এক বছর সময় দিলেই সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে সারা পৃথিবীতে অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, এ সময়েও সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপক সুযোগ আছে বাংলাদেশি তরুণদের। এর জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়তে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা যেকেউ সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আর এজন্য এক বছর সময় বিনিয়োগ করলেই যথেষ্ট। সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবরের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটি-২০২১। মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সাইবার প্যারাডাইসের পৃষ্ঠপোষকতায় মাসব্যাপী সচেতনতামূলক এ কর্মসূচি চলছে। গত ১৬ অক্টোবর রাতে আয়োজিত ওয়েবিনারে আলোচনায় অংশ নেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফোটেকের প্রধান নির্বাহী শেখ গালিব রহমান, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের গ্রুপ হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস আহসানুজ্জামান সুজন ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ইনফরমেশন সিকিউরিটি রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান কর্মকর্তা সৈয়দ কামরান আহমেদ।

শেখ গালিব রহমান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের পরিসর ব্যাপক। যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার সিকিউরিটি ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সাইবার সিকিউরিটি জগতে ২২২ ধরনের কাজে দক্ষতা তৈরির সুযোগ আছে। তাই আগ্রহী তরুণরা যেকোনো একটিকে বেছে নিয়ে নিজের ও পেশাগত উন্নতি ঘটাতে পারেন, দক্ষতা বাড়াতে পারেন এবং ব্যক্তিগত পরিসর আরও বড় করতে পারেন।

আহসানুজ্জামান সুজন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের চাকরির তথ্যবিষয়ক ওয়েব-পোর্টালগুলোতে দেখা গেছে বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র কমেছে। কিন্তু বিশেষ কিছু কাজের বেলায় ব্যতিক্রম ছিল। এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত অন্যতম। এই খাতের বিভিন্ন কাজে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বরাবরই ভালো সংখ্যক ছিল। তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি খাতে জনশক্তি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষকে ঠিক ভাবে বুঝাতে পারলে, ঝুঁকির বিষয়গুলো চিহ্নিত করে দিতে পারলে তারাও বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবেন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমেই বাংলাদেশে বাড়বে। সৈয়দ কামরান আহমেদ বলেন, সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার গড়তে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়তেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা যেকেউ সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আর এজন্য এক বছর পরিকল্পিতভাবে কাজে লেগে থাকলে নিজের দক্ষতা এবং ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ০৯ কার্তিক ১৪২৮ ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

এক বছর সময় দিলেই সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব

image

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে সারা পৃথিবীতে অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, এ সময়েও সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপক সুযোগ আছে বাংলাদেশি তরুণদের। এর জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়তে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা যেকেউ সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আর এজন্য এক বছর সময় বিনিয়োগ করলেই যথেষ্ট। সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবরের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস বিষয়ক জাতীয় কমিটি-২০২১। মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সাইবার প্যারাডাইসের পৃষ্ঠপোষকতায় মাসব্যাপী সচেতনতামূলক এ কর্মসূচি চলছে। গত ১৬ অক্টোবর রাতে আয়োজিত ওয়েবিনারে আলোচনায় অংশ নেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফোটেকের প্রধান নির্বাহী শেখ গালিব রহমান, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের গ্রুপ হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস আহসানুজ্জামান সুজন ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ইনফরমেশন সিকিউরিটি রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান কর্মকর্তা সৈয়দ কামরান আহমেদ।

শেখ গালিব রহমান বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজের পরিসর ব্যাপক। যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার সিকিউরিটি ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সাইবার সিকিউরিটি জগতে ২২২ ধরনের কাজে দক্ষতা তৈরির সুযোগ আছে। তাই আগ্রহী তরুণরা যেকোনো একটিকে বেছে নিয়ে নিজের ও পেশাগত উন্নতি ঘটাতে পারেন, দক্ষতা বাড়াতে পারেন এবং ব্যক্তিগত পরিসর আরও বড় করতে পারেন।

আহসানুজ্জামান সুজন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের চাকরির তথ্যবিষয়ক ওয়েব-পোর্টালগুলোতে দেখা গেছে বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র কমেছে। কিন্তু বিশেষ কিছু কাজের বেলায় ব্যতিক্রম ছিল। এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত অন্যতম। এই খাতের বিভিন্ন কাজে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বরাবরই ভালো সংখ্যক ছিল। তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি খাতে জনশক্তি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষকে ঠিক ভাবে বুঝাতে পারলে, ঝুঁকির বিষয়গুলো চিহ্নিত করে দিতে পারলে তারাও বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবেন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমেই বাংলাদেশে বাড়বে। সৈয়দ কামরান আহমেদ বলেন, সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার গড়তে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়তেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা যেকেউ সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আর এজন্য এক বছর পরিকল্পিতভাবে কাজে লেগে থাকলে নিজের দক্ষতা এবং ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।