পর্যাপ্ত সেচ ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করা গেলে বরিশাল অঞ্চলে বোরো ধানের উৎপাদন অনেকগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। এই অঞ্চলে বোরো উৎপাদনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে সেচ সুবিধার অভাব। সারাদেশে যেখানে জাতীয়ভাবে সেচ সুবিধার আওতায় থাকা জমির পরিমাণ ৭৩ শতাংশ সেখানে বরিশাল অঞ্চলে এর পরিমাণ মাত্র ২৭ শতাংশ। বরিশালে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।
গত শনিবার দুপুরে বরিশাল আঞ্চলিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ?বরিশাল অঞ্চলে পানিসম্পদ ও মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ‘বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৃষি বিশেষজ্ঞ, মৃত্তিকা ও পানি বিজ্ঞানী ও কৃষক সহ ১২০ জন অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
সেমিনারে প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, সারাবিশ্বের করোনাকালে যখন খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা করা হয়েছিল সেখানে বাংলাদেশ বাড়তি খাদ্য উৎপাদন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ আর কৃষক ও কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে বরিশাল অঞ্চলে বোরো আবাদ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কারণ, দেশের অন্য অঞ্চলে বোরো আবাদের জন্য জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়ে গেছে। কিন্তু বরিশাল অঞ্চলে তা হয়নি। এ অঞ্চলে বোরো আবাদ বাড়াতে হলে সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বরিশাল আঞ্চলিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। এছাড়া ধান আবাদ ও সেচ সম্প্রসারণ বিষয়ে আরও দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে কৃষি বিভাগের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম ও বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী চঞ্চল কুমার মিস্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ওয়াহিদা আক্তার, ব্রি’র পরিচালক মোহাম্মাদ খালেকুজ্জামান, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য (ক্ষুদ্র সেচ) মো. জিয়াউল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, পরিচালক (সম্প্রসারণ) একেএম মনিরুল আলম, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মাদ বখতিয়ার, কৃষি তথ্য সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সুরজিত সাহা রায়।
সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ০৯ কার্তিক ১৪২৮ ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
পর্যাপ্ত সেচ ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহ করা গেলে বরিশাল অঞ্চলে বোরো ধানের উৎপাদন অনেকগুণে বৃদ্ধি করা সম্ভব। এই অঞ্চলে বোরো উৎপাদনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে সেচ সুবিধার অভাব। সারাদেশে যেখানে জাতীয়ভাবে সেচ সুবিধার আওতায় থাকা জমির পরিমাণ ৭৩ শতাংশ সেখানে বরিশাল অঞ্চলে এর পরিমাণ মাত্র ২৭ শতাংশ। বরিশালে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।
গত শনিবার দুপুরে বরিশাল আঞ্চলিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ?বরিশাল অঞ্চলে পানিসম্পদ ও মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ‘বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৃষি বিশেষজ্ঞ, মৃত্তিকা ও পানি বিজ্ঞানী ও কৃষক সহ ১২০ জন অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
সেমিনারে প্রধান অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, সারাবিশ্বের করোনাকালে যখন খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা করা হয়েছিল সেখানে বাংলাদেশ বাড়তি খাদ্য উৎপাদন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ আর কৃষক ও কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে বরিশাল অঞ্চলে বোরো আবাদ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কারণ, দেশের অন্য অঞ্চলে বোরো আবাদের জন্য জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়ে গেছে। কিন্তু বরিশাল অঞ্চলে তা হয়নি। এ অঞ্চলে বোরো আবাদ বাড়াতে হলে সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বরিশাল আঞ্চলিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। এছাড়া ধান আবাদ ও সেচ সম্প্রসারণ বিষয়ে আরও দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে কৃষি বিভাগের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম ও বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী চঞ্চল কুমার মিস্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ওয়াহিদা আক্তার, ব্রি’র পরিচালক মোহাম্মাদ খালেকুজ্জামান, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য (ক্ষুদ্র সেচ) মো. জিয়াউল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, পরিচালক (সম্প্রসারণ) একেএম মনিরুল আলম, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মাদ বখতিয়ার, কৃষি তথ্য সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সুরজিত সাহা রায়।