রাষ্ট্রীয় সুসম্পর্কের প্রতিফলন বাণিজ্যেও দেখতে চায় রাশিয়া

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যেও বাংলাদেশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সুসম্পর্কের প্রতিফলন দেখতে চায় রাশিয়া। গতকাল এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় সহযোগী হতে পেরে রাশিয়া গর্বিত। তবে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পুরোটা এখনও কাজে লাগানো যায়নি। এ সম্পর্ককে উন্নত করতে চায় মস্কো।’

এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রাশিয়ার বিশাল বাজারে তৈরি পোশাক ছাড়াও হালকা প্রকৌশল পণ্য, প্লাস্টিক, ওষুধ, হিমায়িত খাদ্যপণ্যসহ অসংখ্য পণ্য রপ্তানি করতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু দেশটির সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকিং সম্পর্ক না থাকা ও এলসি খোলার সুবিধা না থাকায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ছে না।’

১৯৮৭’র ডিসেম্বরে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগীতা চুক্তি সই করেছিল এফবিসিসিআই। পরে ২০০৬ সালে দি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব রাশিয়ান ফেডারেশন এবং ২০১৯-এ ইউনিয়ন অব মস্কো চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সহযোগীতা চুক্তি সই করে এফবিসিসিআই। অনেক দিন আগের করা এসব চুক্তিগুলোকে পর্যালোচনা করে যুগপোযোগী করতে একমত হন এফবিসিসিআই সভাপতি ও রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত। শীঘ্রই দেশটির দূতাবাসে এ সংক্রান্ত তথ্য ও খসড়া পাঠাবে এফবিসিসিআই।

আগামী নভেম্বরে রাশিয়ার একজন বাণিজ্য প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে। সে সময় এফবিসিসিআই’র সঙ্গে একটি বাণিজ্য সভা আয়োজনের আশ্বাস দেন রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে রাশিয়ার বার্ষিক বাণিজ্যিক সম্মেলন সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়ে কথা বলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি জনাব মো. হাবীব উল্লাহ ডন।

বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১ , ১২ কার্তিক ১৪২৮ ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

রাষ্ট্রীয় সুসম্পর্কের প্রতিফলন বাণিজ্যেও দেখতে চায় রাশিয়া

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যেও বাংলাদেশের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সুসম্পর্কের প্রতিফলন দেখতে চায় রাশিয়া। গতকাল এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় সহযোগী হতে পেরে রাশিয়া গর্বিত। তবে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পুরোটা এখনও কাজে লাগানো যায়নি। এ সম্পর্ককে উন্নত করতে চায় মস্কো।’

এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রাশিয়ার বিশাল বাজারে তৈরি পোশাক ছাড়াও হালকা প্রকৌশল পণ্য, প্লাস্টিক, ওষুধ, হিমায়িত খাদ্যপণ্যসহ অসংখ্য পণ্য রপ্তানি করতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু দেশটির সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকিং সম্পর্ক না থাকা ও এলসি খোলার সুবিধা না থাকায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ছে না।’

১৯৮৭’র ডিসেম্বরে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগীতা চুক্তি সই করেছিল এফবিসিসিআই। পরে ২০০৬ সালে দি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব রাশিয়ান ফেডারেশন এবং ২০১৯-এ ইউনিয়ন অব মস্কো চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সহযোগীতা চুক্তি সই করে এফবিসিসিআই। অনেক দিন আগের করা এসব চুক্তিগুলোকে পর্যালোচনা করে যুগপোযোগী করতে একমত হন এফবিসিসিআই সভাপতি ও রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত। শীঘ্রই দেশটির দূতাবাসে এ সংক্রান্ত তথ্য ও খসড়া পাঠাবে এফবিসিসিআই।

আগামী নভেম্বরে রাশিয়ার একজন বাণিজ্য প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে। সে সময় এফবিসিসিআই’র সঙ্গে একটি বাণিজ্য সভা আয়োজনের আশ্বাস দেন রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে রাশিয়ার বার্ষিক বাণিজ্যিক সম্মেলন সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়ে কথা বলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি জনাব মো. হাবীব উল্লাহ ডন।