‘ফিল্ডিংয়ে আমরা কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছি’

বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেল না টাইগাররা। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া ফিফটিতে ১৭১ রানের বড় সংগ্রহই পেয়েছিল মাহমুদুল্লাহর দল। কিন্তু লিটন দাসের জোড়া ক্যাচ মিসের সঙ্গে বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ে ৭ বল আগেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

সহজ দুটি ক্যাচ হাতছাড়া করে শ্রীলঙ্কাকে যেন ম্যাচটা উপহার দিলেন লিটন দাস। ফিল্ডিংয়ে তার বেশ সুনাম। সীমানায় এবং বৃত্তের ভেতরে ফিল্ডিংয়ে সবসময়ই দারুণ নিবেদন দেখান এ ক্রিকেটার। কিন্তু গতকাল দিনটা তার ছিল না। প্রথমে রাজাপাকশা। পরে আসালাঙ্কার ক্যাচ ছেড়ে বাংলাদেশের প্রায় হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটা হাতছাড়া করেন লিটন। সহজ দুটি সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপ ঝরল মাহমুদুল্লাহর কণ্ঠে।

ম্যাচ শেষে মাহমুদুল্লাহ বলেছেন, ‘ব্যাটসম্যান দারুণ কাজ করেছে। লিটন ও নাঈম আমাদের ভালো সূচনা এনে দিয়েছিল। নাঈম অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। মুশফিক নিজেকে দারুণভাবে ফিরিয়ে এনে রান পেয়েছে। ফিল্ডিংয়ে আমরা কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছি। সেগুলো নিজেদের পক্ষে আনতে পারলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত।’

বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে কোন ম্যাচ না খেলা বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে এই ম্যাচের একাদশে রেখেছিল বাংলাদেশ। তাকে জায়গা দিতে বাদ দেয়া হয়েছে ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে। পেসারের বদলে স্পিনার নেয়ার কারণ মূলত আরব আমিরাতে হওয়া সবশেষ আইপিএল। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন, আমিরাতে হওয়া আইপিএলের ম্যাচগুলো তারা দেখেছেন। সেখান থেকেই তাদের মনে হয়েছে শারজার উইকেটে স্পিনাররা সুবিধা পেতে পারে। তাই তাসকিনের জায়গায় নেয়া হয়েছে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুমকে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেছেন, ‘আমরা আইপিএলের ম্যাচগুলো দেখেছি এবং মনে হয়েছে যে একজন বাড়তি স্পিনার থাকলে সাহায্য পাওয়া যাবে। স্পিনাররা ভালো করেছে কিন্তু আমরা কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি। এখন সামনের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে।’ শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারলেও প্রথম ইনিংসের পর বাংলাদেশের মনে হয়েছে ১৭১ রান অবশ্যই ডিফেন্ড করার মতো সংগ্রহ। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে না পারায় হারতে হয়েছে ম্যাচ। তবে ব্যাটসম্যানদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে আশার আলো দেখছেন টাইগার অধিনায়ক। মাহমুদুল্লাহর ভাষ্য, ‘আমার মনে হয়েছে, ১৭১ রান ডিফেন্ড করার মতো সংগ্রহ। লিটন ও নাঈম ভালো একটা শুরু এনে দিয়েছে। নাঈম ইনিংস ধরে রেখেছে, মুশফিক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। আমরা দশম ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিলাম। দশ ওভারের পর সবকিছু বদলে গেছে। পরের ম্যাচে এটি শুধরে নিবো।’

এদিকে সমালোচকদের জবাব দিতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘মাঠের বাইরে তো নানা রকম কথা হবে। এটা সবসময় হয়ে থাকে। খেলোয়াড় হিসেবে আপনি যখন ভালো করবেন তখন সবাই তালি দেবে আবার যখন খারাপ করবেন তখন গালি দেবে। এটাই তো স্বাভাবিক। এটা আমার প্রথম বছর না, গত ১৬ বছর ধরে খেলছি এটা (সমালোচনা) আমার কাছে নতুন কিছু না। এটা আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক লাগে। যারা এইরকম কথা বলে থাকে তাদের নিজেদের মুখটা একটু আয়নায় দেখা উচিত। তারা বাংলাদেশের জন্য খেলে না, খেললে আমরা খেলোয়াড়েরাই খেলি। শুধু আমি না যারা ১৬ বছর ধরে বলেন, ২০০০ সাল কিংবা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগে যারা খেলেছে সবাই ভালো করার চেষ্টা করে। কোনদিন হয় আবার কোনদিন হয় না।’

সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ০৯ কার্তিক ১৪২৮ ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

‘ফিল্ডিংয়ে আমরা কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছি’

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

রেকর্ড উইকেট শিকারি সাকিবকে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর অভিনন্দন -বিসিবি

বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের দেখা পেল না টাইগাররা। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মুশফিকুর রহিমের জোড়া ফিফটিতে ১৭১ রানের বড় সংগ্রহই পেয়েছিল মাহমুদুল্লাহর দল। কিন্তু লিটন দাসের জোড়া ক্যাচ মিসের সঙ্গে বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ে ৭ বল আগেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

সহজ দুটি ক্যাচ হাতছাড়া করে শ্রীলঙ্কাকে যেন ম্যাচটা উপহার দিলেন লিটন দাস। ফিল্ডিংয়ে তার বেশ সুনাম। সীমানায় এবং বৃত্তের ভেতরে ফিল্ডিংয়ে সবসময়ই দারুণ নিবেদন দেখান এ ক্রিকেটার। কিন্তু গতকাল দিনটা তার ছিল না। প্রথমে রাজাপাকশা। পরে আসালাঙ্কার ক্যাচ ছেড়ে বাংলাদেশের প্রায় হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটা হাতছাড়া করেন লিটন। সহজ দুটি সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপ ঝরল মাহমুদুল্লাহর কণ্ঠে।

ম্যাচ শেষে মাহমুদুল্লাহ বলেছেন, ‘ব্যাটসম্যান দারুণ কাজ করেছে। লিটন ও নাঈম আমাদের ভালো সূচনা এনে দিয়েছিল। নাঈম অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। মুশফিক নিজেকে দারুণভাবে ফিরিয়ে এনে রান পেয়েছে। ফিল্ডিংয়ে আমরা কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছি। সেগুলো নিজেদের পক্ষে আনতে পারলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত।’

বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে কোন ম্যাচ না খেলা বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে এই ম্যাচের একাদশে রেখেছিল বাংলাদেশ। তাকে জায়গা দিতে বাদ দেয়া হয়েছে ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে। পেসারের বদলে স্পিনার নেয়ার কারণ মূলত আরব আমিরাতে হওয়া সবশেষ আইপিএল। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন, আমিরাতে হওয়া আইপিএলের ম্যাচগুলো তারা দেখেছেন। সেখান থেকেই তাদের মনে হয়েছে শারজার উইকেটে স্পিনাররা সুবিধা পেতে পারে। তাই তাসকিনের জায়গায় নেয়া হয়েছে বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুমকে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেছেন, ‘আমরা আইপিএলের ম্যাচগুলো দেখেছি এবং মনে হয়েছে যে একজন বাড়তি স্পিনার থাকলে সাহায্য পাওয়া যাবে। স্পিনাররা ভালো করেছে কিন্তু আমরা কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছি। এখন সামনের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে।’ শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারলেও প্রথম ইনিংসের পর বাংলাদেশের মনে হয়েছে ১৭১ রান অবশ্যই ডিফেন্ড করার মতো সংগ্রহ। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে না পারায় হারতে হয়েছে ম্যাচ। তবে ব্যাটসম্যানদের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে আশার আলো দেখছেন টাইগার অধিনায়ক। মাহমুদুল্লাহর ভাষ্য, ‘আমার মনে হয়েছে, ১৭১ রান ডিফেন্ড করার মতো সংগ্রহ। লিটন ও নাঈম ভালো একটা শুরু এনে দিয়েছে। নাঈম ইনিংস ধরে রেখেছে, মুশফিক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। আমরা দশম ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিলাম। দশ ওভারের পর সবকিছু বদলে গেছে। পরের ম্যাচে এটি শুধরে নিবো।’

এদিকে সমালোচকদের জবাব দিতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘মাঠের বাইরে তো নানা রকম কথা হবে। এটা সবসময় হয়ে থাকে। খেলোয়াড় হিসেবে আপনি যখন ভালো করবেন তখন সবাই তালি দেবে আবার যখন খারাপ করবেন তখন গালি দেবে। এটাই তো স্বাভাবিক। এটা আমার প্রথম বছর না, গত ১৬ বছর ধরে খেলছি এটা (সমালোচনা) আমার কাছে নতুন কিছু না। এটা আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক লাগে। যারা এইরকম কথা বলে থাকে তাদের নিজেদের মুখটা একটু আয়নায় দেখা উচিত। তারা বাংলাদেশের জন্য খেলে না, খেললে আমরা খেলোয়াড়েরাই খেলি। শুধু আমি না যারা ১৬ বছর ধরে বলেন, ২০০০ সাল কিংবা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগে যারা খেলেছে সবাই ভালো করার চেষ্টা করে। কোনদিন হয় আবার কোনদিন হয় না।’