২৫ লাখ মানুষের দেশ বিশ্বকাপে

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ দিকে ফুল লেন্থ ডেলিভারিটা ডেভিড ওয়েস কভারের ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠানোর পরেই কেঁদে ফেলেছিলেন নামিবিয়ার অধিনায়ক জেরার্ড এরাসমাস। অবশেষে স্বপ্ন সফল। বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারবেন তারা। ছোট একটি দেশের পক্ষে তা এক বিরাট সম্মানের। এবারের বিশ্বকাপই শুধু নয়, পরের বার বিশ্বকাপেরও যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে তারা। এবারের বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে গ্রুপ ‘বি’তে রয়েছে নামিবিয়া।

ম্যাচের পর কথা বলতে গিয়ে কার্যত ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন এরাসমাস। আয়ারল্যান্ডের মতো টেস্ট খেলিয়ে দেশকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন নেহাত ছেলেখেলা নয়। তার ঘোর কাটছিলই না। কোন মতে বলেন, ‘একটা টলোমলো জাহাজে পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলাম। একটা ছোট দেশে মাত্র কয়েকজন ক্রিকেট খেলে। সেখান থেকে বিশ্বকাপে! আমরা নিজেদের নিয়ে গর্বিত।’

টি-২০ ক্রমতালিকায় ১৯ নম্বরে রয়েছে নামিবিয়া। বিশ্বকাপ খেলিয়ে দেশগুলোর মধ্যে সব থেকে নিচে। গোটা দেশে থাকেন মাত্র ২৫ লাখ মানুষ। মাত্র ন’টি পিচ রয়েছে গোটা দেশে। ক্রিকেট খেলে মাত্র পাঁচটি ক্লাব। মাত্র দু’বছর আগে আইসিসি’র ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের সম্মান পেয়েছে। আয়ারল্যান্ডের আগে যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল তারা।

নামিবিয়ার কোচ পিয়ের দ্য ব্রুইন বলেন, ‘এই ক্রিকেটারদের স্বপ্ন সত্যি হলো। বিশ্বকাপে ভারত বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার স্বপ্ন ওরা দেখা শুরু করেছিল ছ’সাত বছর বয়সে। এবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। এতদিন ধরে যাদের টিভিতে দেখত এবার তাদের বিরুদ্ধে মাঠের লড়াইয়ে নামতে চলেছে। আমাদের খুব বেশি অর্থ নেই। বিশ্বকাপের জন্য মাত্র ১৮ জন ক্রিকেটার আমাদের হাতে ছিল। গত তিন বছর ধরে ওরা যে কী পরিশ্রম করেছে সেটা শুধু আমিই জানি।’

রবিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২১ , ০৮ কার্তিক ১৪২৮ ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

২৫ লাখ মানুষের দেশ বিশ্বকাপে

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ দিকে ফুল লেন্থ ডেলিভারিটা ডেভিড ওয়েস কভারের ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠানোর পরেই কেঁদে ফেলেছিলেন নামিবিয়ার অধিনায়ক জেরার্ড এরাসমাস। অবশেষে স্বপ্ন সফল। বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে পারবেন তারা। ছোট একটি দেশের পক্ষে তা এক বিরাট সম্মানের। এবারের বিশ্বকাপই শুধু নয়, পরের বার বিশ্বকাপেরও যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে তারা। এবারের বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে গ্রুপ ‘বি’তে রয়েছে নামিবিয়া।

ম্যাচের পর কথা বলতে গিয়ে কার্যত ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন এরাসমাস। আয়ারল্যান্ডের মতো টেস্ট খেলিয়ে দেশকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন নেহাত ছেলেখেলা নয়। তার ঘোর কাটছিলই না। কোন মতে বলেন, ‘একটা টলোমলো জাহাজে পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলাম। একটা ছোট দেশে মাত্র কয়েকজন ক্রিকেট খেলে। সেখান থেকে বিশ্বকাপে! আমরা নিজেদের নিয়ে গর্বিত।’

টি-২০ ক্রমতালিকায় ১৯ নম্বরে রয়েছে নামিবিয়া। বিশ্বকাপ খেলিয়ে দেশগুলোর মধ্যে সব থেকে নিচে। গোটা দেশে থাকেন মাত্র ২৫ লাখ মানুষ। মাত্র ন’টি পিচ রয়েছে গোটা দেশে। ক্রিকেট খেলে মাত্র পাঁচটি ক্লাব। মাত্র দু’বছর আগে আইসিসি’র ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের সম্মান পেয়েছে। আয়ারল্যান্ডের আগে যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল তারা।

নামিবিয়ার কোচ পিয়ের দ্য ব্রুইন বলেন, ‘এই ক্রিকেটারদের স্বপ্ন সত্যি হলো। বিশ্বকাপে ভারত বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার স্বপ্ন ওরা দেখা শুরু করেছিল ছ’সাত বছর বয়সে। এবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। এতদিন ধরে যাদের টিভিতে দেখত এবার তাদের বিরুদ্ধে মাঠের লড়াইয়ে নামতে চলেছে। আমাদের খুব বেশি অর্থ নেই। বিশ্বকাপের জন্য মাত্র ১৮ জন ক্রিকেটার আমাদের হাতে ছিল। গত তিন বছর ধরে ওরা যে কী পরিশ্রম করেছে সেটা শুধু আমিই জানি।’