শব্দ দূষণে শিশুদের শারীরিক-মানসিক ব্যাপক ক্ষতি

রাজশাহীতে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’- এর আওতায় গত শনিবার রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে এটির আয়োজন করা হয়। এতে পরিবহন চালক, শ্রমিক এবং সাংবাদিকরা অংশ নেন।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবির।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে শব্দদূষণ ঠেকানো যাবে না। এর জন্য জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। একজন পথচারী যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের জন্য চালক গাড়ির হর্ন দিতে বাধ্য হন।

আবার কোন কোন চালক অযথাই হর্ন দিতে থাকেন। এসব হর্নের কারণে শারীরিক ও মানসিক ও শিশুদের ওপর যে ক্ষতি হয় মানুষের, তা সবাইকে বোঝাতে হবে। জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

তারা আরও বলেন, শব্দ দূষণের কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি এটির কারণে আমাদের চিরতরে বধির করে দিতে পারে।

তাই আমাদের উচিত অযথা হর্ন পরিহার করা। আর এজন্য হাইড্রোলিক হর্নের বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানোর বিষয়েও তাগিদ দেয়া হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকাকে সিটি কর্পোরেশন ‘নীরব’ এলাকা ঘোষণা করেছে। পর্যায়ক্রমে শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এলাকাগুলোকে ‘নীরব’ এলাকা ঘোষণা করা হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. নওশাদ আলী, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ শওকত আলী খান ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন।

সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ০৯ কার্তিক ১৪২৮ ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

রাজশাহীতে কর্মশালায় বক্তারা

শব্দ দূষণে শিশুদের শারীরিক-মানসিক ব্যাপক ক্ষতি

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহীতে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’- এর আওতায় গত শনিবার রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে এটির আয়োজন করা হয়। এতে পরিবহন চালক, শ্রমিক এবং সাংবাদিকরা অংশ নেন।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবির।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে শব্দদূষণ ঠেকানো যাবে না। এর জন্য জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। একজন পথচারী যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের জন্য চালক গাড়ির হর্ন দিতে বাধ্য হন।

আবার কোন কোন চালক অযথাই হর্ন দিতে থাকেন। এসব হর্নের কারণে শারীরিক ও মানসিক ও শিশুদের ওপর যে ক্ষতি হয় মানুষের, তা সবাইকে বোঝাতে হবে। জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

তারা আরও বলেন, শব্দ দূষণের কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি এটির কারণে আমাদের চিরতরে বধির করে দিতে পারে।

তাই আমাদের উচিত অযথা হর্ন পরিহার করা। আর এজন্য হাইড্রোলিক হর্নের বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানোর বিষয়েও তাগিদ দেয়া হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, ইতোমধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকাকে সিটি কর্পোরেশন ‘নীরব’ এলাকা ঘোষণা করেছে। পর্যায়ক্রমে শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ অফিস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এলাকাগুলোকে ‘নীরব’ এলাকা ঘোষণা করা হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. নওশাদ আলী, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ শওকত আলী খান ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন।