কেরানীগঞ্জে স্থায়ী স্কুলের দাবিতে রাস্তায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা

কেরানীগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের জন্য স্থায়ীভাবে স্কুল প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন কেরানীগঞ্জের তিন শতাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন রক্ষার আবেদন জানিয়ে তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন এসব প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবক ও শিক্ষকসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। গত মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার- ফ্যাস্টুনসহ রাজপথে দাঁড়ায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ২০১০ সালে কেরানীগঞ্জে কদমতলী এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে এ প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পথচলা শুরু হলেও স্বীকৃতি মেলে ২০১৫ সালে। এরইমধ্যে তাদের ভবন বদলাতে হয়েছে বেশ কয়েকটি। এ নিয়ে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে রাজপথে নামে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তখন তারা কদমতলীর দেওয়ান ভিলায় ভাড়া থেকে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছিলেন। সেখানকার বাড়িওয়ালার চাপের মুখে সেখান থেকে সরে আসতে হয় বিশেষ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনে এম.এ মান্নানের বাড়িতে তাদের ঠাঁই মিললেও দুই বছর যেতে না যেতেই সেখান থেকে চলে যাবার জন্য চাপ বাড়িওয়ালার। ফলে বাধ্য হয়ে ফের রাস্তায় নামতে হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

কেরানীগঞ্জ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধীদের সমাজে স্বাবলম্বী ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত আমরা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে আসছি। আমাদের প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অসহায় প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও আইনী সেবা প্রদান করা হয়। কিন্তু আমাদের এ প্রতিষ্ঠিত স্কুল এক জায়গায় বেশি দিন রাখতে পারছি না। এটি করতে গিয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে। আমরা যেখানেই যাই সেখান থেকেই আমাদের তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আমাদের এ সকল অসহায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্থায়ী স্কুল প্রতিষ্ঠার জোড় দাবি জানাচ্ছি । প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবক -শিক্ষক ও এলাকাবাসীর সঙ্গে এ সময় অন্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেরানীগঞ্জ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফারজানা মৌসুমী, সহকারী শিক্ষক মো.সাইদুল ইসলাম, মিস আমেনা, সাদিয়া আক্তার, মিসেস মালা, রেজাউল করিম, সোলায়মান জামান, মো.সাগর, অভিভাবক ফাহিমা আক্তার, মিসেস সাবিনা,পারুল বেগম, হাজেরা, তাসলিমা, সোনিয়া আক্তার বৃষ্টি প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১ , ১২ কার্তিক ১৪২৮ ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কেরানীগঞ্জে স্থায়ী স্কুলের দাবিতে রাস্তায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)

image

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : স্থায়ী স্কুল প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাস্তায় প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোররা -সংবাদ

কেরানীগঞ্জে প্রতিবন্ধীদের জন্য স্থায়ীভাবে স্কুল প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন কেরানীগঞ্জের তিন শতাধিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন রক্ষার আবেদন জানিয়ে তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন এসব প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবক ও শিক্ষকসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। গত মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার- ফ্যাস্টুনসহ রাজপথে দাঁড়ায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ২০১০ সালে কেরানীগঞ্জে কদমতলী এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে এ প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পথচলা শুরু হলেও স্বীকৃতি মেলে ২০১৫ সালে। এরইমধ্যে তাদের ভবন বদলাতে হয়েছে বেশ কয়েকটি। এ নিয়ে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে রাজপথে নামে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তখন তারা কদমতলীর দেওয়ান ভিলায় ভাড়া থেকে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছিলেন। সেখানকার বাড়িওয়ালার চাপের মুখে সেখান থেকে সরে আসতে হয় বিশেষ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনে এম.এ মান্নানের বাড়িতে তাদের ঠাঁই মিললেও দুই বছর যেতে না যেতেই সেখান থেকে চলে যাবার জন্য চাপ বাড়িওয়ালার। ফলে বাধ্য হয়ে ফের রাস্তায় নামতে হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

কেরানীগঞ্জ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধীদের সমাজে স্বাবলম্বী ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত আমরা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে আসছি। আমাদের প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অসহায় প্রতিবন্ধীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও আইনী সেবা প্রদান করা হয়। কিন্তু আমাদের এ প্রতিষ্ঠিত স্কুল এক জায়গায় বেশি দিন রাখতে পারছি না। এটি করতে গিয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে। আমরা যেখানেই যাই সেখান থেকেই আমাদের তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আমাদের এ সকল অসহায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্থায়ী স্কুল প্রতিষ্ঠার জোড় দাবি জানাচ্ছি । প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবক -শিক্ষক ও এলাকাবাসীর সঙ্গে এ সময় অন্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেরানীগঞ্জ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফারজানা মৌসুমী, সহকারী শিক্ষক মো.সাইদুল ইসলাম, মিস আমেনা, সাদিয়া আক্তার, মিসেস মালা, রেজাউল করিম, সোলায়মান জামান, মো.সাগর, অভিভাবক ফাহিমা আক্তার, মিসেস সাবিনা,পারুল বেগম, হাজেরা, তাসলিমা, সোনিয়া আক্তার বৃষ্টি প্রমুখ।