রাজশাহী অঞ্চলে ইউপি নির্বাচন নিয়ে উত্তাপ বাড়ছে

রাজশাহী অঞ্চলে ইউপি নির্বাচন নিয়ে ভোটের রাজনীতি দিনের পর দিন সরগরম হয়ে উঠছে। দলের জন্য ত্যাগী নেতারা কেউ কাঁদছে, কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান মনোনয়ন না পেয়ে তার ভাতিজাকেই নিজ দলের বিদ্রোহ করাচ্ছে।

দলের জন্য নিজের ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মোহনপুর উপজেলা শাখার শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরঞ্জিত কুমার সরকার।

অপরদিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি বর্তমান চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আক্তার। তাই আওয়ামী লীগের এই নেতা এবার তার ভাতিজাকে দিয়ে ‘বিদ্রোহ’ করাচ্ছেন। নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভাতিজাকে প্রার্থী করে ভোটের মাঠে নামিয়েছেন তিনি। নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করাতে নিজের অনুসারীদের দিয়ে পেছন থেকে ‘কলকাঠি’ নাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ভাতিজার নাম মাসুদ ইকবাল। মাসুদকেই নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তার। মাসুদের বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারের আপন ভাই।

টানা তিনবার এই ইউপির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এবার নৌকা না পেয়ে তিনি তার আপন ভাতিজাকে প্রার্থী করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভাতিজার পক্ষে কাজ করায় অবিলম্বে চেয়ারম্যান আক্তারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারের সঙ্গে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। এমপি ফারুক বিরোধী হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা-কর্মী চেয়ারম্যান আক্তারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এবার মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সোহেল। করোনাকালে তিনি ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকে জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ধরে রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান তার ভাতিজা মাসুদ ইকবালকে প্রার্থী করেছেন। অথচ ইউনিয়নবাসী তাকে ঠিকমতো চেনেনই না। এমনকি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ও নন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি ইউনিয়নবাসীর পাশে রয়েছি। বিরোধিতা করে লাভ হবে না। বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভাতিজাকে প্রার্থী করা এবং তার পক্ষে মাঠে নামার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন ঝামেলার মধ্যে আছি। এ ব্যাপারে পরে কথা বলব। এরপরেই তিনি ফোন বিচ্ছিন্ন করে দেন।

তবে চেয়ারম্যান আক্তারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ বলেন, নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আক্তারের অবস্থানের বিষয়ে নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত অভিযোগ করছেন। আক্তার তার ভাতিজা মাসুদ ইকবালকে প্রার্থী করে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হবে। আক্তার যেহেতু জেলার নেতা, তাই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হবে।

এদিকে, দলের জন্য নিজের ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মোহনপুর উপজেলা শাখার শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরঞ্জিত কুমার সরকার। রোববার দুপুরে তিনি রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তাকে বাদ দিয়ে সাবেক বিদ্রোহী প্রার্থীর ছেলেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাই ওই ইউনিয়নে দেয়া মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য দলীয় প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

সুরঞ্জিত কুমার সরকার গত নির্বাচনে রায়ঘাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি খলিলুর রহমান। নির্বাচনে খলিলুরই জেতেন। এবার খলিলুরের ছেলে বাবলু হোসেন আওয়ামী লীগের কোন পদে নেই। অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন কৌশলে চেয়ারম্যান বাবলু হোসেনকে মনোনয়ন এনে দিয়েছেন।

তিনি দলীয় সভানেত্রীর কাছে এ ঘটনা তদন্তের দাবি জানান। বলেন, আপনারা মাঠজরিপ করুন, কার জনপ্রিয়তা বেশি। আমার জনপ্রিয়তা বেশি হলে যেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়।

সুরঞ্জিত সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ করার কারণে তিনি ২০০৫ সালে ২২ দিন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় ১৪ দিন কারাভোগ করেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর নাশকতার প্রতিরোধ করায় বিএনপি-জামায়াতের হামলার শিকার হন।

শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মনোনয়নের সুপারিশের তালিকায় তার নাম পাঁচ নম্বরে লেখা হয়। আর কোন পদে না থাকা বাবলু হোসেনের নাম লেখা হয় তালিকার এক নম্বরে! এর আগে শনিবার মনোনয়নের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন সুরঞ্জিত কুমার সরকার। এছাড়া তাকে মনোনয়ন না দেয়ায় উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১ , ১০ কার্তিক ১৪২৮ ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

রাজশাহী অঞ্চলে ইউপি নির্বাচন নিয়ে উত্তাপ বাড়ছে

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী অঞ্চলে ইউপি নির্বাচন নিয়ে ভোটের রাজনীতি দিনের পর দিন সরগরম হয়ে উঠছে। দলের জন্য ত্যাগী নেতারা কেউ কাঁদছে, কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান মনোনয়ন না পেয়ে তার ভাতিজাকেই নিজ দলের বিদ্রোহ করাচ্ছে।

দলের জন্য নিজের ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মোহনপুর উপজেলা শাখার শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরঞ্জিত কুমার সরকার।

অপরদিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি বর্তমান চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আক্তার। তাই আওয়ামী লীগের এই নেতা এবার তার ভাতিজাকে দিয়ে ‘বিদ্রোহ’ করাচ্ছেন। নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভাতিজাকে প্রার্থী করে ভোটের মাঠে নামিয়েছেন তিনি। নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করাতে নিজের অনুসারীদের দিয়ে পেছন থেকে ‘কলকাঠি’ নাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ভাতিজার নাম মাসুদ ইকবাল। মাসুদকেই নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তার। মাসুদের বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারের আপন ভাই।

টানা তিনবার এই ইউপির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এবার নৌকা না পেয়ে তিনি তার আপন ভাতিজাকে প্রার্থী করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভাতিজার পক্ষে কাজ করায় অবিলম্বে চেয়ারম্যান আক্তারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারের সঙ্গে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। এমপি ফারুক বিরোধী হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা-কর্মী চেয়ারম্যান আক্তারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এবার মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সোহেল। করোনাকালে তিনি ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকে জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ধরে রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান তার ভাতিজা মাসুদ ইকবালকে প্রার্থী করেছেন। অথচ ইউনিয়নবাসী তাকে ঠিকমতো চেনেনই না। এমনকি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ও নন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি ইউনিয়নবাসীর পাশে রয়েছি। বিরোধিতা করে লাভ হবে না। বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভাতিজাকে প্রার্থী করা এবং তার পক্ষে মাঠে নামার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন ঝামেলার মধ্যে আছি। এ ব্যাপারে পরে কথা বলব। এরপরেই তিনি ফোন বিচ্ছিন্ন করে দেন।

তবে চেয়ারম্যান আক্তারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ বলেন, নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আক্তারের অবস্থানের বিষয়ে নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত অভিযোগ করছেন। আক্তার তার ভাতিজা মাসুদ ইকবালকে প্রার্থী করে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার বিষয়টি তদন্ত করা হবে। আক্তার যেহেতু জেলার নেতা, তাই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হবে।

এদিকে, দলের জন্য নিজের ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাঁদলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মোহনপুর উপজেলা শাখার শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুরঞ্জিত কুমার সরকার। রোববার দুপুরে তিনি রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তাকে বাদ দিয়ে সাবেক বিদ্রোহী প্রার্থীর ছেলেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাই ওই ইউনিয়নে দেয়া মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য দলীয় প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

সুরঞ্জিত কুমার সরকার গত নির্বাচনে রায়ঘাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি খলিলুর রহমান। নির্বাচনে খলিলুরই জেতেন। এবার খলিলুরের ছেলে বাবলু হোসেন আওয়ামী লীগের কোন পদে নেই। অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন কৌশলে চেয়ারম্যান বাবলু হোসেনকে মনোনয়ন এনে দিয়েছেন।

তিনি দলীয় সভানেত্রীর কাছে এ ঘটনা তদন্তের দাবি জানান। বলেন, আপনারা মাঠজরিপ করুন, কার জনপ্রিয়তা বেশি। আমার জনপ্রিয়তা বেশি হলে যেন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়।

সুরঞ্জিত সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ করার কারণে তিনি ২০০৫ সালে ২২ দিন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় ১৪ দিন কারাভোগ করেছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর নাশকতার প্রতিরোধ করায় বিএনপি-জামায়াতের হামলার শিকার হন।

শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মনোনয়নের সুপারিশের তালিকায় তার নাম পাঁচ নম্বরে লেখা হয়। আর কোন পদে না থাকা বাবলু হোসেনের নাম লেখা হয় তালিকার এক নম্বরে! এর আগে শনিবার মনোনয়নের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাছে একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন সুরঞ্জিত কুমার সরকার। এছাড়া তাকে মনোনয়ন না দেয়ায় উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।