কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী ক্যাম্পের ৬ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনায় ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত শনিবার রাত ১২টায় নিহত মাদ্রাসাছাত্র আজিজুল হকের বাবা ও উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার রাতে উখিয়ার ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদ্রাসার একদল রোহিঙ্গা সশস্ত্র হামলা চালায়।
এতে মামলার বাদী নুরুল ইসলামের ছেলে ও মাদ্রাসাটির ছাত্র আজিজুল হক (২২)সহ ৬ জন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ১২ জন। নিহত অন্যরা হল, মাদ্রাসাটির শিক্ষক মো. ইদ্রীস (৩২), নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫) ও মো. হামিদুল্লাহ (৫৫) ও মসজিদের মুসল্লি ইব্রাহীম হোসেন (২৪) ও ক্যাম্পটির স্বেচ্ছাসেবক মো. আমীন (৩২)।
এ ঘটনায় এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প ১১ থেকে আবুল কালামের ছেলে মুজিবুর রহমানকে দেশে তৈরি ওয়ান শুটারগান ও ৬ রাউন্ড তাজা গুলিসহ গ্রেপ্তার করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৫ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তার অন?্য ৯ আসামি হলো, ক্যাম্প-৮-এর আবু তৈয়বের ছেলে দিলদার মাবুদ ওরফে পারভেজ (৩২), সৈয়দ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আয়ুব (৩৭), ক্যাম্প ৯-এর নুর বাশারের ছেলে ফেরদৌস আমিন (৪০), মৌলভী জাহিদ হোসেনের ছেলে আবদুল মজিদ (২৪), ক্যাম্প ১৩ এর আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৩৫), আবু সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), ক্যাম্প ১২ এর ইলিয়াছের ছেলে জাফর আলম (৪৫), ক্যাম্প ১০ এর ওমর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ (৪০) ও মৃত নাজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৪৮)। মুজিবুরের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে উখিয়া থানায় মামলা করে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে আইনশৃখলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ০৯ কার্তিক ১৪২৮ ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
প্রতিনিধি, কক্সবাজার
কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী ক্যাম্পের ৬ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনায় ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গত শনিবার রাত ১২টায় নিহত মাদ্রাসাছাত্র আজিজুল হকের বাবা ও উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার রাতে উখিয়ার ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদ্রাসার একদল রোহিঙ্গা সশস্ত্র হামলা চালায়।
এতে মামলার বাদী নুরুল ইসলামের ছেলে ও মাদ্রাসাটির ছাত্র আজিজুল হক (২২)সহ ৬ জন নিহত হয়। আহত হয় অন্তত ১২ জন। নিহত অন্যরা হল, মাদ্রাসাটির শিক্ষক মো. ইদ্রীস (৩২), নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫) ও মো. হামিদুল্লাহ (৫৫) ও মসজিদের মুসল্লি ইব্রাহীম হোসেন (২৪) ও ক্যাম্পটির স্বেচ্ছাসেবক মো. আমীন (৩২)।
এ ঘটনায় এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প ১১ থেকে আবুল কালামের ছেলে মুজিবুর রহমানকে দেশে তৈরি ওয়ান শুটারগান ও ৬ রাউন্ড তাজা গুলিসহ গ্রেপ্তার করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৫ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তার অন?্য ৯ আসামি হলো, ক্যাম্প-৮-এর আবু তৈয়বের ছেলে দিলদার মাবুদ ওরফে পারভেজ (৩২), সৈয়দ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আয়ুব (৩৭), ক্যাম্প ৯-এর নুর বাশারের ছেলে ফেরদৌস আমিন (৪০), মৌলভী জাহিদ হোসেনের ছেলে আবদুল মজিদ (২৪), ক্যাম্প ১৩ এর আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৩৫), আবু সিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস ওরফে ফয়েজ (২৫), ক্যাম্প ১২ এর ইলিয়াছের ছেলে জাফর আলম (৪৫), ক্যাম্প ১০ এর ওমর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ (৪০) ও মৃত নাজির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আমিন (৪৮)। মুজিবুরের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে উখিয়া থানায় মামলা করে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে আইনশৃখলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।