‘আমরা ছোটখাটো কিছু ভুল করেছি’

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে বাংলাদেশ দাঁড় করিয়েছিল ১৭১ রানের সংগ্রহ। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসের ১২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৯০ রান। অর্থাৎ শেষের আট ওভারে বাকি ছিল আরও ৮২ রান, হাতে ছয় উইকেট। এই সমীকরণের ম্যাচে আর মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৪০ বলেই বাকি রান করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা।

তাদের জয়টি সহজ হয়েছে লিটন দাসের জোড়া ক্যাচ মিসের কারণে। ইনিংসের ১৩তম ওভারে আফিফের বলে প্রথমে রাজাপাকশের ক্যাচ ছাড়েন লিটন। পরে ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে মোস্তাফিজের বলে আসালাঙ্কাকে জীবন দেন লিটন।

জীবন পাওয়া এ দুই ব্যাটসম্যানই শেষ করেন ম্যাচ। তাদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে মাত্র ৮.৪ ওভারে ৮৬ রান। আসালাঙ্কা অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৮০ রান করে আর রাজাপাকশে খেলেন ৩১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। এ দুজনই মূলত জিতিয়েছেন লঙ্কানদের।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ হারের বড় দায় বর্তায় লিটনের কাঁধে। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুশফিকুর রহিম এমনটা মানতে নারাজ। লিটন দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার বিধায় তাকে এখানে দায় দেয়ার কিছু নেই বলেই মনে করেন দলের সিনিয়র ব্যাটার মুশফিক।

তিনি বলেছেন, ‘আমি বলবো, দায় দেয়ার কিছু নেই। আপনি যত রানই করেন না কেন, যেই ম্যাচই খেলেন না কেন, ছোটখাটো কিছু ভুল থাকে, অনেক কিছু ইতিবাচক থাকে। আমার কাছে মনে হয়, যে ক্যাচ দুটো ছুটেছে সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লিটন খুবই ভালো ফিল্ডার।’

মুশফিক আরও যোগ করেন, ‘আমার হাত থেকে ছুটলে হয়তো... কারণ আমি ওই মানের ফিল্ডার না। কিন্তু লিটন আমাদের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। ওই সময়টায় (ক্যাচ দুটো) খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুই বাঁ-হাতি ব্যাটার খুবই ভালো ব্যাট করছিল, একটা পার্টনারশিপ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের জন্য ব্রেক থ্রুটা খুব দরকার ছিল।’

এ সময় ম্যাচে বাংলাদেশের হারের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মুশফিক বলেন, ‘শারজার উইকেটে শেষ কয়েকটা ম্যাচে যেমন দেখেছি, ১৪০-১৫০ করলেই ম্যাচ জেতার মতো স্কোর। কিন্তু আমি ব্যাটিং করে দেখেছি আজকের উইকেট বেশ ভালো ছিল। আবার মাঠের এক পাশ ছোট ছিল। আমরা জানতাম যে, ১৭০ আসলে জেতার স্কোর না কিন্তু আমরা যদি শুরুর ৫-৬টা ওভার ভালো করতে পারি এবং সুযোগ পেলে সেগুলো নিতে পারি, তাহলে আমরা ম্যাচে থাকতে পারবো।’

তার শেষ কথা, ‘যদিও আমরা শুরুতে উইকেট নিয়েছিলাম কিন্তু ওরা পাওয়ার-প্লে’র বেশ ভালো ব্যবহার করেছে। এরপর সাকিবের ওই ওভারে (নবম ওভারে জোড়া উইকেট) মোমেন্টার আবার কাছে এসেছিল। কিন্তু শেষে যেহেতু সেট ব্যাটার ছিল, তারা খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। সবমিলিয়ে আমি বলবো, দায় ঠিক না। আমরা ছোটখাটো কিছু ভুল করেছি। সে কারণে ম্যাচটা জিততে পারিনি।’

এছাড়াও মুশফিক সমালোচকদের ব্যাপারে ঝাঁঝালো বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘মাঠের বাইরে তো নানা রকম কথা হবে। এটা সবসময় হয়ে থাকে। খেলোয়াড় হিসেবে আপনি যখন ভালো করবেন তখন সবাই তালি দেবে আবার যখন খারাপ করবেন তখন গালি দেবে। এটাই তো স্বাভাবিক। এটা আমার প্রথম বছর না, গত ১৬ বছর ধরে খেলছি এটা (সমালোচনা) আমার কাছে নতুন কিছু না। এটা আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক লাগে’। ‘যারা এইরকম কথা বলে থাকে তাদের নিজেদের মুখটা একটু আয়নায় দেখা উচিত। তারা বাংলাদেশের জন্য খেলে না, খেললে আমরা খেলোয়াড়েরাই খেলি। শুধু আমি না যারা ১৬ বছর ধরে বলেন, ২০০০ সাল কিংবা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগে যারা খেলেছে সবাই ভালো করার চেষ্টা করে। কোনদিন হয় আবার কোনদিন হয় না।’

এছাড়াও ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। সোমবার টিম হোটেল থেকে ভিডিও বার্তায় নাঈম স্বীকার করলেন, বাংলাদেশের রানটা জয় পাওয়ার মতোই ছিল। কিন্তু একটি ভুলে সব শেষ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমরা কাল কোন একটা ভুলের কারণে জিততে পারিনি। ইনশাআল্লাহ আমাদের ফোকাস থাকবে সামনের ম্যাচগুলোতে যেন তিন ডিপার্টমেন্টেই ভালো করতে পারি।’

নাঈম বলেন, ‘যখন শুরুটা ভালো হলো, তখন আমি, সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই মিলে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে চেষ্টা করলাম যে এ উইকেটে কত রান করলে ডিফেন্ড করতে পারব। তো আমরা কাল যে রান করেছিলাম সেটা ডিফেন্ড করার মতো ছিল।’

অন্যদিকে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নাঈম বলেন, ‘আসলে সবসময়ই আমি চাই রান করতে। রান করলে যে কোন ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে। কোন ইভেন্ট থাকলে তো আমার বেশি ফোকাস থাকে। ধারাবাহিক রান করার জন্য আন্তর্জাতিক থেকে ঘরোয়া ইভেন্টে ফোকাসটা বেশি রাখতে হয়।’

লিটন-লাহিরুর জরিমানা

টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-১-এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাকবিতা-ায় জড়িয়ে পাড়ায় বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস ও শ্রীলঙ্কার পেসার লাহিরু কুমারাকে জরিমানা করেছে আইসিসি।

লিটনকে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ এবং লাহিরুকে ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে বলে আইসিসির পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে। আইসিসি জানিয়েছে, লিটন-লাহিরু আইসিসি কোডের লেভেল-১ ভঙ্গ করেছেন। যা খেলার আচরণবিধি পরিপন্থী।

রোববার শারজাহ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ঘটনাটি ঘটে। ওই ওভারের পঞ্চম বলে কুমারার বলে আউট হন লিটন। লাহিরুর বলে মিড-অফে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ক্যাচ দেন লিটন। আউট হয়ে লিটন যখন প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটছিলেন তখন তেড়ে গিয়ে বাংলাদেশের ওপেনারের সঙ্গে তর্কে জড়ান লাহিরু। এক পর্যায়ে লাহিরুর দিকে ব্যাট তুলে মারার ইঙ্গিত করেন লিটন। যা আইসিসির আচরণবিধির পরিপন্থী।

আচরণবিধির ২ দশমিক ২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আচরণবিধির নিয়ম ভঙ্গ করায় লিটনকে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি ১ ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। আর আচরণবিধির ২ দশমিক ৫ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেন লাহিরু। ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা ছাড়াও ১ ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে লাহিরুকে।

লিটন-কুমারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় কোন আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

আইসিসির এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ শাস্তি আরোপ করেছেন। লিটন-কুমারার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন অনফিল্ড আম্পায়ার জোয়েল উইলসন ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক, থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ ও ফোর্থ আম্পায়ার রড টাকার।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১ , ১০ কার্তিক ১৪২৮ ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

‘আমরা ছোটখাটো কিছু ভুল করেছি’

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে বাংলাদেশ দাঁড় করিয়েছিল ১৭১ রানের সংগ্রহ। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসের ১২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৯০ রান। অর্থাৎ শেষের আট ওভারে বাকি ছিল আরও ৮২ রান, হাতে ছয় উইকেট। এই সমীকরণের ম্যাচে আর মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৪০ বলেই বাকি রান করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা।

তাদের জয়টি সহজ হয়েছে লিটন দাসের জোড়া ক্যাচ মিসের কারণে। ইনিংসের ১৩তম ওভারে আফিফের বলে প্রথমে রাজাপাকশের ক্যাচ ছাড়েন লিটন। পরে ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে মোস্তাফিজের বলে আসালাঙ্কাকে জীবন দেন লিটন।

জীবন পাওয়া এ দুই ব্যাটসম্যানই শেষ করেন ম্যাচ। তাদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে মাত্র ৮.৪ ওভারে ৮৬ রান। আসালাঙ্কা অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৮০ রান করে আর রাজাপাকশে খেলেন ৩১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। এ দুজনই মূলত জিতিয়েছেন লঙ্কানদের।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ হারের বড় দায় বর্তায় লিটনের কাঁধে। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুশফিকুর রহিম এমনটা মানতে নারাজ। লিটন দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার বিধায় তাকে এখানে দায় দেয়ার কিছু নেই বলেই মনে করেন দলের সিনিয়র ব্যাটার মুশফিক।

তিনি বলেছেন, ‘আমি বলবো, দায় দেয়ার কিছু নেই। আপনি যত রানই করেন না কেন, যেই ম্যাচই খেলেন না কেন, ছোটখাটো কিছু ভুল থাকে, অনেক কিছু ইতিবাচক থাকে। আমার কাছে মনে হয়, যে ক্যাচ দুটো ছুটেছে সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লিটন খুবই ভালো ফিল্ডার।’

মুশফিক আরও যোগ করেন, ‘আমার হাত থেকে ছুটলে হয়তো... কারণ আমি ওই মানের ফিল্ডার না। কিন্তু লিটন আমাদের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। ওই সময়টায় (ক্যাচ দুটো) খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুই বাঁ-হাতি ব্যাটার খুবই ভালো ব্যাট করছিল, একটা পার্টনারশিপ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের জন্য ব্রেক থ্রুটা খুব দরকার ছিল।’

এ সময় ম্যাচে বাংলাদেশের হারের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মুশফিক বলেন, ‘শারজার উইকেটে শেষ কয়েকটা ম্যাচে যেমন দেখেছি, ১৪০-১৫০ করলেই ম্যাচ জেতার মতো স্কোর। কিন্তু আমি ব্যাটিং করে দেখেছি আজকের উইকেট বেশ ভালো ছিল। আবার মাঠের এক পাশ ছোট ছিল। আমরা জানতাম যে, ১৭০ আসলে জেতার স্কোর না কিন্তু আমরা যদি শুরুর ৫-৬টা ওভার ভালো করতে পারি এবং সুযোগ পেলে সেগুলো নিতে পারি, তাহলে আমরা ম্যাচে থাকতে পারবো।’

তার শেষ কথা, ‘যদিও আমরা শুরুতে উইকেট নিয়েছিলাম কিন্তু ওরা পাওয়ার-প্লে’র বেশ ভালো ব্যবহার করেছে। এরপর সাকিবের ওই ওভারে (নবম ওভারে জোড়া উইকেট) মোমেন্টার আবার কাছে এসেছিল। কিন্তু শেষে যেহেতু সেট ব্যাটার ছিল, তারা খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। সবমিলিয়ে আমি বলবো, দায় ঠিক না। আমরা ছোটখাটো কিছু ভুল করেছি। সে কারণে ম্যাচটা জিততে পারিনি।’

এছাড়াও মুশফিক সমালোচকদের ব্যাপারে ঝাঁঝালো বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘মাঠের বাইরে তো নানা রকম কথা হবে। এটা সবসময় হয়ে থাকে। খেলোয়াড় হিসেবে আপনি যখন ভালো করবেন তখন সবাই তালি দেবে আবার যখন খারাপ করবেন তখন গালি দেবে। এটাই তো স্বাভাবিক। এটা আমার প্রথম বছর না, গত ১৬ বছর ধরে খেলছি এটা (সমালোচনা) আমার কাছে নতুন কিছু না। এটা আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক লাগে’। ‘যারা এইরকম কথা বলে থাকে তাদের নিজেদের মুখটা একটু আয়নায় দেখা উচিত। তারা বাংলাদেশের জন্য খেলে না, খেললে আমরা খেলোয়াড়েরাই খেলি। শুধু আমি না যারা ১৬ বছর ধরে বলেন, ২০০০ সাল কিংবা টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগে যারা খেলেছে সবাই ভালো করার চেষ্টা করে। কোনদিন হয় আবার কোনদিন হয় না।’

এছাড়াও ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। সোমবার টিম হোটেল থেকে ভিডিও বার্তায় নাঈম স্বীকার করলেন, বাংলাদেশের রানটা জয় পাওয়ার মতোই ছিল। কিন্তু একটি ভুলে সব শেষ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমরা কাল কোন একটা ভুলের কারণে জিততে পারিনি। ইনশাআল্লাহ আমাদের ফোকাস থাকবে সামনের ম্যাচগুলোতে যেন তিন ডিপার্টমেন্টেই ভালো করতে পারি।’

নাঈম বলেন, ‘যখন শুরুটা ভালো হলো, তখন আমি, সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই মিলে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে চেষ্টা করলাম যে এ উইকেটে কত রান করলে ডিফেন্ড করতে পারব। তো আমরা কাল যে রান করেছিলাম সেটা ডিফেন্ড করার মতো ছিল।’

অন্যদিকে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নাঈম বলেন, ‘আসলে সবসময়ই আমি চাই রান করতে। রান করলে যে কোন ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে। কোন ইভেন্ট থাকলে তো আমার বেশি ফোকাস থাকে। ধারাবাহিক রান করার জন্য আন্তর্জাতিক থেকে ঘরোয়া ইভেন্টে ফোকাসটা বেশি রাখতে হয়।’

লিটন-লাহিরুর জরিমানা

টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-১-এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাকবিতা-ায় জড়িয়ে পাড়ায় বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস ও শ্রীলঙ্কার পেসার লাহিরু কুমারাকে জরিমানা করেছে আইসিসি।

লিটনকে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ এবং লাহিরুকে ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে বলে আইসিসির পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে। আইসিসি জানিয়েছে, লিটন-লাহিরু আইসিসি কোডের লেভেল-১ ভঙ্গ করেছেন। যা খেলার আচরণবিধি পরিপন্থী।

রোববার শারজাহ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ঘটনাটি ঘটে। ওই ওভারের পঞ্চম বলে কুমারার বলে আউট হন লিটন। লাহিরুর বলে মিড-অফে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ক্যাচ দেন লিটন। আউট হয়ে লিটন যখন প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটছিলেন তখন তেড়ে গিয়ে বাংলাদেশের ওপেনারের সঙ্গে তর্কে জড়ান লাহিরু। এক পর্যায়ে লাহিরুর দিকে ব্যাট তুলে মারার ইঙ্গিত করেন লিটন। যা আইসিসির আচরণবিধির পরিপন্থী।

আচরণবিধির ২ দশমিক ২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আচরণবিধির নিয়ম ভঙ্গ করায় লিটনকে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি ১ ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। আর আচরণবিধির ২ দশমিক ৫ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেন লাহিরু। ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা ছাড়াও ১ ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে লাহিরুকে।

লিটন-কুমারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় কোন আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

আইসিসির এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ শাস্তি আরোপ করেছেন। লিটন-কুমারার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন অনফিল্ড আম্পায়ার জোয়েল উইলসন ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টোক, থার্ড আম্পায়ার মাইকেল গফ ও ফোর্থ আম্পায়ার রড টাকার।