স্ব স্ব স্থানে সার বিক্রি করছেন না ডিলাররা! ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

কলারোয়ায় বিসিআইসি সার ডিলাররা নির্ধারিত ইউনিয়নে সার বিক্রয় না করায় কৃষকরা সার কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। সেই সঙ্গে ভ্যান ভাড়া করে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কলারোয়া বাজার থেকে সার কিনতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে কৃষকদের।

জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৩টি সরকারী বিসিআইসি ডিলার নিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা বাজারের ডিলার মেসার্স রহমাতুল্লাহ। তিনি তার ইউনিয়নে সার বিক্রয় না করে কলারোয়া বাজারের শ্রীপতিপুরে গোডাউন করে সেখানে বসে সার বিক্রয় করছেন। একই ভাবে লাঙ্গলঝাড়ার ডিলার মেসার্স আরবিএল কন্সট্রাকশান। তিনি কলারোয়া বাজারের কোল্ডষ্টোরের পাশের্^ গোডাউন করে সার বিক্রয় করছেন। কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ডিলার মেসার্স আজিজুর রহমান। তিনি কলারোয়া বাজারের হাসপাতাল রোড়ে নিজ বাসা বাড়ীতে গোডাউন করে সার বিক্রয় করছেন। হেলাতলা ইউনিয়নের ডিলার মেসার্স আশরাফ আলী।

তিনি কলারোয়া বাজারের হাসপাতাল সড়কে সার বিক্রয় করছেন। দেয়াড়া ইউনিয়নের ডিলার উচ্ছাস এন্টারপ্রাইজ। তিনি কলারোয়া বাজারের বেত্রাবতী হাইস্কুল সংলগ্ন সরসকাটি রোড়ে গোডাউন করে সার বিক্রয় করছেন। আর এই ডিলারগণ তাদের নির্ধারিত ইউনিয়নে সার বিক্রয় না করার কারণে এলাকার কৃষকরা সার কিনতে গিয়ে ব্যাপক ভাবে হয়রানী শিকার হতে হচ্ছে। একে সময় যাচ্ছে আর এক ভ্যান ভাড়া করে ইউনিয়নের কৃষকরা কলারোয়ায় এসে সার কিনতে হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখানে সরকারের দেয়া ভর্তুকি কৃষকদের কোন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের। অভিযোগ রয়েছে, সারের সঙ্কট হলে এই সকল ডিলারগণ উচ্চদামে সার বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে কলারোয়ায় সার সঙ্কট সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে কলারোয়া পৌরসভার বিসিআইসি ডিলার আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি অনেকবার উপজেলা কৃষি অফিসকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। তাই আর কাউকে কিছু বলেন না। কৃষক নুর ইসলাম জানান কেঁড়াগাছি থেকে ৯০ টাকা দিয়ে ভ্যান ভাড়া করে ৫ বস্তা সার নিতে তিনি কলারোয়ায় এসেছেন।

তিনি আরো বলেন, কেঁড়াগাছিতে সার থাকলে তার ৯০টাকা অতিরিক্ত খরচা হতো না। এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ইতিমধ্যে প্রত্যেক বিসিআইসি ডিলারকে তাদের স্ব স্ব স্থানে সার বিক্রয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নোটিস প্রদান করেছি। আগামী সোমবার এ বিষয়সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদে জরুরি মিটিং এর আহবান করা হয়েছে। এদিকে উপজেলার কৃষকগণের দাবি বিসিআইসি সার ডিলাররা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে সার বিক্রি করতে হবে। নইলে ওই সকল ডিলারদের লাইন্সেস বাতিল করে নতুন করে বিসিআইসি ডিলার নিয়োগ পূর্বক কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের হাত থেকে রক্ষা করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরও খবর
সিদ্ধিরগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা : নিন্দা
গাঁজা সেবনের অপবাদে ক্ষুব্ধ : ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত
আগ্নেয়াস্ত্রসহ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
গোলায় ভরার মুহূর্তে আমনে পোকা : কীটনাশকেও মরছে না
আটপাড়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে ৩ কিমি. সড়ক সংস্কার
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ
করিমগঞ্জে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের কর্তারা
রাজাপুরে অগ্নিসংযোগ মতুয়া মন্দিরে
কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : অসুস্থ ৩
চিকিৎসার অভাবে ১৯ বছর শিকলবন্দী মানসিক ভারসাম্যহীন হাসান
মোংলা বন্দরে দিন দিন বাড়ছে পোশাক রপ্তানি
রাজশাহীতে নানা অপরাধে আটক ৩০

শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১ , ০৬ কার্তিক ১৪২৮ ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

স্ব স্ব স্থানে সার বিক্রি করছেন না ডিলাররা! ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

প্রতিনিধি, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)

কলারোয়ায় বিসিআইসি সার ডিলাররা নির্ধারিত ইউনিয়নে সার বিক্রয় না করায় কৃষকরা সার কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। সেই সঙ্গে ভ্যান ভাড়া করে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কলারোয়া বাজার থেকে সার কিনতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে কৃষকদের।

জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভাসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৩টি সরকারী বিসিআইসি ডিলার নিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা বাজারের ডিলার মেসার্স রহমাতুল্লাহ। তিনি তার ইউনিয়নে সার বিক্রয় না করে কলারোয়া বাজারের শ্রীপতিপুরে গোডাউন করে সেখানে বসে সার বিক্রয় করছেন। একই ভাবে লাঙ্গলঝাড়ার ডিলার মেসার্স আরবিএল কন্সট্রাকশান। তিনি কলারোয়া বাজারের কোল্ডষ্টোরের পাশের্^ গোডাউন করে সার বিক্রয় করছেন। কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের ডিলার মেসার্স আজিজুর রহমান। তিনি কলারোয়া বাজারের হাসপাতাল রোড়ে নিজ বাসা বাড়ীতে গোডাউন করে সার বিক্রয় করছেন। হেলাতলা ইউনিয়নের ডিলার মেসার্স আশরাফ আলী।

তিনি কলারোয়া বাজারের হাসপাতাল সড়কে সার বিক্রয় করছেন। দেয়াড়া ইউনিয়নের ডিলার উচ্ছাস এন্টারপ্রাইজ। তিনি কলারোয়া বাজারের বেত্রাবতী হাইস্কুল সংলগ্ন সরসকাটি রোড়ে গোডাউন করে সার বিক্রয় করছেন। আর এই ডিলারগণ তাদের নির্ধারিত ইউনিয়নে সার বিক্রয় না করার কারণে এলাকার কৃষকরা সার কিনতে গিয়ে ব্যাপক ভাবে হয়রানী শিকার হতে হচ্ছে। একে সময় যাচ্ছে আর এক ভ্যান ভাড়া করে ইউনিয়নের কৃষকরা কলারোয়ায় এসে সার কিনতে হচ্ছে। এতে করে কৃষকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখানে সরকারের দেয়া ভর্তুকি কৃষকদের কোন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের। অভিযোগ রয়েছে, সারের সঙ্কট হলে এই সকল ডিলারগণ উচ্চদামে সার বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে কলারোয়ায় সার সঙ্কট সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে কলারোয়া পৌরসভার বিসিআইসি ডিলার আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি অনেকবার উপজেলা কৃষি অফিসকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। তাই আর কাউকে কিছু বলেন না। কৃষক নুর ইসলাম জানান কেঁড়াগাছি থেকে ৯০ টাকা দিয়ে ভ্যান ভাড়া করে ৫ বস্তা সার নিতে তিনি কলারোয়ায় এসেছেন।

তিনি আরো বলেন, কেঁড়াগাছিতে সার থাকলে তার ৯০টাকা অতিরিক্ত খরচা হতো না। এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ইতিমধ্যে প্রত্যেক বিসিআইসি ডিলারকে তাদের স্ব স্ব স্থানে সার বিক্রয় করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নোটিস প্রদান করেছি। আগামী সোমবার এ বিষয়সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদে জরুরি মিটিং এর আহবান করা হয়েছে। এদিকে উপজেলার কৃষকগণের দাবি বিসিআইসি সার ডিলাররা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে সার বিক্রি করতে হবে। নইলে ওই সকল ডিলারদের লাইন্সেস বাতিল করে নতুন করে বিসিআইসি ডিলার নিয়োগ পূর্বক কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তের হাত থেকে রক্ষা করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।