সাম্প্রদায়িক হামলা : কী বলছে আওয়ামী লীগ, ১৪ দল

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আকস্মিক হামলায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে আওয়ামী লীগ। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা এসেছে শীর্ষ পর্যায় থেকে। তবে ক্ষমতায় থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ঠেকাতে না পারা, সরকারের পাশপাশি দলের ব্যর্থতা হিসেবেও দেখছেন ভুক্তভোগী এবং সাধারণ মানুষ।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার দাবি, এবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীদের আগে থেকেই তৎপর থাকার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। যে সব এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতাদের নজরদারির অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নতুন নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে কক্সবাজারের রামু, কুমিল্লার মুরাদনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সুনামগঞ্জ, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে নেয়া হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া।

তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন এবং পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দিরে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিত এসব হামলার নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াত এবং হেফাজতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা সংবাদকে বলেন, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা আগেও হয়েছে। কিন্তু এবারের হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে খুব পরিকল্পিতভাবে যেন একটা সংগঠিত আক্রমণ চালানো হয়েছে। এর নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের হাত রয়েছে বলে দাবি করে তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশ-বিদেশে শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে পরিকল্পিতভাবে বিরোধী অপশক্তিরা এসব হামলা চালিয়েছে।

তবে বিএনপির অভিযোগ, অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার তাদের এজেন্টদের দিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিরোধী দলের চলমান সংগ্রাম থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে এসব করছে ক্ষমতাসীনরা।

রংপুরের হামলায় ছাত্রলীগ নেতার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ওই ছেলের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, সে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করেছে।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন গতকাল সংবাদকে বলেন, আওয়ামী লীগ একা কখনোই সাম্প্রদায়িক হামলা রুখতে পারবে না। এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনও সক্রিয়। তারা সর্বদা ওঁৎ পেতে থাকে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক, সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, অতীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করেছে ১৪ দলের শরিকরা। এবার দুর্গাপূজার আগে জোটের পক্ষ থেকে নজরদারির জন্য কোন পূর্বপ্রস্তুতি বা কর্মসূচি ছিল না। দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দুদের ওপর হামলা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘এবার যে হামলাগুলো হয়েছে, সেটা পরিকল্পিত, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। এ দেশে বিএনপি-জামায়াত সব সময়ই সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিদেশি ষড়যন্ত্র বলতে আমি মনে করি, সাম্রাজ্যবাদীরা পুরো এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যেটা আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়াসহ অনেক দেশে দেখা গেছে। এই হামলায় সাম্রাজ্যবাদীদের সংশ্লিষ্টতা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সংবাদকে বলেন, বিএনপির আমলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অনেকবার সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর ও নৃশংস হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় সংখ্যালঘুদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। এবার যে ঘটনা ঘটেছে, তা একটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ।’

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের এবং স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘হঠাৎ করেই ঘটনা ঘটে গেছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। দেশের শান্তি ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এসব হামলা করেছে। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে তারা ‘তথ্য সন্ত্রাস’ করেছে।’ হামলার ঘটনার পর আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন সম্মিলতভাবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনতে সক্ষম হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এদিকে হামলার বিষয়ে আগাম তথ্য না থাকায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টিও আলোচনা হচ্ছে দলের ভেতরে-বাইরে।

কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাকর্মীদের ব্যর্থতা কতটুকু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস্য সংবাদকে বলেন, ক্ষমতায় থেকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে না পারার ব্যর্থতা এখন নতুন ইস্যু বানাচ্ছে বিএনপি। জাতীয় নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘুদের ‘ভোট ব্যাংক’ নিজেদের করতে মাঠে নেমেছে তারা। তবে সাম্প্রদায়িক এসব হামলা যে, সরকার ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ তা সাধারণ মানুষ বোঝে বলে দাবি করেন তিনি।

সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ০৯ কার্তিক ১৪২৮ ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সাম্প্রদায়িক হামলা : কী বলছে আওয়ামী লীগ, ১৪ দল

ফয়েজ আহমেদ তুষার

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আকস্মিক হামলায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে আওয়ামী লীগ। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা এসেছে শীর্ষ পর্যায় থেকে। তবে ক্ষমতায় থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ঠেকাতে না পারা, সরকারের পাশপাশি দলের ব্যর্থতা হিসেবেও দেখছেন ভুক্তভোগী এবং সাধারণ মানুষ।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার দাবি, এবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে দলের নেতাকর্মীদের আগে থেকেই তৎপর থাকার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। যে সব এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতাদের নজরদারির অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নতুন নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে কক্সবাজারের রামু, কুমিল্লার মুরাদনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সুনামগঞ্জ, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সরকার। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে নেয়া হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া।

তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন এবং পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দিরে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিত এসব হামলার নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াত এবং হেফাজতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা সংবাদকে বলেন, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা আগেও হয়েছে। কিন্তু এবারের হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে খুব পরিকল্পিতভাবে যেন একটা সংগঠিত আক্রমণ চালানো হয়েছে। এর নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের হাত রয়েছে বলে দাবি করে তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেশ-বিদেশে শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে পরিকল্পিতভাবে বিরোধী অপশক্তিরা এসব হামলা চালিয়েছে।

তবে বিএনপির অভিযোগ, অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার তাদের এজেন্টদের দিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিরোধী দলের চলমান সংগ্রাম থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে এসব করছে ক্ষমতাসীনরা।

রংপুরের হামলায় ছাত্রলীগ নেতার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ওই ছেলের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, সে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করেছে।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন গতকাল সংবাদকে বলেন, আওয়ামী লীগ একা কখনোই সাম্প্রদায়িক হামলা রুখতে পারবে না। এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনও সক্রিয়। তারা সর্বদা ওঁৎ পেতে থাকে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক, সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।

রাশেদ খান মেনন বলেন, অতীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করেছে ১৪ দলের শরিকরা। এবার দুর্গাপূজার আগে জোটের পক্ষ থেকে নজরদারির জন্য কোন পূর্বপ্রস্তুতি বা কর্মসূচি ছিল না। দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দুদের ওপর হামলা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘এবার যে হামলাগুলো হয়েছে, সেটা পরিকল্পিত, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। এ দেশে বিএনপি-জামায়াত সব সময়ই সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিদেশি ষড়যন্ত্র বলতে আমি মনে করি, সাম্রাজ্যবাদীরা পুরো এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যেটা আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়াসহ অনেক দেশে দেখা গেছে। এই হামলায় সাম্রাজ্যবাদীদের সংশ্লিষ্টতা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সংবাদকে বলেন, বিএনপির আমলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অনেকবার সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর ও নৃশংস হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় সংখ্যালঘুদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। এবার যে ঘটনা ঘটেছে, তা একটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ।’

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের এবং স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘হঠাৎ করেই ঘটনা ঘটে গেছে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। দেশের শান্তি ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এসব হামলা করেছে। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে তারা ‘তথ্য সন্ত্রাস’ করেছে।’ হামলার ঘটনার পর আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন সম্মিলতভাবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনতে সক্ষম হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এদিকে হামলার বিষয়ে আগাম তথ্য না থাকায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টিও আলোচনা হচ্ছে দলের ভেতরে-বাইরে।

কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাকর্মীদের ব্যর্থতা কতটুকু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস্য সংবাদকে বলেন, ক্ষমতায় থেকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে না পারার ব্যর্থতা এখন নতুন ইস্যু বানাচ্ছে বিএনপি। জাতীয় নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘুদের ‘ভোট ব্যাংক’ নিজেদের করতে মাঠে নেমেছে তারা। তবে সাম্প্রদায়িক এসব হামলা যে, সরকার ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ তা সাধারণ মানুষ বোঝে বলে দাবি করেন তিনি।