রেমা-কালেঙ্গা-নাসিমাবাদ চা বাগানের রাস্তা চষাক্ষেত

সামান্য বৃষ্টিতেই দুর্ভোগ চরমে : নিত্য দুর্ঘটনা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৯নং রাণীগাঁও মিরাশি ইউনিয়নের রেমা-কালেঙ্গা ও নাসিমাবাদ চা বাগানের রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে চরম ভোগান্তিতে পরেছে এলাকাবাসী। এ দুর্ভোগ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। জানা যায়, সীমান্তবর্তী পাহাড়ি ঘেষা এলাকা নাসিমাবাদ, পারকুল, গরমজরী চা বাগান, রাজাকুনা ও আতিকপুরবস্তী এবং রেমা -কালেঙ্গা, বিজোড়ের ফুল জুইনকোড়া, তালতলা, শ্যামের বাজার, চামুলতলী, হিমালিয়া বাজারসহ মিরাশি হাজী বাজার, গাতাবলা, বড়যুষ বাজারের রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে একবার গেলে দ্বিতীয়বার যেতে ইচ্ছে করবে না। তবুও এসব এলাকার মানুষ ও স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নাসিমাবাদ, পারকুল, গরমজরী চা বাগান, রাজাকুনাবস্তী, আতিকপুরবস্তী এবং বিজোড়ের ফুল জুইনকোড়া, তালতলা, শ্যামের বাজার, চামুলতলী, হিমালিয়া বাজার, কালেঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা কাঁচা মাটির রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলেই যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পরে। ফলে অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। গাড়িচালক, পথচারীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে অনেকবার করেছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। তবে এবার সেই উপায়ও নেই। তার ওপর বৃষ্টিতে পুরো সড়কের যাচ্ছে-তাই অবস্থা। শুধু গাড়ি চালক নয়, পথচারীদের জন্যও দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে এ রাস্তা। অপরদিকে, কালেঙ্গা যেতে চোখের নজরে পড়ে মিরাশি হাজী বাজার, গাতাবলার রাস্তা ও বড়যুষ বাজারের রাস্তার কার্পেট উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকায় যেতে কার্পেট উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে এমন রাস্তা অনেক চোখের নজরে এসেছে। মোটরবাইক চালক নোমান আহমেদ বলেন, আমি চুনারুঘাট হইতে কালেঙ্গা যেতে চাইছিলাম। জুইনকোড়া আসতেই দেখি রাস্তাটি কাঁচা মাটির রাস্তা বৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে চুনারুঘাটের দিকে ফেরত আসলাম। এই রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি চালক সাগর আহমেদ বলেন, এ রাস্তাগুলো দিয়ে আমি গত ৪-৫ বছর ধরে সিএনজি চালাচ্ছি ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে এ রাস্তাগুলো দিয়ে। এছাড়াও প্রায়ই অনেক মালবাহী পিকআপ, সিএনজি, অটোরিকশাসহ আরও অনেক গাড়ি যাতায়াত করে। অনেক সময় রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় যানবাহনগুলো উল্টে যায়। জানি না ঠিক কতদিন আমাদের মতো মানুষদের এ ভোগান্তি সহ্য করতে হবে। ৯নং রাণীগাঁও ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়েছে। কিছুসংখ্যক রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। অন্যান্য রাস্তার কাজও আশা করি শীঘ্রই শুরু হবে। এতে কষ্ট লাঘব হবে সাধারণ মানুষের।

সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ০৯ কার্তিক ১৪২৮ ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

রেমা-কালেঙ্গা-নাসিমাবাদ চা বাগানের রাস্তা চষাক্ষেত

সামান্য বৃষ্টিতেই দুর্ভোগ চরমে : নিত্য দুর্ঘটনা

প্রতিনিধি, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)

image

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : কর্দমাক্ত রাস্তায় আটকে পড়া অটোরিকশা ঠেলে তোলার চেষ্টা করছেন চালক -সংবাদ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৯নং রাণীগাঁও মিরাশি ইউনিয়নের রেমা-কালেঙ্গা ও নাসিমাবাদ চা বাগানের রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে চরম ভোগান্তিতে পরেছে এলাকাবাসী। এ দুর্ভোগ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। জানা যায়, সীমান্তবর্তী পাহাড়ি ঘেষা এলাকা নাসিমাবাদ, পারকুল, গরমজরী চা বাগান, রাজাকুনা ও আতিকপুরবস্তী এবং রেমা -কালেঙ্গা, বিজোড়ের ফুল জুইনকোড়া, তালতলা, শ্যামের বাজার, চামুলতলী, হিমালিয়া বাজারসহ মিরাশি হাজী বাজার, গাতাবলা, বড়যুষ বাজারের রাস্তার বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে একবার গেলে দ্বিতীয়বার যেতে ইচ্ছে করবে না। তবুও এসব এলাকার মানুষ ও স্কুল- কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নাসিমাবাদ, পারকুল, গরমজরী চা বাগান, রাজাকুনাবস্তী, আতিকপুরবস্তী এবং বিজোড়ের ফুল জুইনকোড়া, তালতলা, শ্যামের বাজার, চামুলতলী, হিমালিয়া বাজার, কালেঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা কাঁচা মাটির রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলেই যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পরে। ফলে অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। গাড়িচালক, পথচারীরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে অনেকবার করেছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। তবে এবার সেই উপায়ও নেই। তার ওপর বৃষ্টিতে পুরো সড়কের যাচ্ছে-তাই অবস্থা। শুধু গাড়ি চালক নয়, পথচারীদের জন্যও দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে এ রাস্তা। অপরদিকে, কালেঙ্গা যেতে চোখের নজরে পড়ে মিরাশি হাজী বাজার, গাতাবলার রাস্তা ও বড়যুষ বাজারের রাস্তার কার্পেট উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এসব এলাকায় যেতে কার্পেট উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে এমন রাস্তা অনেক চোখের নজরে এসেছে। মোটরবাইক চালক নোমান আহমেদ বলেন, আমি চুনারুঘাট হইতে কালেঙ্গা যেতে চাইছিলাম। জুইনকোড়া আসতেই দেখি রাস্তাটি কাঁচা মাটির রাস্তা বৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে চুনারুঘাটের দিকে ফেরত আসলাম। এই রাস্তায় চলাচলরত সিএনজি চালক সাগর আহমেদ বলেন, এ রাস্তাগুলো দিয়ে আমি গত ৪-৫ বছর ধরে সিএনজি চালাচ্ছি ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে এ রাস্তাগুলো দিয়ে। এছাড়াও প্রায়ই অনেক মালবাহী পিকআপ, সিএনজি, অটোরিকশাসহ আরও অনেক গাড়ি যাতায়াত করে। অনেক সময় রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় যানবাহনগুলো উল্টে যায়। জানি না ঠিক কতদিন আমাদের মতো মানুষদের এ ভোগান্তি সহ্য করতে হবে। ৯নং রাণীগাঁও ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়েছে। কিছুসংখ্যক রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। অন্যান্য রাস্তার কাজও আশা করি শীঘ্রই শুরু হবে। এতে কষ্ট লাঘব হবে সাধারণ মানুষের।