সাগর-রুনী হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ৮২ বার পেছাল

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন র‌্যাব তা দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮২ বার পেছাল।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনী নৃশংসভাবে খুন হন। ফ্ল্যাটে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। হত্যাকা-ের সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।

সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে এ মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই থেকে নয় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১ , ১০ কার্তিক ১৪২৮ ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সাগর-রুনী হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ৮২ বার পেছাল

আদালত বার্তা পরিবেশক

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন র‌্যাব তা দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮২ বার পেছাল।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনী নৃশংসভাবে খুন হন। ফ্ল্যাটে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। হত্যাকা-ের সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।

সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে এ মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই থেকে নয় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।