চাঁদপুরে কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা

চাঁদপুরে পদ্মা ঘেমনা নদীতে কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ায় জেলেদের মুখে হতাশ হয়ে পড়েছে। আর মাছঘাটগুলোতে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ক্রেতারাও ইলিশ কেনায় অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানি বাড়লে ইলিশের দাম অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বড়স্টেশন মাছঘাট, হরিণা ফেরিঘাট, পুরানবাজার এলাকাগুলো ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

হরিণাঘাটের ক্রেতা মিজানুর রহমান জানান, ঘাটে আসা ইলিশের পেটে এখনো পর্যাপ্ত ডিম রয়েছে। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় আরও বাড়ালে এমনটি হতো না। ইলিশের পেটে ডিম থাকায় আড়তদাররা ইলিশের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই দাম বেশি হওয়ায় ইলিশ না কেনার আগ্রহ হারিয়ে অন্য মাছ কিনে বাড়ি ফিরছি।

পুরানাবাজারের জেলে মাসুদ জানান, নদীতে নেমে কাঙ্খিত ইলিশ পাচ্ছি না। যে ইলিশ পাচ্ছি তাতে নৌকার জ্বালানি খরছ উঠাতেও হিমশিম খাচ্ছি। কিভাবে সংসার চালাবো এখন সেই চিন্তাই করছি।

জেলে মনির ও আব্দুর রহমান বলেন, যে আশা করে নদীতে গিয়েছিলাম, সেই আশা পূরণ হয়নি। আমরা ১০ থেকে ১২ জন লোক ১টি নৌকা নিয়ে নদীতে যাই। নদী থেকে ফিরে মাছ বিক্রি করেছি মাত্র ১২ হাজার টাকার। নদীতে ইলিশ না থাকলে আমরা আরও ধারদেনায় পড়ে যাব। এদিকে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে আড়তদারদের বেশ কর্ম তৎপর দেখা যায়। তাদের হাঁকডাকে মুখর ছিল পুরো ঘাট।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত জানান, এটি দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড়মাছ ঘাট হওয়া সত্ত্বেও আমদানি একেবারেই কম। আমরা ১ কেজি সাইজের ইলিশের দাম নিচ্ছি ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা। ১ কেজি থেকে ১২০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ১ কেজির নিচে ৬০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম ইলিশের দাম ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা করে রাখছি। আমদানি বাড়লে ইলিশের দাম আরও কমে আসবে আশা রাখি।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, যে ইলিশগুলো আমদানি হচ্ছে, তা সবই আমাদের চাঁদপুরের লোকাল ইলিশ। তবে আশা করেছিলাম এখন থেকে দুই থেকে আড়াই হাজার মণ ইলিশ ঘাটে আমদানি হবে।

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ , ১৩ কার্তিক ১৪২৮ ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চাঁদপুরে কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা

প্রতিনিধি, চাঁদপুর

চাঁদপুরে পদ্মা ঘেমনা নদীতে কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ায় জেলেদের মুখে হতাশ হয়ে পড়েছে। আর মাছঘাটগুলোতে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ক্রেতারাও ইলিশ কেনায় অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানি বাড়লে ইলিশের দাম অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বড়স্টেশন মাছঘাট, হরিণা ফেরিঘাট, পুরানবাজার এলাকাগুলো ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

হরিণাঘাটের ক্রেতা মিজানুর রহমান জানান, ঘাটে আসা ইলিশের পেটে এখনো পর্যাপ্ত ডিম রয়েছে। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ২২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় আরও বাড়ালে এমনটি হতো না। ইলিশের পেটে ডিম থাকায় আড়তদাররা ইলিশের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই দাম বেশি হওয়ায় ইলিশ না কেনার আগ্রহ হারিয়ে অন্য মাছ কিনে বাড়ি ফিরছি।

পুরানাবাজারের জেলে মাসুদ জানান, নদীতে নেমে কাঙ্খিত ইলিশ পাচ্ছি না। যে ইলিশ পাচ্ছি তাতে নৌকার জ্বালানি খরছ উঠাতেও হিমশিম খাচ্ছি। কিভাবে সংসার চালাবো এখন সেই চিন্তাই করছি।

জেলে মনির ও আব্দুর রহমান বলেন, যে আশা করে নদীতে গিয়েছিলাম, সেই আশা পূরণ হয়নি। আমরা ১০ থেকে ১২ জন লোক ১টি নৌকা নিয়ে নদীতে যাই। নদী থেকে ফিরে মাছ বিক্রি করেছি মাত্র ১২ হাজার টাকার। নদীতে ইলিশ না থাকলে আমরা আরও ধারদেনায় পড়ে যাব। এদিকে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে আড়তদারদের বেশ কর্ম তৎপর দেখা যায়। তাদের হাঁকডাকে মুখর ছিল পুরো ঘাট।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত জানান, এটি দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড়মাছ ঘাট হওয়া সত্ত্বেও আমদানি একেবারেই কম। আমরা ১ কেজি সাইজের ইলিশের দাম নিচ্ছি ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকা। ১ কেজি থেকে ১২০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ১ কেজির নিচে ৬০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম ইলিশের দাম ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা করে রাখছি। আমদানি বাড়লে ইলিশের দাম আরও কমে আসবে আশা রাখি।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, যে ইলিশগুলো আমদানি হচ্ছে, তা সবই আমাদের চাঁদপুরের লোকাল ইলিশ। তবে আশা করেছিলাম এখন থেকে দুই থেকে আড়াই হাজার মণ ইলিশ ঘাটে আমদানি হবে।