১০ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা

গত সপ্তাহটিতে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে তিন কার্যদিবসই পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে, যার কারণে আগের সপ্তাহে ও গত সপ্তাহে (১৭-২১ অক্টোবর) পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনি দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। পতনের কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার মূলধন।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮০ হাজার ১১২ কোটি ৮১ লাখ ৩ হাজার ৪০ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ কোটি ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ২৬১ কোটি ৫৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৪৩ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৩৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ৬২ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন তিন হাজার ১৯ কোটি ৮ লাখ ১৯ হাজার ২১৮ টাকা বা ৩৩ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৭.০৪ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭৬.২৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪৯.২৭ পয়েন্ট বা ৩.১৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৯.৮০ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৫১৮.১৬ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬৯৯.৩৪ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩১টির বা ৮.২০ শতাংশের, কমেছে ৩৩৮টির বা ৮৯.৪২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির বা ২.৩৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২২৮ কোটি ৯৮ লাখ ১২ হাজার ২৪৮ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার ০১৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৯৬ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৫ টাকা বা ৩০ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২৩.৩৭ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৯৩.৩৫ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৪৯.০৮ পয়েন্ট বা ১.৯৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮৬.২০ পয়েন্ট বা ১.৮৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৫.৬৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ এবং সিএসআই ৫০.৯৮ পয়েন্ট বা ৩.৭৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৪৩৩.৮৯ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৭৯১.৩০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫৫৮.৬০ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩০০.৯৪ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪১টির বা ১২.২৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৮৬টির বা ৮৫.৩৭ শতাংশের কমেছে এবং ৮টির বা ২.৩৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দুই শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৯.৫২ পয়েন্টে, যা সপ্তাহ শেষে ১৯.১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৩৭ পয়েন্ট বা ১.৯০ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৬০ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩০.৪৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪১.৮০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০.৭৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৩৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২০.৬৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৭.৪৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৯.৭৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১২.৬৩ শতাংশ, চামড়া খাতের ৩৭.২৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৩.২০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৭৭.৭৬ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩৫৩.৫৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৩.০৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৫.০৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩১.৮২ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৩.২১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৫.৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১ , ০৭ কার্তিক ১৪২৮ ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

১০ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

গত সপ্তাহটিতে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে তিন কার্যদিবসই পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে, যার কারণে আগের সপ্তাহে ও গত সপ্তাহে (১৭-২১ অক্টোবর) পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনি দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও। পতনের কারণে সপ্তাহটিতে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার মূলধন।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮০ হাজার ১১২ কোটি ৮১ লাখ ৩ হাজার ৪০ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫১ কোটি ২৪ লাখ ৬১ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার ২৬১ কোটি ৫৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৪৩ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৩৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯ হাজার ৬২ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন তিন হাজার ১৯ কোটি ৮ লাখ ১৯ হাজার ২১৮ টাকা বা ৩৩ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬৭.০৪ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৭৬.২৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪৯.২৭ পয়েন্ট বা ৩.১৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৯.৮০ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৫১৮.১৬ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬৯৯.৩৪ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩১টির বা ৮.২০ শতাংশের, কমেছে ৩৩৮টির বা ৮৯.৪২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির বা ২.৩৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২২৮ কোটি ৯৮ লাখ ১২ হাজার ২৪৮ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার ০১৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৯৬ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৫ টাকা বা ৩০ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২৩.৩৭ পয়েন্ট বা ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৯৩.৩৫ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৪৯.০৮ পয়েন্ট বা ১.৯৬ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮৬.২০ পয়েন্ট বা ১.৮৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৫.৬৮ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ এবং সিএসআই ৫০.৯৮ পয়েন্ট বা ৩.৭৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৪৩৩.৮৯ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ৭৯১.৩০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৫৫৮.৬০ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩০০.৯৪ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪১টির বা ১২.২৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৮৬টির বা ৮৫.৩৭ শতাংশের কমেছে এবং ৮টির বা ২.৩৯ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দুই শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৯.৫২ পয়েন্টে, যা সপ্তাহ শেষে ১৯.১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৩৭ পয়েন্ট বা ১.৯০ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৬০ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৩০.৪৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৪১.৮০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২০.৭৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৩৭ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২০.৬৪ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩৭.৪৫ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৩৯.৭৯ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১২.৬৩ শতাংশ, চামড়া খাতের ৩৭.২৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৩.২০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ৭৭.৭৬ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩৫৩.৫৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৪৩.০৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৫.০৬ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ৩১.৮২ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ৩৩.২১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৫.৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।