রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে কাপ্তাই ইউপি মেম্বার সজিবুর রহমান (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে কাপ্তাই উপজেলা সদরের নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই উপজেলার জেটিঘাটের নতুন বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ ও আওয়ামী লীগের সমর্থন বঞ্চিত প্রার্থী মহিউদ্দীন পাটোায়ারী বাদলের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সংঘর্ষে কাপ্তাই ইউপির বর্তমান মেম্বার সজিবুর রহমান, মো. আলাউদ্দীন (৪৫) ও মো. সালাহউদ্দীন ও আবদুল জলিল আহত হন। কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইউপি মেম্বার সজিবুর রহমানকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুজন কাপ্তাই উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত সজিবুর রহমান টানা দুবারের ইউপি মেম্বার ছিলেন। আগামী ১১ নভেম্বর কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই, রাইখালী ও ওয়া ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতেই কাপ্তাই সুইডিশ কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. আরিফুল ইসলাম বাবু (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়া মহিউদ্দীন পাটোয়ারী বাদলের সর্মথক বলে জানা গেছে।
কাপ্তাই থানার ওসি নাছরি উদ্দিন জানান, স্থানীয় মোশারফের মালিকানাধীন মা বেকারিতে ইউপি নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর রাতে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ও কাপ্তাইয়ের চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেথোয়াই মারমা দুর্বৃত্তরদের গুলিতে নিহত হন।
বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১ , ১২ কার্তিক ১৪২৮ ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে কাপ্তাই ইউপি মেম্বার সজিবুর রহমান (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে কাপ্তাই উপজেলা সদরের নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই উপজেলার জেটিঘাটের নতুন বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ ও আওয়ামী লীগের সমর্থন বঞ্চিত প্রার্থী মহিউদ্দীন পাটোায়ারী বাদলের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সংঘর্ষে কাপ্তাই ইউপির বর্তমান মেম্বার সজিবুর রহমান, মো. আলাউদ্দীন (৪৫) ও মো. সালাহউদ্দীন ও আবদুল জলিল আহত হন। কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইউপি মেম্বার সজিবুর রহমানকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুজন কাপ্তাই উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত সজিবুর রহমান টানা দুবারের ইউপি মেম্বার ছিলেন। আগামী ১১ নভেম্বর কাপ্তাই উপজেলার কাপ্তাই, রাইখালী ও ওয়া ইউনিয়নে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতেই কাপ্তাই সুইডিশ কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. আরিফুল ইসলাম বাবু (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়া মহিউদ্দীন পাটোয়ারী বাদলের সর্মথক বলে জানা গেছে।
কাপ্তাই থানার ওসি নাছরি উদ্দিন জানান, স্থানীয় মোশারফের মালিকানাধীন মা বেকারিতে ইউপি নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর রাতে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ও কাপ্তাইয়ের চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেথোয়াই মারমা দুর্বৃত্তরদের গুলিতে নিহত হন।