নাইজেরিয়ায় মসজিদে হামলয় নিহত ১৮

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার একটি মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছ । এ আহত হয়েছে আরও ২০ জন । দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় নাইজার প্রদেশের মাজা-কুকা গ্রামের মাশিগু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্দুকধারীরা মোটরবাইকে করে আসার পরপরই মসজিদের ভেতরে ঢোকে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এই ঘটনায় ১০ জনের বেশি মানুষবে অপহরণ করা হয়েছে। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল গনি হাসান রয়টার্সকে জানান, বন্দুকধারীরা ঘটনাস্থলে আসার পর সোজা মসজিদের দিকে যায় এবং সরাসরি নামাজরত মুসল্লিদের দিকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। তাদের এই গুলিবর্ষণের হাত থেকে কেউই রেহাই পায়নি। এসময় বন্দুকধারীরা ১০ জনেরও বেশি মানুষকে অপহরণ করে বলেও জানান হাসান। নাইজারের পুলিশ কমিশনার জানান, গ্রামের দুইপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। মাজা-কুকা এলাকাটি রাজধানী থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সম্প্রতি প্রায়ই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটছে।

সম্প্রতি নাইজেরিয়ার একটি কারাগারেও হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজেরিয়ার ওই কারাগারে হামলা চালিয়ে বহু বন্দিকে মুক্ত করে নিয়ে যায় তারা।

এছাড়াও এক সপ্তাহ আগে উত্তরাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যে হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে।এছাড়া ডাকাতি, হত্যা, লুটপাট, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্দি ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধ বন্ধে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদেক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আইএস (ইসলামিক স্টেট) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার সদস্যরাও নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ বছর ধরে নাইজেরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১ , ১১ কার্তিক ১৪২৮ ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

নাইজেরিয়ায় মসজিদে হামলয় নিহত ১৮

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার একটি মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছ । এ আহত হয়েছে আরও ২০ জন । দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় নাইজার প্রদেশের মাজা-কুকা গ্রামের মাশিগু এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্দুকধারীরা মোটরবাইকে করে আসার পরপরই মসজিদের ভেতরে ঢোকে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এই ঘটনায় ১০ জনের বেশি মানুষবে অপহরণ করা হয়েছে। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল গনি হাসান রয়টার্সকে জানান, বন্দুকধারীরা ঘটনাস্থলে আসার পর সোজা মসজিদের দিকে যায় এবং সরাসরি নামাজরত মুসল্লিদের দিকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। তাদের এই গুলিবর্ষণের হাত থেকে কেউই রেহাই পায়নি। এসময় বন্দুকধারীরা ১০ জনেরও বেশি মানুষকে অপহরণ করে বলেও জানান হাসান। নাইজারের পুলিশ কমিশনার জানান, গ্রামের দুইপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। মাজা-কুকা এলাকাটি রাজধানী থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সম্প্রতি প্রায়ই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটছে।

সম্প্রতি নাইজেরিয়ার একটি কারাগারেও হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজেরিয়ার ওই কারাগারে হামলা চালিয়ে বহু বন্দিকে মুক্ত করে নিয়ে যায় তারা।

এছাড়াও এক সপ্তাহ আগে উত্তরাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যে হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে।এছাড়া ডাকাতি, হত্যা, লুটপাট, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্দি ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধ বন্ধে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদেক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আইএস (ইসলামিক স্টেট) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার সদস্যরাও নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ বছর ধরে নাইজেরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।