ডেন্টালে ভর্তির কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, জবি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ডেন্টালে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গত রোববার রাত সাড়ে ৮টায় গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দায় অভিযান চালিয়ে আবু মুসা আসারী নামের ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের নাম লেখা ২টি ভুয়া পরিচয়পত্র, একাধিক ভুয়া এনআইডি কার্ড ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের কপি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার মুসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দুই বছর ধরে তিনি এই প্রতারণায় জড়িত।

গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, এক তরুণী গত ১০ অক্টোবর ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেও উত্তীর্ণ হননি। ১২ অক্টোবর ফল প্রকাশের পর ওই তরুণীর বাবার সঙ্গে মুসা আসারীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। মুসা আসারী নিজেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। সে ওই মেয়ের রোল নম্বর নিয়ে জানায়, মেয়েটির রেজাল্ট ভালো। চান্সও পেয়েছে। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে তাকে চান্স না দিয়ে অন্য কাউকে দেয়া হয়েছে। এরপর মুসা ভিকটিমকে জানায়, তিনি যদি মেয়েকে ডেন্টালে ভর্তি পাওয়াতে চান, তবে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। ভিকটিম জানায়, তার কাছে অত টাকা নেই। এটা শুনে মুসা বলে, এখন দুই লাখ দিন, বাকিটা ভর্তির পর দিলেও হবে।

মুসার কথা প্রথমে বিশ্বাস করেননি ভিকটিম। পরে তার ইমো আইডিতে ইউজিসির একটি পরিচয়পত্র পাঠায় মুসা আসারী। মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে চ্যাটিংয়ের ভুয়া স্ক্রিনশটও পাঠায়। এসব দেখে ভিকটিম কিছুটা আশ্বস্ত হলে মুসার সঙ্গে দেখা করে যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক সড়কের রেটিনা কোচিং সেন্টারের সামনে বসে দুই লাখ টাকা দেন।

ওই তরুণীর বাবা আরও বলেন, টাকা দেয়ার পরদিন মুসাকে ফোন দিয়ে রেজাল্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, আজকের মধ্যেই উপরের মহলে আরও এক লাখ টাকা দিতে হবে, তা না হলে মেয়ের রেজাল্ট আগেরটাই থাকবে। তখন মুসার কথায় সন্দেহ হয় ভিকটিমের। মুসা ভিকটিমের কাছে টাকার জন্য বার বার ফোন দিতে থাকে। মেসেঞ্জারে হুমকি দেয় এই বলে- টাকা না দিলে ভিকটিমের মেয়েকে কোথাও ভর্তি হতে দেবে না।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১ , ১০ কার্তিক ১৪২৮ ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ডেন্টালে ভর্তির কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, জবি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ডেন্টালে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গত রোববার রাত সাড়ে ৮টায় গেন্ডারিয়া থানার নারিন্দায় অভিযান চালিয়ে আবু মুসা আসারী নামের ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের নাম লেখা ২টি ভুয়া পরিচয়পত্র, একাধিক ভুয়া এনআইডি কার্ড ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের কপি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার মুসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দুই বছর ধরে তিনি এই প্রতারণায় জড়িত।

গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, এক তরুণী গত ১০ অক্টোবর ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেও উত্তীর্ণ হননি। ১২ অক্টোবর ফল প্রকাশের পর ওই তরুণীর বাবার সঙ্গে মুসা আসারীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। মুসা আসারী নিজেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। সে ওই মেয়ের রোল নম্বর নিয়ে জানায়, মেয়েটির রেজাল্ট ভালো। চান্সও পেয়েছে। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনিয়মের কারণে তাকে চান্স না দিয়ে অন্য কাউকে দেয়া হয়েছে। এরপর মুসা ভিকটিমকে জানায়, তিনি যদি মেয়েকে ডেন্টালে ভর্তি পাওয়াতে চান, তবে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। ভিকটিম জানায়, তার কাছে অত টাকা নেই। এটা শুনে মুসা বলে, এখন দুই লাখ দিন, বাকিটা ভর্তির পর দিলেও হবে।

মুসার কথা প্রথমে বিশ্বাস করেননি ভিকটিম। পরে তার ইমো আইডিতে ইউজিসির একটি পরিচয়পত্র পাঠায় মুসা আসারী। মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে চ্যাটিংয়ের ভুয়া স্ক্রিনশটও পাঠায়। এসব দেখে ভিকটিম কিছুটা আশ্বস্ত হলে মুসার সঙ্গে দেখা করে যাত্রাবাড়ী থানার শহীদ ফারুক সড়কের রেটিনা কোচিং সেন্টারের সামনে বসে দুই লাখ টাকা দেন।

ওই তরুণীর বাবা আরও বলেন, টাকা দেয়ার পরদিন মুসাকে ফোন দিয়ে রেজাল্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, আজকের মধ্যেই উপরের মহলে আরও এক লাখ টাকা দিতে হবে, তা না হলে মেয়ের রেজাল্ট আগেরটাই থাকবে। তখন মুসার কথায় সন্দেহ হয় ভিকটিমের। মুসা ভিকটিমের কাছে টাকার জন্য বার বার ফোন দিতে থাকে। মেসেঞ্জারে হুমকি দেয় এই বলে- টাকা না দিলে ভিকটিমের মেয়েকে কোথাও ভর্তি হতে দেবে না।