পীরগঞ্জে তাণ্ডবে জড়িত শিবির নেতা মামুনসহ ২ জন গ্রেপ্তার

রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় হিন্দু গ্রামে তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থেকে ছাত্রশিবির নেতা মণ্ডলসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, আসামি মামুন তাণ্ডবে সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে তদন্তে এবং ভিডিও ফুটেজে তার ছবি দেখে চিহ্নিত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরজন হচ্ছেন ওমর ফারুক সনেট। তাদের দুজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর এলাকায়। গতকাল বিকেলে তাদের রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়েছে।

এদিকে দুই শিবির নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মাহবুবার রহমান ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন। তবে সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শুনানির তারিখ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

এর আগে তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ১৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে এলাহী খান এদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান ১৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক ১৩ জনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট সিএসআই শহিদুল ইসলাম। পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রশিবিরের দুই জন মামুন মণ্ডল ও ওমর ফারুক সনেট পীরগঞ্জে মাঝিপাড়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। আসামি মামুন মণ্ডল নিজেই পেট্রোল দিয়ে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে, মামলা তিনটিসহ ৪টি মামলা। এ পর্যন্ত অবমাননাকর পোস্ট দেয়া পরেশ চন্দ্র ওরফে পরিতোষসহ ৫ জন। এর আগে ৩৭ জন আসামিকে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রোববার আদালতে হাজির করলে তারা কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত না হওয়ায় তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

তবে পুলিশ বলেছে, তিন দিনের রিমান্ডে থাকা ৩৭ আসামি জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। যা মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১ , ১০ কার্তিক ১৪২৮ ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

পীরগঞ্জে তাণ্ডবে জড়িত শিবির নেতা মামুনসহ ২ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর

রংপুরের পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় হিন্দু গ্রামে তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর থেকে ছাত্রশিবির নেতা মণ্ডলসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, আসামি মামুন তাণ্ডবে সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে তদন্তে এবং ভিডিও ফুটেজে তার ছবি দেখে চিহ্নিত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরজন হচ্ছেন ওমর ফারুক সনেট। তাদের দুজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর এলাকায়। গতকাল বিকেলে তাদের রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়েছে।

এদিকে দুই শিবির নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মাহবুবার রহমান ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন। তবে সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শুনানির তারিখ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

এর আগে তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ১৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে এলাহী খান এদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান ১৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক ১৩ জনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট সিএসআই শহিদুল ইসলাম। পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রশিবিরের দুই জন মামুন মণ্ডল ও ওমর ফারুক সনেট পীরগঞ্জে মাঝিপাড়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। আসামি মামুন মণ্ডল নিজেই পেট্রোল দিয়ে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে, মামলা তিনটিসহ ৪টি মামলা। এ পর্যন্ত অবমাননাকর পোস্ট দেয়া পরেশ চন্দ্র ওরফে পরিতোষসহ ৫ জন। এর আগে ৩৭ জন আসামিকে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রোববার আদালতে হাজির করলে তারা কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত না হওয়ায় তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

তবে পুলিশ বলেছে, তিন দিনের রিমান্ডে থাকা ৩৭ আসামি জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। যা মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।