেয়ে। মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৩-৮ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও কাছে অতীতের দেখায় নেপালের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ২৯ মার্চ কাঠমান্ডুতে তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হিমালয়ের দেশটির কাছে ২-১ গোলে হেরেছিলেন জামালরা। সেই ম্যাচের কোচ ছিলেন জেমি ডে।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাতবারের লড়াইয়ের প্রথম চার ম্যাচেই নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সর্বশেষ তিনবারের সাক্ষাতে হিমালয়ের দেশটির সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। যে কারণে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে ব্রুজোনের শিষ্যরা। তবে তিন বছর আগে বা সাত মাস আগে কী হয়েছে- তা নিয়ে পড়ে থাকতে চান না বাংলাদেশ স্প্যানিশ কোচ। নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার আশা তার।

মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ় প্রত্যয় বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোনের কন্ঠে,‘এখন আমরা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে ফাইনাল থেকে মাত্র এক পা দূরে। বাংলাদেশের সবারই চাওয়া ফাইনালে খেলা। ছেলেরা এখনও পর্যন্ত দারুণ কাজ করে এসেছে। আমাদের ফুটবলে যে উন্নতি হচ্ছে তা আগামীকাল (বুধবার) মাঠেই প্রমাণের সুযোগ। আমার দল পুর্ণশক্তি এবং উদ্দীপনা নিয়ে মাঠে নামবে। আশা করি ফাইনালে খেলতে পারব।’

 অধিনায়ক জামাল  ভূঁইয়া বলেন,‘ আগে কি হয়েছিল সেটা আর মনে করতে চাই না। আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের এই দলটি ভালো। লিগের সেরা খেলোয়াড়রা এই দলে রয়েছে। আমরা ইতিহাস তৈরি করতে পারি। গোলের সংকট বা স্কোরিং নিয়ে সমস্যা এটা মিডিয়ার কথা। আমি কোণ সংকট দেখি না। ১১ জনের মধ্যে যে কেউ গোল করতে পারে। বাংলাদেশ দলের হয়ে যে কেউ গোল করলেই হয়। মালদ্বীপে আমরা অনেক সমর্থন পাচ্ছি। আশা করি, আগামী ম্যাচেও এর ধারাবাহিকতা থাকবে। মালদ্বীপ ম্যাচ খুব কম টিকিট পেয়েছিল বাংলাদেশিরা। এই ম্যাচে অনেকে আসবে, সবাই সমর্থন দেবে ’।

বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১ , ২৮ আশ্বিন ১৪২৮ ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

অঘোষিত সেমিফাইনাল আজ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

১৬ বছর ধরে সাফের ফানাইলে যেতে পারছে না বাংলাদেশ ফুটবল দল। এবার শেষ সমীকরণে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। তবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাগতিক মালদ্বীপের কাছে হেরে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। তাই লীগ পদ্ধতিতে বুধবার শেষ ম্যাচ জামাল ভূঁইয়াদের। ডু অর ডাই ম্যাচও। জিতলে ফাইনালে খেলবে। হারলে বিদায় নেবে। হিমালয় কণ্যার দেশটির বিপক্ষে বাংলাদেশের অঘোষিত সেমিফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৫টায়। টি স্পোর্টস সরাসরি সম্প্রচার করবে ম্যাচটি। 

তিন বছর আগের স্মৃতি ফিরে এসেছে পর্যটনের জন্য বিখ্যাত নগরী মালেতে। ২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এই নেপালের বিপক্ষে ড্র করলেই সেমিফাইনালে চলে যেতেন জামাল ভূইয়ারা। কিন্তু ২-০ গোলে হেরে ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টে দর্শক বনে যান তপু বর্মন-সাদ উদ্দিনরা।

সেই একই অবস্থানে এবার দাঁড়িয়ে লাল-সবুজের দলটি। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া নেপালের জন্য ফাইনালে ওঠার সমীকরণ মেলাতে হলে প্রয়োজন শুধুমাত্র ড্র। সমান ম্যাচে চার পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের সামনে ফাইনালে যাওয়ার একটাই পথ, সেটা হলো জয়। নেপালকে হারালেই ২০০৫ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ টুর্নামেন্টের শিরোপা মঞ্চে পা রাখবে লাল-সবুজের দলটি। তবে হাল ছাড়ছেন না রাকিব-বিশ্বনাথরা। মালদ্বীপের কাছে হারের জন্য টানা ম্যাচ খেলায় ক্লান্তিকে সামনে এনেছেন ফুটবলাররা। পাঁচ দিনের বিরতিতে সতেজ হয়েই হিমালয়ের দেশটির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর নেপাল বিশ্রাম পেয়েছে মাত্র দুইদিন। এই জায়গাতে বাংলাদেশ এগিয়ে।

 কিন্তু র‌্যাংকিং এবং সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে নেপালের চেয়ে পিছিয়ে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। র‌্যাংকিংয়ে ১৮৯ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ ২১ ধাপ পিছিয়ে নেপালের (১৬৮) চেয়ে। মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৩-৮ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও কাছে অতীতের দেখায় নেপালের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। চলতি বছরের ২৯ মার্চ কাঠমান্ডুতে তিন জাতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হিমালয়ের দেশটির কাছে ২-১ গোলে হেরেছিলেন জামালরা। সেই ম্যাচের কোচ ছিলেন জেমি ডে।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাতবারের লড়াইয়ের প্রথম চার ম্যাচেই নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সর্বশেষ তিনবারের সাক্ষাতে হিমালয়ের দেশটির সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। যে কারণে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে ব্রুজোনের শিষ্যরা। তবে তিন বছর আগে বা সাত মাস আগে কী হয়েছে- তা নিয়ে পড়ে থাকতে চান না বাংলাদেশ স্প্যানিশ কোচ। নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার আশা তার।

মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ় প্রত্যয় বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোনের কন্ঠে,‘এখন আমরা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি যেখানে ফাইনাল থেকে মাত্র এক পা দূরে। বাংলাদেশের সবারই চাওয়া ফাইনালে খেলা। ছেলেরা এখনও পর্যন্ত দারুণ কাজ করে এসেছে। আমাদের ফুটবলে যে উন্নতি হচ্ছে তা আগামীকাল (বুধবার) মাঠেই প্রমাণের সুযোগ। আমার দল পুর্ণশক্তি এবং উদ্দীপনা নিয়ে মাঠে নামবে। আশা করি ফাইনালে খেলতে পারব।’

 অধিনায়ক জামাল  ভূঁইয়া বলেন,‘ আগে কি হয়েছিল সেটা আর মনে করতে চাই না। আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের এই দলটি ভালো। লিগের সেরা খেলোয়াড়রা এই দলে রয়েছে। আমরা ইতিহাস তৈরি করতে পারি। গোলের সংকট বা স্কোরিং নিয়ে সমস্যা এটা মিডিয়ার কথা। আমি কোণ সংকট দেখি না। ১১ জনের মধ্যে যে কেউ গোল করতে পারে। বাংলাদেশ দলের হয়ে যে কেউ গোল করলেই হয়। মালদ্বীপে আমরা অনেক সমর্থন পাচ্ছি। আশা করি, আগামী ম্যাচেও এর ধারাবাহিকতা থাকবে। মালদ্বীপ ম্যাচ খুব কম টিকিট পেয়েছিল বাংলাদেশিরা। এই ম্যাচে অনেকে আসবে, সবাই সমর্থন দেবে ’।