ভোলায় কারাগারে থাকা ১২৯ জেলে পরিবার মানবেতর জীবনে

ভোলাসহ উপকূলীয় মেঘনা, তেঁতুলিয়া আর সাগর মোহনায় ইলিশেল ভরা প্রজনন মৌসুমের ২২ দিনে নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে নদীতে মাছ ধরাতে নামায় ৫৭২ জেলেকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১২৯ জনকে এক বছরের কারাদ- দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি কারাগারে থাকায় ওই সব পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমনকি এদের জামিনের আবেদন করারও অবস্থা নেই অনেক পরিবারের। জেলে পল্লীতে গেলে এমন কথা জানান শতাধিক পরিবারের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার বিকেলে ২২ দিনের অভিযানের তথ্য প্রকাশ করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজাহারুল ইসলাম। এ বছর ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২ পর্যন্ত ২২ দিন দেশের ইলিশের ৬টি অভয়স্থলসহ সব নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি ও সংরক্ষণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য ও গবেষণার ভিত্তিতে এ বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ২২ দিন চিহ্নিত করা হয়। নিষেধাজ্ঞা না মানায় ৫৭২ জেলেকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১২৯ জনকে এক বছর করে কারাদ- দেয়া হয়। ৪৪৩ জনের কাছ থেকে ১৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এবার জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ড মা ইলিশ রক্ষায় টানা ২২ দিন দিন রাত অভিযান চালায়। এ বছর শতভাগ ইলিশ ডিম ছেড়েছে বলেও দাবি মৎস্য কর্মকর্তাদের। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মাছ ধরতে গিয়ে যারা আটক ও কারা ভোগ করছেন, তাদের বিষয়য়ে মৎস্য বিভাগের আর কোন কাজ নেই। তাদের জামিনের বিষয়টিও আদালতের বিষয় । ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সরকারের তরফ থেকে জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার জেলেকে ২০ কেজি হারে চাল দেয়া হয় । জেলেরা অবশ্য ২২ দিনের জন্য ৪০ কেজি জাল দাবি করে ছিল। ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আশ্বাস দেন ভোলায় গত সপ্তাহে সফরে আসা মৎস্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল কর্মকার।

বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১ , ১২ কার্তিক ১৪২৮ ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ভোলায় কারাগারে থাকা ১২৯ জেলে পরিবার মানবেতর জীবনে

প্রতিনিধি, ভোলা

ভোলাসহ উপকূলীয় মেঘনা, তেঁতুলিয়া আর সাগর মোহনায় ইলিশেল ভরা প্রজনন মৌসুমের ২২ দিনে নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে নদীতে মাছ ধরাতে নামায় ৫৭২ জেলেকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১২৯ জনকে এক বছরের কারাদ- দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি কারাগারে থাকায় ওই সব পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমনকি এদের জামিনের আবেদন করারও অবস্থা নেই অনেক পরিবারের। জেলে পল্লীতে গেলে এমন কথা জানান শতাধিক পরিবারের সদস্যরা। গত মঙ্গলবার বিকেলে ২২ দিনের অভিযানের তথ্য প্রকাশ করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজাহারুল ইসলাম। এ বছর ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২ পর্যন্ত ২২ দিন দেশের ইলিশের ৬টি অভয়স্থলসহ সব নদীতে মাছ ধরা, বিক্রি ও সংরক্ষণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য ও গবেষণার ভিত্তিতে এ বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ২২ দিন চিহ্নিত করা হয়। নিষেধাজ্ঞা না মানায় ৫৭২ জেলেকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১২৯ জনকে এক বছর করে কারাদ- দেয়া হয়। ৪৪৩ জনের কাছ থেকে ১৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এবার জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ড মা ইলিশ রক্ষায় টানা ২২ দিন দিন রাত অভিযান চালায়। এ বছর শতভাগ ইলিশ ডিম ছেড়েছে বলেও দাবি মৎস্য কর্মকর্তাদের। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মাছ ধরতে গিয়ে যারা আটক ও কারা ভোগ করছেন, তাদের বিষয়য়ে মৎস্য বিভাগের আর কোন কাজ নেই। তাদের জামিনের বিষয়টিও আদালতের বিষয় । ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সরকারের তরফ থেকে জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার জেলেকে ২০ কেজি হারে চাল দেয়া হয় । জেলেরা অবশ্য ২২ দিনের জন্য ৪০ কেজি জাল দাবি করে ছিল। ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আশ্বাস দেন ভোলায় গত সপ্তাহে সফরে আসা মৎস্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল কর্মকার।