ইংরেজি মাধ্যম স্কুল নিয়ে প্রশ্ন

মাহমুদুল হাছান

কিছু কিছু সমালোচক দেশের ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা নিয়ে নেতিবাচক প্রশ্ন তুলে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে থাকেন। সমালোচকরা যুক্তি দেন যে, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর একটি ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে যা দেশীয় সংস্কৃতি, নীতি এবং মূল্যবোধের জন্য হুমকি স্বরূপ।

কিন্তু ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার প্রাধান শক্তি হলো, এর পাঠ্যক্রম এবং ইংরেজি শিখন দক্ষতার মাঝে একটি সুন্দর সংযুক্তি স্থাপন করা। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নিজের সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে সম্পূর্ণ নতুন সংস্কৃতি গ্রহণ করা এবং পশ্চিমা পোশাক পরে দেশীয় ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করা বা আল্ট্রা মডার্ন সেজে উগ্র মনোভাব ও অনৈতিক জীবনযাপন করা। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি স্টাইলে চলাফেরা করে বাংলা খাবার উপেক্ষা করা, বাংলা সাহিত্য, ভাষা, সিনেমা বা গান ভুলে যাওয়া নয়। ইংরেজি হলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার একটি শিখন মাধ্যম মাত্র, যা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

বাংলাদেশে অনেক ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের কোনটিতে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, যা আমাদের দেশীয় কালচারের পরিপন্থি। ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা আমাদের জাতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পালনের ক্ষেত্রে অনেক সচেতন এবং তুলনামূলকভাবে বেশ অগ্রগামী। জাতীয় দিবস পালনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা দিবস পালন করে আমাদের দেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে দেয়ার এ মহৎ কাজটি ইংলিশ মিডিয়ামের স্কুলগুলোই করে থাকে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরকে ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি উন্নত ভাবমূর্তি গড়ে তোলার জন্য কাজ করা উচিত, যার কাজ হচ্ছে এটি একটি মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে তুলে ধরা, যা এখনও বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে সমর্থন করে।

আমরা ইংলিশ মিডিয়াম কমিউনিটি হিসাবে বুঝতে পারি যে আমাদের পরিচয় আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং রীতিনীতি থেকে এসেছে। তাই বাংলা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, নীতি-নৈতিকতা, ইতিহাস, নিজস্ব ভাষা বোঝা এবং শেখা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে যে কোন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক দেশের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিতে হয়। আর অনুমোদন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সব শর্ত যা অন্যান্য বাংলা মিডিয়াম স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তা মেনেই স্কুল চালাতে হয়। সুতরাং দেশীয় কালচার পরিপন্থি কোন বিষয় পড়ানো হয় বা চর্চা করা করা হয় তা একেবারেই ঠিক নয়।

এবার যদি পাঠ্যপুস্তক নির্ধারণ ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নের কথা বলি তাহলে এটি স্পষ্ট যে, ইংলিশ মিডিয়ামের কোন বইতেই দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোন কন্টেন্টস রাখা হয় না। বরং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলা, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বইগুলোর ইংরেজি ভার্সন পড়ানো বাধ্যতামূলকভাবেই সিলেবাসভুক্ত করা হয়ে থাকে। সুতরাং অন্য সংস্কৃতির অনুসরণ করার এই প্রবণতা ইংলিশ মিডিয়ামের কোন বই-পুস্তকে বা শিক্ষকদের পঠন-পাঠনে কোন ইঙ্গিত থাকে না। আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি চরম অসম্মান এবং অবমাননা এ সব প্রতিষ্ঠানে ভুলেও চর্চা করা হয় না।

ইংলিশ মিডিয়াম কারিকুলামে পড়ে শিক্ষার্থীরা যেভাবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করে তোলে, দেশীয় কারিকুলামে পড়ে ততটুকু করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা জানি এ সব স্কুলের টিচিং-লার্নিং এর মাধ্যম হলো ইংরেজি, আর এটি হলো একটি আন্তর্জাতিক ভাষা যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং বিদেশে বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের আস্থাশীল ও আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করে। ফলে, বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তারা দেশের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারে।

ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষকরা যোগ্য, অভিজ্ঞ, দক্ষ্য ও অত্যন্ত বিচক্ষণ। তারা নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। শিক্ষকদের ইন হাউজ ট্রেইনিংয়ের পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক বিষয়ভিত্তিক অনেক প্রশিক্ষণ প্রাদান করা হয়ে থাকে। সুতরাং শিক্ষার মান নির্ণয়ে এ জাতীয় স্কুলগুলোর নানাবিধ পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়ার ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত শিক্ষায়ও অনেক পারদর্শী হয়ে ওঠে। ফলে ক্লাস হয় প্রাণবন্ত এবং শিক্ষার্থীরাও হয় আনন্দিত।

আন্তর্জাতিক মানদ-ে পরিচালিত ও দেশীয় সংস্কৃতির ছোঁয়ার লালিত ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোর শিক্ষা কারিকুলাম ও শিক্ষার মান অনেক উন্নত এবং যুগোপযোগী। যারা এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না বা এ শিক্ষা ধারার সঙ্গে কোনভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়, তাদের পক্ষে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা থাকা খুবই স্বাভাবিক। কারণ ব্রিটিশ শাসনামলে বা দেশ স্বাধীনের কিছুকাল পর পর্যন্ত ব্রিটিশ আধিপত্যের কিছুটা প্রভাব থাকলেও এখন তা একেবারেই মুক্ত, সেটি সম্পর্কে তারা অবগত নন। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি-সভ্যতা, জাতীয় ঐক্য-সংহতি ও বাঙালি চেতনাবোধ জাগ্রত রেখেই ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলামে পরিচালিত আমাদের দেশের ইংরেজি মাধ্যমের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা-কার্যক্রম যে অনেক উন্নত ও সম্মৃদ্ধ তাতে কোন সন্দেহ নেই।

[লেখক : প্রিন্সিপাল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল]

সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১ , ০৯ কার্তিক ১৪২৮ ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ইংরেজি মাধ্যম স্কুল নিয়ে প্রশ্ন

মাহমুদুল হাছান

কিছু কিছু সমালোচক দেশের ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা নিয়ে নেতিবাচক প্রশ্ন তুলে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে থাকেন। সমালোচকরা যুক্তি দেন যে, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর একটি ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে যা দেশীয় সংস্কৃতি, নীতি এবং মূল্যবোধের জন্য হুমকি স্বরূপ।

কিন্তু ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার প্রাধান শক্তি হলো, এর পাঠ্যক্রম এবং ইংরেজি শিখন দক্ষতার মাঝে একটি সুন্দর সংযুক্তি স্থাপন করা। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নিজের সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে সম্পূর্ণ নতুন সংস্কৃতি গ্রহণ করা এবং পশ্চিমা পোশাক পরে দেশীয় ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করা বা আল্ট্রা মডার্ন সেজে উগ্র মনোভাব ও অনৈতিক জীবনযাপন করা। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি স্টাইলে চলাফেরা করে বাংলা খাবার উপেক্ষা করা, বাংলা সাহিত্য, ভাষা, সিনেমা বা গান ভুলে যাওয়া নয়। ইংরেজি হলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার একটি শিখন মাধ্যম মাত্র, যা শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

বাংলাদেশে অনেক ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের কোনটিতে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, যা আমাদের দেশীয় কালচারের পরিপন্থি। ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা আমাদের জাতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পালনের ক্ষেত্রে অনেক সচেতন এবং তুলনামূলকভাবে বেশ অগ্রগামী। জাতীয় দিবস পালনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নানা দিবস পালন করে আমাদের দেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে দেয়ার এ মহৎ কাজটি ইংলিশ মিডিয়ামের স্কুলগুলোই করে থাকে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরকে ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি উন্নত ভাবমূর্তি গড়ে তোলার জন্য কাজ করা উচিত, যার কাজ হচ্ছে এটি একটি মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে তুলে ধরা, যা এখনও বাংলাদেশি সংস্কৃতিকে সমর্থন করে।

আমরা ইংলিশ মিডিয়াম কমিউনিটি হিসাবে বুঝতে পারি যে আমাদের পরিচয় আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ এবং রীতিনীতি থেকে এসেছে। তাই বাংলা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, নীতি-নৈতিকতা, ইতিহাস, নিজস্ব ভাষা বোঝা এবং শেখা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে যে কোন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করতে গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক দেশের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিতে হয়। আর অনুমোদন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সব শর্ত যা অন্যান্য বাংলা মিডিয়াম স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তা মেনেই স্কুল চালাতে হয়। সুতরাং দেশীয় কালচার পরিপন্থি কোন বিষয় পড়ানো হয় বা চর্চা করা করা হয় তা একেবারেই ঠিক নয়।

এবার যদি পাঠ্যপুস্তক নির্ধারণ ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নের কথা বলি তাহলে এটি স্পষ্ট যে, ইংলিশ মিডিয়ামের কোন বইতেই দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোন কন্টেন্টস রাখা হয় না। বরং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলা, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষার বইগুলোর ইংরেজি ভার্সন পড়ানো বাধ্যতামূলকভাবেই সিলেবাসভুক্ত করা হয়ে থাকে। সুতরাং অন্য সংস্কৃতির অনুসরণ করার এই প্রবণতা ইংলিশ মিডিয়ামের কোন বই-পুস্তকে বা শিক্ষকদের পঠন-পাঠনে কোন ইঙ্গিত থাকে না। আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি চরম অসম্মান এবং অবমাননা এ সব প্রতিষ্ঠানে ভুলেও চর্চা করা হয় না।

ইংলিশ মিডিয়াম কারিকুলামে পড়ে শিক্ষার্থীরা যেভাবে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করে তোলে, দেশীয় কারিকুলামে পড়ে ততটুকু করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা জানি এ সব স্কুলের টিচিং-লার্নিং এর মাধ্যম হলো ইংরেজি, আর এটি হলো একটি আন্তর্জাতিক ভাষা যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং বিদেশে বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের আস্থাশীল ও আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করে। ফলে, বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তারা দেশের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারে।

ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষকরা যোগ্য, অভিজ্ঞ, দক্ষ্য ও অত্যন্ত বিচক্ষণ। তারা নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন। শিক্ষকদের ইন হাউজ ট্রেইনিংয়ের পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক বিষয়ভিত্তিক অনেক প্রশিক্ষণ প্রাদান করা হয়ে থাকে। সুতরাং শিক্ষার মান নির্ণয়ে এ জাতীয় স্কুলগুলোর নানাবিধ পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়ার ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত শিক্ষায়ও অনেক পারদর্শী হয়ে ওঠে। ফলে ক্লাস হয় প্রাণবন্ত এবং শিক্ষার্থীরাও হয় আনন্দিত।

আন্তর্জাতিক মানদ-ে পরিচালিত ও দেশীয় সংস্কৃতির ছোঁয়ার লালিত ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোর শিক্ষা কারিকুলাম ও শিক্ষার মান অনেক উন্নত এবং যুগোপযোগী। যারা এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না বা এ শিক্ষা ধারার সঙ্গে কোনভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়, তাদের পক্ষে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা থাকা খুবই স্বাভাবিক। কারণ ব্রিটিশ শাসনামলে বা দেশ স্বাধীনের কিছুকাল পর পর্যন্ত ব্রিটিশ আধিপত্যের কিছুটা প্রভাব থাকলেও এখন তা একেবারেই মুক্ত, সেটি সম্পর্কে তারা অবগত নন। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি-সভ্যতা, জাতীয় ঐক্য-সংহতি ও বাঙালি চেতনাবোধ জাগ্রত রেখেই ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলামে পরিচালিত আমাদের দেশের ইংরেজি মাধ্যমের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা-কার্যক্রম যে অনেক উন্নত ও সম্মৃদ্ধ তাতে কোন সন্দেহ নেই।

[লেখক : প্রিন্সিপাল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল]