দেড় বছর পর আবাসিক হলে শাবি শিক্ষার্থীরা

দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় পর আবাসিক হলে ফিরেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হলের গেট আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়। হলের বৈধ পরিচয়পত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র এবং করোনার টিকা গ্রহণের প্রমাণপত্র দেখিয়ে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ৫৮৫ দিন পর বন্ধু-বান্ধবদের ফিরে পেয়ে বাঁধভাঙা উৎসবে মেতে ওঠেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ পরান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, সৈয়দ মুজতবা আলী হল, প্রথম ছাত্রী হল ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল কর্তৃপক্ষ পৃথক আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।

শিক্ষার্থীদের ফুল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাবার, চকলেট, হ্যান্ড ব্যাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সংবলিত মাস্ক প্রভৃতি উপহার দিয়ে দেন স্ব-স্ব হল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে হলগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন কক্ষে শিক্ষার্থীরা রুম গোছানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দীর্ঘদিন রুম বন্ধ থাকায় ময়লা-আবর্জনা জমেছে। রেখে যাওয়া অনেক আসবাবপত্র, ব্যবহৃত জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো ব্যবহার করা সম্ভব সেগুলো ধুয়ে-মুছে ব্যবহার উপযোগী করছেন শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন পর হলে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ ভূঁইয়া বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় বছর পর আমরা আমাদের আবাসিক হলে প্রবেশ করতে পারছি। বিষয়টা আমাদের জন্য অবশ্যই আনন্দের। হল কর্তৃপক্ষের সুন্দর ব্যবস্থাপনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমরা যারা হলে উঠেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব।’

অন্যদিকে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভার্র্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

হল প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সামিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন প্রমুখ।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১ , ১০ কার্তিক ১৪২৮ ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

দেড় বছর পর আবাসিক হলে শাবি শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, শাবি

দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় পর আবাসিক হলে ফিরেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হলের গেট আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়। হলের বৈধ পরিচয়পত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র এবং করোনার টিকা গ্রহণের প্রমাণপত্র দেখিয়ে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। ৫৮৫ দিন পর বন্ধু-বান্ধবদের ফিরে পেয়ে বাঁধভাঙা উৎসবে মেতে ওঠেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ পরান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, সৈয়দ মুজতবা আলী হল, প্রথম ছাত্রী হল ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল কর্তৃপক্ষ পৃথক আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বরণ করেন।

শিক্ষার্থীদের ফুল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাবার, চকলেট, হ্যান্ড ব্যাগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সংবলিত মাস্ক প্রভৃতি উপহার দিয়ে দেন স্ব-স্ব হল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে হলগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন কক্ষে শিক্ষার্থীরা রুম গোছানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দীর্ঘদিন রুম বন্ধ থাকায় ময়লা-আবর্জনা জমেছে। রেখে যাওয়া অনেক আসবাবপত্র, ব্যবহৃত জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। যেগুলো ব্যবহার করা সম্ভব সেগুলো ধুয়ে-মুছে ব্যবহার উপযোগী করছেন শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন পর হলে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ ভূঁইয়া বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় বছর পর আমরা আমাদের আবাসিক হলে প্রবেশ করতে পারছি। বিষয়টা আমাদের জন্য অবশ্যই আনন্দের। হল কর্তৃপক্ষের সুন্দর ব্যবস্থাপনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমরা যারা হলে উঠেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলব।’

অন্যদিকে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভার্র্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

হল প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সামিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন প্রমুখ।