খাউলিয়ায় জরাজীর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যসেবা, জনবল সংকট

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ খাউলিয়া ইউনিয়নে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যাক্রম। তাছাড়া রয়েছে জনবল সঙ্কট।

উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নে ১৯৮২ সালে স্থাপিত স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ এ কেন্দ্রটি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা দিচ্ছেন দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আসলাম হোসেন তিনি অস্থায়ী ভিত্তিতে ডেপুটেশনে রয়েছেন এ কেন্দ্রটিতে। ২০০৮ সাল থেকে এ পদটি শূন্য রয়েছে। অফিসে ৪টি পদ থাকলেও উপস্থিত রয়েছে দুইজন মেডিকেল অফিসার ও অফিস সহায়ক মো. শাহ আলম তালুকদার। অন্য পদে রয়েছে পরিবার কণ্যাণ পরিদর্শিকা(এফডব্লিউভি) মোসা. সজলী আক্তার ও আয়া নাজমা সুলতানা এরা দুজনে ফিল্ডে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেডিকেল অফিসার আসলাম হোসেন। অফিসের আয়া নাজমা সুলতানা ও অফিস সহায়ক মো. শাহ আলম তালুকদার ।

প্রবেশের মূল ফটকে কোনমতে জরাজীর্ণ একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো রয়েছে। দীর্ঘদিনের পুরানো ভবনটিতে বাহির থেকে মনে হয় ভুতের বাড়ি। ভবন নির্মাণের ১০ বছর পরে একবার ছাদের সংস্কার হলেও বর্ষায় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। এখন কোন মতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এ স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম। রোগী দেখার কক্ষে পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে বিভিন্ন স্থান থেকে। বাথরুমের দরজা-জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ব্যবহারে অনুপযোগী। গতবছরে পার্শ্ববর্তী কোয়াটার নতুন একটি ভবনের সংস্কার হলেও এখনও পর্যন্ত হস্তান্তর করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজের মান নিয়ে রয়েছে নানা কথা। কোন মতে দায়সারাভাবে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

সেবা নিতে আসা একাধিক রোগীরা বলেন, চিকিৎসা নিতে এসে ভয়ে থাকতে হয়। কখন মাথার ওপর পলেস্তরা ধসে পরে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আগেই ভবন নির্মাণ ও স্থানান্তরিত দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. দিলদার হোসেন বলেন, খাউলিয়ায় স্বাস্থ্য কল্যান কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয় উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। পাশেই কোয়াটার ভবনে সংস্কার করা হলেও হস্তান্তর হয়নি। হস্তান্তার পেলেই ওই ভবনে চলবে কার্যক্রম।

রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১ , ০৮ কার্তিক ১৪২৮ ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

খাউলিয়ায় জরাজীর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যসেবা, জনবল সংকট

প্রতিনিধি, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

image

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : খাউলিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র -সংবাদ

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ খাউলিয়া ইউনিয়নে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যাক্রম। তাছাড়া রয়েছে জনবল সঙ্কট।

উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নে ১৯৮২ সালে স্থাপিত স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ এ কেন্দ্রটি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা দিচ্ছেন দায়িত্বরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. আসলাম হোসেন তিনি অস্থায়ী ভিত্তিতে ডেপুটেশনে রয়েছেন এ কেন্দ্রটিতে। ২০০৮ সাল থেকে এ পদটি শূন্য রয়েছে। অফিসে ৪টি পদ থাকলেও উপস্থিত রয়েছে দুইজন মেডিকেল অফিসার ও অফিস সহায়ক মো. শাহ আলম তালুকদার। অন্য পদে রয়েছে পরিবার কণ্যাণ পরিদর্শিকা(এফডব্লিউভি) মোসা. সজলী আক্তার ও আয়া নাজমা সুলতানা এরা দুজনে ফিল্ডে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেডিকেল অফিসার আসলাম হোসেন। অফিসের আয়া নাজমা সুলতানা ও অফিস সহায়ক মো. শাহ আলম তালুকদার ।

প্রবেশের মূল ফটকে কোনমতে জরাজীর্ণ একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো রয়েছে। দীর্ঘদিনের পুরানো ভবনটিতে বাহির থেকে মনে হয় ভুতের বাড়ি। ভবন নির্মাণের ১০ বছর পরে একবার ছাদের সংস্কার হলেও বর্ষায় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। এখন কোন মতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এ স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম। রোগী দেখার কক্ষে পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে বিভিন্ন স্থান থেকে। বাথরুমের দরজা-জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ব্যবহারে অনুপযোগী। গতবছরে পার্শ্ববর্তী কোয়াটার নতুন একটি ভবনের সংস্কার হলেও এখনও পর্যন্ত হস্তান্তর করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজের মান নিয়ে রয়েছে নানা কথা। কোন মতে দায়সারাভাবে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

সেবা নিতে আসা একাধিক রোগীরা বলেন, চিকিৎসা নিতে এসে ভয়ে থাকতে হয়। কখন মাথার ওপর পলেস্তরা ধসে পরে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আগেই ভবন নির্মাণ ও স্থানান্তরিত দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. দিলদার হোসেন বলেন, খাউলিয়ায় স্বাস্থ্য কল্যান কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয় উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। পাশেই কোয়াটার ভবনে সংস্কার করা হলেও হস্তান্তর হয়নি। হস্তান্তার পেলেই ওই ভবনে চলবে কার্যক্রম।