আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করলেন সুচি

মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া নেত্রী অং সান সুচি তার বিরুদ্ধে আনা জনগণকে উসকানি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর সুচি এই প্রথম আদালতে সাক্ষ্য দিলেন বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে।

ফেব্রুয়ারিতে সুচির দল একটি চিঠি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংগঠনকে জান্তার সঙ্গে সহযোগিতা না করার ডাক দিয়ে প্রতিবাদ উসকে দিয়েছে- এমন অভিযোগ সুচি অস্বীকার করেছেন। সু চির আইনজীবীদের বরাত দিয়ে এমন কথা জানানো হয়েছে বিবিসি বার্মিজ এবং মিয়ানমার নাও পত্রিকার প্রতিবেদনে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিরপেক্ষা সূত্রে যাচাই করতে পারেনি।

মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সু চির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যান্য আরও মামলা সম্পর্কে কোনও খবর দেয়নি। সু চির মামলা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার একমাত্র সূত্র তার আইনজীবী খিন মুয়াং জ- ও এমাসের শুরুর দিকে কোনও তথ্য প্রকাশ না করার ব্যাপারে সামরিক কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে আদেশ পেয়েছেন।

মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ১ ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েকণ্টা আগের মুহূর্তের বর্ণনায় আদালতে জান্তার বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সে বিষয়টি এ মাসের শুরুতেই প্রকাশ করার পর আইনজীবী মুয়াং জ ওই আদেশ পান। সু চির কথাতেই উইন মিন্টের সাক্ষ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করেছেন বলে সেই সময় দাবি করেছিলেন মুয়াং জ।

তার আইনজীবী দলের এক সদস্য বলেন, সু চি খুব ভালোভাবেই নির্দোষ প্রমাণ করতে পেরেছেন। আইনজীবী এর বাইরে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ মামলার শুনানির বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের নির্বাচিত বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিসহ উইন মিন্ট-এর বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। সু চি কে একটি অজ্ঞাতস্থানে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের রাজধানী নিপিধোতে বিশেষভাবে স্থাপন করা আদালতে সু চি সাক্ষ্য দিতে হাজির হন।

তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের নিয়ম ভঙ্গ করা, অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি রাখা, ঘুষ হিসাবে নগদ অর্থ ও সোনা নেয়া, জনগণকে উসকানি দেয়া এবং সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ নানা অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগই ‘উদ্ভট’ বলে অস্বীকার করেছেন সু চির আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১ , ১২ কার্তিক ১৪২৮ ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করলেন সুচি

মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া নেত্রী অং সান সুচি তার বিরুদ্ধে আনা জনগণকে উসকানি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর সুচি এই প্রথম আদালতে সাক্ষ্য দিলেন বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে।

ফেব্রুয়ারিতে সুচির দল একটি চিঠি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংগঠনকে জান্তার সঙ্গে সহযোগিতা না করার ডাক দিয়ে প্রতিবাদ উসকে দিয়েছে- এমন অভিযোগ সুচি অস্বীকার করেছেন। সু চির আইনজীবীদের বরাত দিয়ে এমন কথা জানানো হয়েছে বিবিসি বার্মিজ এবং মিয়ানমার নাও পত্রিকার প্রতিবেদনে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিরপেক্ষা সূত্রে যাচাই করতে পারেনি।

মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সু চির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যান্য আরও মামলা সম্পর্কে কোনও খবর দেয়নি। সু চির মামলা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার একমাত্র সূত্র তার আইনজীবী খিন মুয়াং জ- ও এমাসের শুরুর দিকে কোনও তথ্য প্রকাশ না করার ব্যাপারে সামরিক কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে আদেশ পেয়েছেন।

মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ১ ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েকণ্টা আগের মুহূর্তের বর্ণনায় আদালতে জান্তার বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সে বিষয়টি এ মাসের শুরুতেই প্রকাশ করার পর আইনজীবী মুয়াং জ ওই আদেশ পান। সু চির কথাতেই উইন মিন্টের সাক্ষ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করেছেন বলে সেই সময় দাবি করেছিলেন মুয়াং জ।

তার আইনজীবী দলের এক সদস্য বলেন, সু চি খুব ভালোভাবেই নির্দোষ প্রমাণ করতে পেরেছেন। আইনজীবী এর বাইরে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ মামলার শুনানির বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের নির্বাচিত বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিসহ উইন মিন্ট-এর বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। সু চি কে একটি অজ্ঞাতস্থানে রাখা হয়েছে। মিয়ানমারের রাজধানী নিপিধোতে বিশেষভাবে স্থাপন করা আদালতে সু চি সাক্ষ্য দিতে হাজির হন।

তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের নিয়ম ভঙ্গ করা, অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি রাখা, ঘুষ হিসাবে নগদ অর্থ ও সোনা নেয়া, জনগণকে উসকানি দেয়া এবং সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গসহ নানা অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগই ‘উদ্ভট’ বলে অস্বীকার করেছেন সু চির আইনজীবীরা।