শেষ রক্ষা হলো না। টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় বা মূলপর্বে এখন পর্যন্ত অধরাই থেকে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয়। বিফলে গেছে নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। লিটন কুমার দাসের অমার্জনীয় ক্যাচ মিসের মহড়ায় টি-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে চার উইকেটে ১৭১ রান তুলেও ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পাঁচ উইকেটে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা। অর্থাৎ পরাজয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হলো বাংলাদেশ দলের।
শারজাহ স্টেডিয়ামে গতকাল ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগারদের ইনিংসে আত্মবিশ্বাসের কোন অভাবই ছিল না। সাকিব আল হাসান জ্বলে উঠতে না পারলেও জ্বলে উঠেছিলেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। টি-২০ ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরিটার দেখা পেয়েছেন তিনি। সৌম্য সরকারের জায়গায় ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ নাঈম নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়ে টি-২০ ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। দুই ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে টাইগাররা পায় ১৭১ রানের বড় সংগ্রহ।
দুই ওপেনার নাঈম ও লিটনের ব্যাটে দারুণ সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। পাওয়ার প্লে’তে আসে ৪১ রান। তবে, পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের পঞ্চম বলে কুমারার বলে ওয়াইডিশ মিড অফে ক্যাচ দিয়ে লিটন (১৬) ফিরলে ভেঙে যায় এই জুটি। এই টাইগার ওপেনারের ছোট ইনিংসে আট রানই আসে বাউন্ডারি থেকে।
লিটন আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে নাঈমের সঙ্গী সাকিব আল হাসান ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়ে দুটো বাউন্ডারি হাঁকালেও থেমে যান দশ রানে। তিনি টিকেছিলেন মাত্র সাত বল। অথচ দুইজনে সপ্তম ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরে যোগ করেছিলেন ১৪ রান। ওই ওভারেই সাকিব দুটি ও নাঈম একটি বাউন্ডারি হাঁকান। দ্রুত রান তুলে উইকেটে সেট হবার পথে থাকা সাকিব লঙ্কান পেসার চামিকা করুনারতেœর করা অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে স্টাম্প হারালে সাজঘরে ফেরেন।
ভালো শুরুর পরও ১৪ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট পতনে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে চাপ থেকে মুক্ত করতে কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট চালান ওপেনার নাঈম ও চার নম্বরে নামা মুশফিক। পরের ১৭ বলে কোন বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।
একাদশ ওভারের চতুর্থ বলে শ্রীলঙ্কার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভাকে স্লগ সুইপে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে ভালো কিছুর জানান দেন মুশফিক। ত্রয়োদশ ওভারের প্রথম বলে শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি পেসার বিনুরা ফার্নান্দোকে স্কয়ার লেগ দিয়ে আবারো ছক্কা হাঁকিয়ে মুশফিক জানান দেন যে, ক্রিকেটের ‘ল’ অব এভারেজে দিনটা তার।
মুশফিকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রানের গতি ধরে রাখার চেষ্টায় ছিলেন নাঈম। চতুর্দশ ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। নাঈমের ৪৪ বলে পূর্ণ করা হাফ সেঞ্চুরিটা টি-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের দ্বিতীয় ও তার নিজের ২৫ ম্যাচের টি-২০ ক্যারিয়ারে চতুর্থ অর্ধশত রানের ইনিংস।
দুই সেট ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকা অবস্থায় ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেট ১২৯ রান। শেষ চার ওভারে টাইগারদের ব্যাটে ঝড় ওঠার আশা করেছিলেন টাইগার ভক্তরা। কিন্তু ক্রিকেট বিধাতা ভেবেছিলেন ভিন্ন কিছু। পরের ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফার্নান্দোকে পুল করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন নাঈম। থেমে যায় তার ৫২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে তোলা ৬২ রানের ইনিংস। বাছাইপর্বে ওমানের বিপক্ষে ৬৪ রান করা নাঈম, মুশফিকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫১ বলে ৭৩ রান যোগ করেন। যেখানে নাঈমের অবদান ৩৪ ও মুশফিকের ৩৭ রানের।
নাঈমের বিদায়ের ওভারে ১১ রান তোলেন মুশফিক ও আফিফ হোসেন। আর ১৯তম ওভারের প্রথম বলে টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ১১ ইনিংস পর টি-২০ ফরম্যাটে পাওয়া মুশফিকের এই হাফ সেঞ্চুরিটা নিঃসন্দেহে দলের ড্রেসিংরুমে অনেক স্বস্তি এনে দিয়েছে। ৩২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
রান আউট হয়ে আফিফ হোসেন (৭) সাজঘরে ফেরার পর শেষ ৯ বলে ২১ রান যোগ করেন মুশফিক এবং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। শেষ ৯ বলে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ২টি ও মুশফিক ১টি বাউন্ডারি হাঁকান। মুশফিক ৩৭ বলে ৫টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কায় ৫৭ রানে এবং দুটো বাউন্ডারিসহ ৫ বলে ১০ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে মাহমুদুল্লাহ ক্রিজ ছাড়ার সময়ে ফলে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে বাংলাদেশ পায় লড়াই করার মতো ১৭১ রানের বড় সংগ্রহ।
জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কান দলের ওপর শুরুতেই আঘাত হেনেছিলেন এবারের আসরে পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া স্পিনার নাসুম আহমেদ। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই তিনি ফিরিয়েছিলেন ওপেনার কুশল পেরেরাকে (১)। এরপর লঙ্কানদের স্কোরবোর্ডে ৭১ রান উঠতেই নবম ওভারে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে পাথুম নিশাঙ্কা (২৪) ও আভিস্কা ফার্নান্ডো (০) ফিরলে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ দল। লঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৬) এক অঙ্কের কোটায় সাইফুদ্দিনের বলে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ধরা পড়ার সময়ে লঙ্কানদের স্কোর ৭৯ রান।
চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কানরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় লিটন কুমার দাস দুটো ক্যাচ মিস করলে। আফিফ হোসেনের করা ত্রয়োদশ ওভারের তৃতীয় বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ভানুকা রাজাপাকসের ক্যাচ ধরতে পারেননি লিটন। রাজাপাকসের নামের পাশে তখন মাত্র ১৪ রান। এরপর মোস্তাফিজের করা পঞ্চদশ ওভারের তৃতীয় বলে আসালঙ্কা ক্যাচ দিলে ডিপ কাভারে সেটিও তালুবন্দী করতে পারেননি লিটন।
এই দুই ব্যাটার দলকে ৭৯ রান থেকে টেনে নেন ১৬৫ রান পর্যন্ত। দু’জনে ৫২ বলে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। নাসুম আহমেদের করা ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হবার আগে রাজাপাকসে তিনটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কার মারে ৩১ বলে জমা দেন ৫৩ রান। ওই ওভারেরই পঞ্চম বলে লঙ্কানদের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার সময়ে ৬৩ রানে জীবন পাওয়া আসালঙ্কা অপরাজিত ৮০ রানে, আর অধিনায়ক দাসুন শানাকার নামের পাশে অপরাজিত ১ রান।
২৭ অক্টোবর বিকেলে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, একই মাঠে।
হেরে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের দুই সফল ক্রিকেটার সাকিব ও নাঈম শেখ -বিসিবি
আরও খবরসোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ০৯ কার্তিক ১৪২৮ ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
বিশেষ প্রতিনিধি
হেরে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের দুই সফল ক্রিকেটার সাকিব ও নাঈম শেখ -বিসিবি
শেষ রক্ষা হলো না। টি-২০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় বা মূলপর্বে এখন পর্যন্ত অধরাই থেকে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয়। বিফলে গেছে নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। লিটন কুমার দাসের অমার্জনীয় ক্যাচ মিসের মহড়ায় টি-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে চার উইকেটে ১৭১ রান তুলেও ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পাঁচ উইকেটে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা। অর্থাৎ পরাজয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হলো বাংলাদেশ দলের।
শারজাহ স্টেডিয়ামে গতকাল ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগারদের ইনিংসে আত্মবিশ্বাসের কোন অভাবই ছিল না। সাকিব আল হাসান জ্বলে উঠতে না পারলেও জ্বলে উঠেছিলেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। টি-২০ ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরিটার দেখা পেয়েছেন তিনি। সৌম্য সরকারের জায়গায় ওপেনিংয়ে নামা মোহাম্মদ নাঈম নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়ে টি-২০ ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। দুই ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে টাইগাররা পায় ১৭১ রানের বড় সংগ্রহ।
দুই ওপেনার নাঈম ও লিটনের ব্যাটে দারুণ সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। পাওয়ার প্লে’তে আসে ৪১ রান। তবে, পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারের পঞ্চম বলে কুমারার বলে ওয়াইডিশ মিড অফে ক্যাচ দিয়ে লিটন (১৬) ফিরলে ভেঙে যায় এই জুটি। এই টাইগার ওপেনারের ছোট ইনিংসে আট রানই আসে বাউন্ডারি থেকে।
লিটন আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে নাঈমের সঙ্গী সাকিব আল হাসান ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়ে দুটো বাউন্ডারি হাঁকালেও থেমে যান দশ রানে। তিনি টিকেছিলেন মাত্র সাত বল। অথচ দুইজনে সপ্তম ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরে যোগ করেছিলেন ১৪ রান। ওই ওভারেই সাকিব দুটি ও নাঈম একটি বাউন্ডারি হাঁকান। দ্রুত রান তুলে উইকেটে সেট হবার পথে থাকা সাকিব লঙ্কান পেসার চামিকা করুনারতেœর করা অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে স্টাম্প হারালে সাজঘরে ফেরেন।
ভালো শুরুর পরও ১৪ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট পতনে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলকে চাপ থেকে মুক্ত করতে কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট চালান ওপেনার নাঈম ও চার নম্বরে নামা মুশফিক। পরের ১৭ বলে কোন বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।
একাদশ ওভারের চতুর্থ বলে শ্রীলঙ্কার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভাকে স্লগ সুইপে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে ভালো কিছুর জানান দেন মুশফিক। ত্রয়োদশ ওভারের প্রথম বলে শ্রীলঙ্কার বাঁ-হাতি পেসার বিনুরা ফার্নান্দোকে স্কয়ার লেগ দিয়ে আবারো ছক্কা হাঁকিয়ে মুশফিক জানান দেন যে, ক্রিকেটের ‘ল’ অব এভারেজে দিনটা তার।
মুশফিকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রানের গতি ধরে রাখার চেষ্টায় ছিলেন নাঈম। চতুর্দশ ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। নাঈমের ৪৪ বলে পূর্ণ করা হাফ সেঞ্চুরিটা টি-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের দ্বিতীয় ও তার নিজের ২৫ ম্যাচের টি-২০ ক্যারিয়ারে চতুর্থ অর্ধশত রানের ইনিংস।
দুই সেট ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকা অবস্থায় ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেট ১২৯ রান। শেষ চার ওভারে টাইগারদের ব্যাটে ঝড় ওঠার আশা করেছিলেন টাইগার ভক্তরা। কিন্তু ক্রিকেট বিধাতা ভেবেছিলেন ভিন্ন কিছু। পরের ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফার্নান্দোকে পুল করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন নাঈম। থেমে যায় তার ৫২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে তোলা ৬২ রানের ইনিংস। বাছাইপর্বে ওমানের বিপক্ষে ৬৪ রান করা নাঈম, মুশফিকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫১ বলে ৭৩ রান যোগ করেন। যেখানে নাঈমের অবদান ৩৪ ও মুশফিকের ৩৭ রানের।
নাঈমের বিদায়ের ওভারে ১১ রান তোলেন মুশফিক ও আফিফ হোসেন। আর ১৯তম ওভারের প্রথম বলে টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ১১ ইনিংস পর টি-২০ ফরম্যাটে পাওয়া মুশফিকের এই হাফ সেঞ্চুরিটা নিঃসন্দেহে দলের ড্রেসিংরুমে অনেক স্বস্তি এনে দিয়েছে। ৩২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
রান আউট হয়ে আফিফ হোসেন (৭) সাজঘরে ফেরার পর শেষ ৯ বলে ২১ রান যোগ করেন মুশফিক এবং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। শেষ ৯ বলে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ২টি ও মুশফিক ১টি বাউন্ডারি হাঁকান। মুশফিক ৩৭ বলে ৫টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কায় ৫৭ রানে এবং দুটো বাউন্ডারিসহ ৫ বলে ১০ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে মাহমুদুল্লাহ ক্রিজ ছাড়ার সময়ে ফলে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে বাংলাদেশ পায় লড়াই করার মতো ১৭১ রানের বড় সংগ্রহ।
জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কান দলের ওপর শুরুতেই আঘাত হেনেছিলেন এবারের আসরে পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া স্পিনার নাসুম আহমেদ। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই তিনি ফিরিয়েছিলেন ওপেনার কুশল পেরেরাকে (১)। এরপর লঙ্কানদের স্কোরবোর্ডে ৭১ রান উঠতেই নবম ওভারে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে পাথুম নিশাঙ্কা (২৪) ও আভিস্কা ফার্নান্ডো (০) ফিরলে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ দল। লঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৬) এক অঙ্কের কোটায় সাইফুদ্দিনের বলে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ধরা পড়ার সময়ে লঙ্কানদের স্কোর ৭৯ রান।
চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কানরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা নিজেদের করে নেয় লিটন কুমার দাস দুটো ক্যাচ মিস করলে। আফিফ হোসেনের করা ত্রয়োদশ ওভারের তৃতীয় বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ভানুকা রাজাপাকসের ক্যাচ ধরতে পারেননি লিটন। রাজাপাকসের নামের পাশে তখন মাত্র ১৪ রান। এরপর মোস্তাফিজের করা পঞ্চদশ ওভারের তৃতীয় বলে আসালঙ্কা ক্যাচ দিলে ডিপ কাভারে সেটিও তালুবন্দী করতে পারেননি লিটন।
এই দুই ব্যাটার দলকে ৭৯ রান থেকে টেনে নেন ১৬৫ রান পর্যন্ত। দু’জনে ৫২ বলে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। নাসুম আহমেদের করা ঊনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হবার আগে রাজাপাকসে তিনটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কার মারে ৩১ বলে জমা দেন ৫৩ রান। ওই ওভারেরই পঞ্চম বলে লঙ্কানদের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার সময়ে ৬৩ রানে জীবন পাওয়া আসালঙ্কা অপরাজিত ৮০ রানে, আর অধিনায়ক দাসুন শানাকার নামের পাশে অপরাজিত ১ রান।
২৭ অক্টোবর বিকেলে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, একই মাঠে।