আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ

দুই ঘাটে যানজট যাত্রীদের দুর্ভোগ

আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ পড়েছে। ফলে দুই ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাড়ে দীর্ঘ যানজটের কারণে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই রুটের গাড়িগুলো পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করছে। যে কারণে এ ঘাটে বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়েছে।

এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে একটি ব্রিজের মেরামত কাজ হওয়ায় ওয়ান ওয়ে পদ্ধতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে সেতুর দুই পাড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই রুটের উরাঞ্চলের অনেক গাড়ি আরিচা ঘাট ব্যবহার করছে। ফলে আরিচা ঘাটেও যানবাহনের চাপ অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বল্প সংখ্যক ফেরি দিয়ে বাড়তি যানবাহনের চাপ সামাল দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে আরও ফেরি বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন ফেরি কর্তৃপক্ষ।

গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, আরিচা ফেরি ঘাট এলাকা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচা বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। পাশাপাশি অনেক ছোট গাড়ির ভিড়ও দেখা গেছে ঘাট এলাকায়। টার্মিনালেও শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে।

এদিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকাতেও ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। পাটুরিয়া ঘাটে দুটি টার্মিনালেও ৬ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে। এদিকে যাত্রীবাহী যানবাহন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পার করার উদ্দেশ্যে এবং ঘাট এলাকা যানজট মুক্ত রাখতে উথলী-পাটুরিয়া ইন্টারসেকশন (মোড়) থেকে আরিচার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উপর যানবাহন আটকিয়ে রাখছে পুলিশ। এতে দফায় দফায় যানজটের সৃষ্টি হয়ে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যানজট হওয়ায় উত্তারাঞ্চলের যাত্রীবাহী দূরপাল্লার কিছু পরিবহণ আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট ব্যবহার করছে। গতকাল বিকেলে আরিচা ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বেশ কিছু কোচ ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ফেরি লোড-আনলোডের রাস্তায় এবং সম্পূর্ণ টার্মিনাল জুড়ে ফেরি পার হতে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে নিয়ম ভঙ্গ করে পেছনের গাড়ি আগে সিরিয়াল দেয়ার। কারণে এই এলোমেলো অবস্থা আর এই অনিয়মের কারণে ঘাটে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দীর্ঘসময় লাগছে ঘাটের ফেরি লোড-আনলোড হতে। এছাড়াও আরিচা ঘাট এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় কোন শৃঙ্খলা রক্ষা করা যাচ্ছে না বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন। ফলে ফেরি পার হতে আসা গাড়িগুলো ফেরিতে উঠার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করে দিচ্ছে এবং একই সময় গাড়ির চাপাচাপিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেক গাড়ি। গাড়িগুলো এমন এলোপাতাড়ি প্রতিযোগিতায় যেকোন সময় ঘাট এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকেই।

আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে যানবাহনের তুলনায় ফেরি না থাকায় প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদের। গাড়িগুলোকে ফেরি পার হতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরিচা ঘাটে।

ট্রাক চালক মো. আলমাস বলেন, আরিচা ঘাট এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় কোন শৃঙ্খলা নেই। ফলে যে যার মতো করে গাড়ি পার্কিং করে রাখছে। বিশেষ করে ফেরি লোড-আনলোডের রাস্তায় গাড়ি এলোমেলোভাবে রাখায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। আরিচা ঘাটে দিক নির্দেশনা দেয়ার মতো কোন লোক নেই। যে কারণে ঘাটে ফেরি আসলে এদিক-ওদিক ছোটাছোটি করতে হয় গাড়ি চালকদের। এতে নির্ধারিত সময়ে ফেরি পার হতে সমস্যা হচ্ছে। যেমন, আমি গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেরি পার হওয়ার জন্য আরিচা ঘাটে আসি। কিন্তু ফেরি কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে শনিবারও ফেরি পার হতে পারিনি।

ট্রাক চালক আবুল হাসেম বলেন, আমারা বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে চলাচল করি। কিন্তু ওই দিকে সমস্যা হওয়ায় আরিচা ঘাট হয়ে আসছি। ফেরি স্বাল্পতার কারণে এখানেও সমস্যা। আমি গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় আরিচা ঘাটে আসি। কিন্তু গতকাল বিকেলেও ফেরি পার হতে পারিনি। এ নৌরুটে আরও ফেরি বাড়ানোর দরকার বলে তিনি মনে করেন।

যাত্রীবাহী দূরপাল্লার কোচের এক চালক বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাড়ে দীর্ঘ যানজটের কারণে আরিচা ঘাট হয়ে আসলাম। কিন্তু এখানেও সমস্যা। ফেরি সংকটের কারণে তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ফেরির নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা ঘাটের ম্যানেজার আবু আবদুল্লাহ বলেন, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট চালু হবার পর দিন দিন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের সংখ্যা বেড়েছে অনেক।

কিন্তু যানবাহনের তুলনায় ফেরি সংকট হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। পার হতে আসা গাড়িগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বর্তমানে এ নৌরুটে যে দুটি ফেরি রয়েছে তা অনেক দিনের পুরানো এবং লক্কর-ঝক্কর মার্কা।

আরিচা থেকে কাজিরহাট যাতায়াতে এ ফেরি দুটির ৪ ঘণ্টা সময় লাগছে। এতে ৪/৫টির বেশি ট্রিপ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ নৌরুটে আরও ফেরি বাড়ানো দরকার বলে তিনি মনে করেন। ফেরি বাড়ালে এ সমস্যা থাকবে না বলেও তিনি জানান।

শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১ , ৩১ আশ্বিন ১৪২৮ ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ

দুই ঘাটে যানজট যাত্রীদের দুর্ভোগ

রফিকুল ইসলাম, প্রতিনিধি, শিবালয়

image

যানজটে আটকা পড়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন গাড়ির চালক ও সহকারীরা -সংবাদ

আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ পড়েছে। ফলে দুই ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাড়ে দীর্ঘ যানজটের কারণে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালিয়া নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই রুটের গাড়িগুলো পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করছে। যে কারণে এ ঘাটে বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়েছে।

এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে একটি ব্রিজের মেরামত কাজ হওয়ায় ওয়ান ওয়ে পদ্ধতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে সেতুর দুই পাড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই রুটের উরাঞ্চলের অনেক গাড়ি আরিচা ঘাট ব্যবহার করছে। ফলে আরিচা ঘাটেও যানবাহনের চাপ অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বল্প সংখ্যক ফেরি দিয়ে বাড়তি যানবাহনের চাপ সামাল দেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে আরও ফেরি বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন ফেরি কর্তৃপক্ষ।

গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, আরিচা ফেরি ঘাট এলাকা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচা বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। পাশাপাশি অনেক ছোট গাড়ির ভিড়ও দেখা গেছে ঘাট এলাকায়। টার্মিনালেও শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে।

এদিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকাতেও ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। পাটুরিয়া ঘাটে দুটি টার্মিনালেও ৬ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে। এদিকে যাত্রীবাহী যানবাহন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পার করার উদ্দেশ্যে এবং ঘাট এলাকা যানজট মুক্ত রাখতে উথলী-পাটুরিয়া ইন্টারসেকশন (মোড়) থেকে আরিচার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উপর যানবাহন আটকিয়ে রাখছে পুলিশ। এতে দফায় দফায় যানজটের সৃষ্টি হয়ে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যানজট হওয়ায় উত্তারাঞ্চলের যাত্রীবাহী দূরপাল্লার কিছু পরিবহণ আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট ব্যবহার করছে। গতকাল বিকেলে আরিচা ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বেশ কিছু কোচ ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ফেরি লোড-আনলোডের রাস্তায় এবং সম্পূর্ণ টার্মিনাল জুড়ে ফেরি পার হতে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে নিয়ম ভঙ্গ করে পেছনের গাড়ি আগে সিরিয়াল দেয়ার। কারণে এই এলোমেলো অবস্থা আর এই অনিয়মের কারণে ঘাটে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দীর্ঘসময় লাগছে ঘাটের ফেরি লোড-আনলোড হতে। এছাড়াও আরিচা ঘাট এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় কোন শৃঙ্খলা রক্ষা করা যাচ্ছে না বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছেন। ফলে ফেরি পার হতে আসা গাড়িগুলো ফেরিতে উঠার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু করে দিচ্ছে এবং একই সময় গাড়ির চাপাচাপিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেক গাড়ি। গাড়িগুলো এমন এলোপাতাড়ি প্রতিযোগিতায় যেকোন সময় ঘাট এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকেই।

আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে যানবাহনের তুলনায় ফেরি না থাকায় প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রী এবং যানবাহন শ্রমিকদের। গাড়িগুলোকে ফেরি পার হতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরিচা ঘাটে।

ট্রাক চালক মো. আলমাস বলেন, আরিচা ঘাট এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় কোন শৃঙ্খলা নেই। ফলে যে যার মতো করে গাড়ি পার্কিং করে রাখছে। বিশেষ করে ফেরি লোড-আনলোডের রাস্তায় গাড়ি এলোমেলোভাবে রাখায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। আরিচা ঘাটে দিক নির্দেশনা দেয়ার মতো কোন লোক নেই। যে কারণে ঘাটে ফেরি আসলে এদিক-ওদিক ছোটাছোটি করতে হয় গাড়ি চালকদের। এতে নির্ধারিত সময়ে ফেরি পার হতে সমস্যা হচ্ছে। যেমন, আমি গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেরি পার হওয়ার জন্য আরিচা ঘাটে আসি। কিন্তু ফেরি কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণে শনিবারও ফেরি পার হতে পারিনি।

ট্রাক চালক আবুল হাসেম বলেন, আমারা বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে চলাচল করি। কিন্তু ওই দিকে সমস্যা হওয়ায় আরিচা ঘাট হয়ে আসছি। ফেরি স্বাল্পতার কারণে এখানেও সমস্যা। আমি গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় আরিচা ঘাটে আসি। কিন্তু গতকাল বিকেলেও ফেরি পার হতে পারিনি। এ নৌরুটে আরও ফেরি বাড়ানোর দরকার বলে তিনি মনে করেন।

যাত্রীবাহী দূরপাল্লার কোচের এক চালক বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাড়ে দীর্ঘ যানজটের কারণে আরিচা ঘাট হয়ে আসলাম। কিন্তু এখানেও সমস্যা। ফেরি সংকটের কারণে তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ফেরির নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা ঘাটের ম্যানেজার আবু আবদুল্লাহ বলেন, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট চালু হবার পর দিন দিন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের সংখ্যা বেড়েছে অনেক।

কিন্তু যানবাহনের তুলনায় ফেরি সংকট হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। পার হতে আসা গাড়িগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বর্তমানে এ নৌরুটে যে দুটি ফেরি রয়েছে তা অনেক দিনের পুরানো এবং লক্কর-ঝক্কর মার্কা।

আরিচা থেকে কাজিরহাট যাতায়াতে এ ফেরি দুটির ৪ ঘণ্টা সময় লাগছে। এতে ৪/৫টির বেশি ট্রিপ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ নৌরুটে আরও ফেরি বাড়ানো দরকার বলে তিনি মনে করেন। ফেরি বাড়ালে এ সমস্যা থাকবে না বলেও তিনি জানান।