চীন থেকে পৌঁছালো সিনোফার্মের ২ লাখ টিকা

চীনের সিনোফার্মের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী আরও দুই লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে চীন থেকে সিনোফার্মের এই টিকা বহনকারী বিমানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

গতকাল বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ও রেল মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে টিকা গ্রহণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাঈদুল ইসলাম প্রধান।

উল্লেখ্য, এ বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। আর এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে শুরু হয় গণটিকাদান কার্যক্রম। এরপর গত ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না এবং সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছে।

২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ৬ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৩ জনকে টিকাদান করা হয়। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪ কোটি ৬২ লাখ ৭ হাজার ৬৮৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ কোটি ৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ জন।

২৭ জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেয়া ৬ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৩ ডোজ টিকার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ১৩০ ডোজ, ফাইজারের ৬ লাখ ৬ হাজার ১৮৭ ডোজ, সিনোফার্মের ৪ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩২৫ ডোজ এবং মডার্নার ৫২ লাখ ৪ হাজার ১১১ ডোজ টিকা রয়েছে। এ নিয়ে সব মিলিয়ে সিনোফার্মের মোট প্রায় আড়াই কোটি টিকা পেল বাংলাদেশ। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ৫৪ লাখ ডোজ টিকাসহ একটি বড় চালান দেশে আসে। সিনোফার্মের ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়া কোভ্যাক্স সহায়তা থেকেও সিনোফার্মের টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।

বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১ , ১১ কার্তিক ১৪২৮ ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চীন থেকে পৌঁছালো সিনোফার্মের ২ লাখ টিকা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

চীনের সিনোফার্মের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী আরও দুই লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাধ্যমে চীন থেকে সিনোফার্মের এই টিকা বহনকারী বিমানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।

গতকাল বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ও রেল মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে টিকা গ্রহণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাঈদুল ইসলাম প্রধান।

উল্লেখ্য, এ বছরের ২৭ জানুয়ারি দেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। আর এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে শুরু হয় গণটিকাদান কার্যক্রম। এরপর গত ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না এবং সিনোফার্মের টিকা দেয়া হচ্ছে।

২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ৬ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৩ জনকে টিকাদান করা হয়। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪ কোটি ৬২ লাখ ৭ হাজার ৬৮৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ কোটি ৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৫ জন।

২৭ জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেয়া ৬ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৩ ডোজ টিকার মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার ১৩০ ডোজ, ফাইজারের ৬ লাখ ৬ হাজার ১৮৭ ডোজ, সিনোফার্মের ৪ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩২৫ ডোজ এবং মডার্নার ৫২ লাখ ৪ হাজার ১১১ ডোজ টিকা রয়েছে। এ নিয়ে সব মিলিয়ে সিনোফার্মের মোট প্রায় আড়াই কোটি টিকা পেল বাংলাদেশ। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ৫৪ লাখ ডোজ টিকাসহ একটি বড় চালান দেশে আসে। সিনোফার্মের ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনতে চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়া কোভ্যাক্স সহায়তা থেকেও সিনোফার্মের টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।