১৪ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

এবার পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩

এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এক বছরে ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এবার এই পরীক্ষায় বসছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। সে হিসাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন।

এবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র দশ লাখ ২৮ হাজার ৪২২ জন এবং ছাত্রী ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯১ জন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শুরুতে হচ্ছে না। আরেকটু সময় দিয়ে এই পরীক্ষা শুরু করা হবে। হয়তো পরবর্তী বছরের পরীক্ষা থেকে পূর্বের ধারাবাহিকতায় আসা সম্ভব হবে।’

করোনা মহামারীর আগে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি ও সমমান এবং এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতো। করোনা সংক্রমণের কারণে টানা দেড় বছর সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এবারের এইচএসসি পরীক্ষা ৩০ ডিসেম্বর শেষ হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে ১ ফেব্রুয়ারি আবার পরীক্ষা (এসএসসি) নেয়া সম্ভব হবে না। তাদের (আগামী বছরের পরীক্ষার্থী) ক্লাস করার বিষয় রয়েছে। কাজেই তাদের আরেকটু সময় দিয়ে তারপর পরীক্ষা হবে। কবে কীভাবে কোন পাঠ্যসূচিতে হবে, এগুলো পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।’

মন্ত্রী জানান, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এবার মোট তিন হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে হবে এই পরীক্ষা।

এবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, এ বছর ৯টি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, দাখিলে তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) এক লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৩ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশের আটটি দেশে ৪২৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ২০২০ সালের তুলনায় এ বছর এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ পরীক্ষার্থী বেড়েছে, যার শতকরা হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি আর ১৬৭টি কেন্দ্র বেড়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২১ সালে দেশের সাধারণ নয়টি বোর্ডের অধীনে ঢাকা বোর্ডে চার লাখ ৭৬ হাজার ১০০ জন, রাজশাহী বোর্ডে দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৮ জন, কুমিল্লা বোর্ডে দুই লাখ ২৪ হাজার ৮৭৪ জন, যশোরে এক লাখ ৮১ হাজার ২৮২ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৬০ হাজার ৯২৫ জন, বরিশালে এক লাখ চার হাজার ৯৯০ জন, সিলেটে এক লাখ ২১ হাজার ১১১ জন, দিনাজপুরে এক লাখ ৯৩ হাজার ৪৪৬ জন এবং ময়মনসিংহে এক লাখ ৩০ হাজার ৭০২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

৮ থেকে ২৫ নভেম্বর সব কোচিং সেন্টার বন্ধ

এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু মহামারী পরিস্থিতির কারণে আগামী ১৪ নভেম্বর এই পরীক্ষা শুরু হবে। তবে সব বিষয়ে পরীক্ষা হবে না। পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে হচ্ছে এ পরীক্ষা।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যদি যৌক্তিক কারণে কারও দেরি হয় সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্ব হওয়ার কারণ রেজিস্টার খাতায় লিখে প্রবেশ করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখকের সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে। তাদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১ , ১২ কার্তিক ১৪২৮ ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

১৪ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

এবার পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এক বছরে ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এবার এই পরীক্ষায় বসছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। সে হিসাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন।

এবারের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র দশ লাখ ২৮ হাজার ৪২২ জন এবং ছাত্রী ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯১ জন।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শুরুতে হচ্ছে না। আরেকটু সময় দিয়ে এই পরীক্ষা শুরু করা হবে। হয়তো পরবর্তী বছরের পরীক্ষা থেকে পূর্বের ধারাবাহিকতায় আসা সম্ভব হবে।’

করোনা মহামারীর আগে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি ও সমমান এবং এপ্রিলের শুরুতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতো। করোনা সংক্রমণের কারণে টানা দেড় বছর সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এবারের এইচএসসি পরীক্ষা ৩০ ডিসেম্বর শেষ হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে ১ ফেব্রুয়ারি আবার পরীক্ষা (এসএসসি) নেয়া সম্ভব হবে না। তাদের (আগামী বছরের পরীক্ষার্থী) ক্লাস করার বিষয় রয়েছে। কাজেই তাদের আরেকটু সময় দিয়ে তারপর পরীক্ষা হবে। কবে কীভাবে কোন পাঠ্যসূচিতে হবে, এগুলো পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।’

মন্ত্রী জানান, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এবার মোট তিন হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে হবে এই পরীক্ষা।

এবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, এ বছর ৯টি সাধারণ বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, দাখিলে তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) এক লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৩ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। পাশাপাশি বিদেশের আটটি দেশে ৪২৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ২০২০ সালের তুলনায় এ বছর এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ পরীক্ষার্থী বেড়েছে, যার শতকরা হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি আর ১৬৭টি কেন্দ্র বেড়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২১ সালে দেশের সাধারণ নয়টি বোর্ডের অধীনে ঢাকা বোর্ডে চার লাখ ৭৬ হাজার ১০০ জন, রাজশাহী বোর্ডে দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৮ জন, কুমিল্লা বোর্ডে দুই লাখ ২৪ হাজার ৮৭৪ জন, যশোরে এক লাখ ৮১ হাজার ২৮২ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৬০ হাজার ৯২৫ জন, বরিশালে এক লাখ চার হাজার ৯৯০ জন, সিলেটে এক লাখ ২১ হাজার ১১১ জন, দিনাজপুরে এক লাখ ৯৩ হাজার ৪৪৬ জন এবং ময়মনসিংহে এক লাখ ৩০ হাজার ৭০২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।

৮ থেকে ২৫ নভেম্বর সব কোচিং সেন্টার বন্ধ

এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু মহামারী পরিস্থিতির কারণে আগামী ১৪ নভেম্বর এই পরীক্ষা শুরু হবে। তবে সব বিষয়ে পরীক্ষা হবে না। পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে হচ্ছে এ পরীক্ষা।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যদি যৌক্তিক কারণে কারও দেরি হয় সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্ব হওয়ার কারণ রেজিস্টার খাতায় লিখে প্রবেশ করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখকের সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে। তাদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।