মায়ানমারের ‘ছায়া সরকারের’ সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থান ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়া মায়ানমারের জান্তাবিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) দুই প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন তারা। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বৈঠক করেন এনইউজির দুই প্রতিনিধি দুয়া লাশি লা এবং জিন মার অংয়ের সঙ্গে। বৈঠকে সুলিভান মায়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের প্রতি মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন এবং সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পরিপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনাও করেন।

তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংস সহিংসতার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভ্যুত্থানের জন্য জবাবদিহিতার প্রচার চালিয়ে যাবে। গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির এনএলডি (ন্যাশনাল লি ফর ডেমোক্র্যাসি) সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মায়ানমার।

বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয় সামরিক সরকারও। এতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ, বন্দী হয়েছেন কয়েক হাজার।

মায়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১১শ’র মতো মানুষ নিহত হয়। আটক করা হয় আট হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে।

বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১ , ১১ কার্তিক ১৪২৮ ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

মায়ানমারের ‘ছায়া সরকারের’ সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থান ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়া মায়ানমারের জান্তাবিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের (এনইউজি) দুই প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন তারা। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বৈঠক করেন এনইউজির দুই প্রতিনিধি দুয়া লাশি লা এবং জিন মার অংয়ের সঙ্গে। বৈঠকে সুলিভান মায়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের প্রতি মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন এবং সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পরিপ্রেক্ষিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনাও করেন।

তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংস সহিংসতার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভ্যুত্থানের জন্য জবাবদিহিতার প্রচার চালিয়ে যাবে। গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির এনএলডি (ন্যাশনাল লি ফর ডেমোক্র্যাসি) সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মায়ানমার।

বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয় সামরিক সরকারও। এতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ, বন্দী হয়েছেন কয়েক হাজার।

মায়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১১শ’র মতো মানুষ নিহত হয়। আটক করা হয় আট হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে।