কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ চরমপন্থী ঠিকাদার সৈয়দ নূরে আলম ওরফে তারা বাবু (৪৮) গ্রেপ্তার হয়েছে। র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়ার্ডন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান গত রোববার রাতে তারা বাবুকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করে জানান, র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ইউনিটের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের প্রধান আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুলের সেকেন্ড ইন কমান্ড, একাধিক হত্যা মামলার আসামী সৈয়দ নূরে আলম ওরফে তারা বাবুকে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আদাবর রিং রোড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বাবুর অপর সহযোগিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে তারা বাবুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের প্রধান মুকুল তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তারা বাবুর মাধ্যমে বিভিন্ন উঠতি বয়সী যুবক ও সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে। পরবর্তীতে সৈয়দ নূরে আলম তারা বাবুকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের থানা পাড়াস্থ তার নিজ বাসভবন তল্লাশি চালিয়ে একটি এসএমসি, একটি একনলা বন্দুক, একটি ৭ দশমিক ৬৫ মি.মি পিস্তল, একটি রিভলভার ও ১৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিদেশী আত্মগোপন করে থাকা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের প্রধান আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুলের হয়ে সৈয়দ নূরে আলম ওরফে তারা বাবু কুষ্টিয়া এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ কুষ্টিয়ার প্রায় অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। চরমপন্থী শীর্ষ নেতা মুকুলের পক্ষে একচ্ছত্র টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে গত কয়েক বছরে তারা বাবু আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। কুষ্টিয়ার প্রায় সব সরকারি দফতরে তার নিজ নামে ঠিকাদারি লাইসেন্সও রয়েছে।