এ হামলায় যারা ইন্ধন দিয়েছে, তাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলা হবে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এমপি

দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা জ্বালা-পোড়াও কর্মকা-ের প্রতিবাদে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, এমপি। তিনি বলেন, হাজীগঞ্জে এই হামলায় যারা ইন্ধন দিয়েছে, তাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলা হবে। আফগানিস্তান তালেবান দখলের পর পাকিস্তান, কাশ্মির, ভারত ও বাংলাদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া আশঙ্কা ছিল। আপনারা ভয় পাবেন না। আমরা আছি। তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবীব অরুন ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মোহাম্মদ মনিরের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, মেয়র আ স ম মাহাবুব-উল আলম লিপন, হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ খসরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী মো. জসিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবু তাহের, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ আহাম্মদ, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মিয়া ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রুহিদাস বণিক। অন্যান্যের মাঝে বক্তৃতা করেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী ও ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের খ- খ- মিছিল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংসদ উপজেলা ই-সেন্টারে জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম এবং প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। ওই সময় মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি হাজীগঞ্জ হামলার ঘটনার পর সুষ্ঠুধারার সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। গত ১৩ অক্টোবর কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ বাজারে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়। সে সংঘর্ষের পর হামলাকারীরা বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালায়। সে ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানা ১০টি মামলা হয়। পুলিশ এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১ , ০৮ কার্তিক ১৪২৮ ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

এ হামলায় যারা ইন্ধন দিয়েছে, তাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলা হবে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এমপি

প্রতিনিধি, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর)

দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা জ্বালা-পোড়াও কর্মকা-ের প্রতিবাদে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, এমপি। তিনি বলেন, হাজীগঞ্জে এই হামলায় যারা ইন্ধন দিয়েছে, তাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলা হবে। আফগানিস্তান তালেবান দখলের পর পাকিস্তান, কাশ্মির, ভারত ও বাংলাদেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া আশঙ্কা ছিল। আপনারা ভয় পাবেন না। আমরা আছি। তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবীব অরুন ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মোহাম্মদ মনিরের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, মেয়র আ স ম মাহাবুব-উল আলম লিপন, হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ খসরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী মো. জসিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবু তাহের, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ আহাম্মদ, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মিয়া ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রুহিদাস বণিক। অন্যান্যের মাঝে বক্তৃতা করেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী ও ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া। সমাবেশ শেষে শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের খ- খ- মিছিল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংসদ উপজেলা ই-সেন্টারে জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম এবং প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। ওই সময় মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি হাজীগঞ্জ হামলার ঘটনার পর সুষ্ঠুধারার সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। গত ১৩ অক্টোবর কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জ বাজারে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়। সে সংঘর্ষের পর হামলাকারীরা বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালায়। সে ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানা ১০টি মামলা হয়। পুলিশ এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।