৪২ প্রধানসহ ১২৪ শিক্ষকের পদ শূন্য!

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২৪টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি প্রধান শিক্ষক এবং ৮২টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে । এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায় এই উপজেলায় মোট ২৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে । এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের মোট ১২৪টি পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদগুলো শূন্য থাকার কারণে বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকরা বিপাকে পড়েছেন। তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বেশিসংখ্যক ক্লাস নেয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ ব্যপারে কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে শিক্ষক সঙ্কটের কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার ফলে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে ঠিকমতো পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলে কোনো শৃঙ্খলা থাকে না। শিক্ষকরা নিজের ইচ্ছামতো চলেন। এছাড়া একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি দাপ্তরিক কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে পারেন না। এতে করে শিক্ষক সঙ্কট আরও প্রকট হয়। কেননা তাকে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভিন্নস্থানে যেতে হয়। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আপেল মাহমুদ জানান সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও করোনার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে এবং প্রধান শিক্ষক পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পুরনের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকের পদ পূরণের উদ্যোগ নেয় হবে।

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ , ১৩ কার্তিক ১৪২৮ ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

সিরাজগঞ্জ সদরের প্রাথ. বিদ্যালয়

৪২ প্রধানসহ ১২৪ শিক্ষকের পদ শূন্য!

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২৪টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি প্রধান শিক্ষক এবং ৮২টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে । এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায় এই উপজেলায় মোট ২৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে । এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের মোট ১২৪টি পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদগুলো শূন্য থাকার কারণে বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকরা বিপাকে পড়েছেন। তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বেশিসংখ্যক ক্লাস নেয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ ব্যপারে কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে শিক্ষক সঙ্কটের কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার ফলে শিক্ষকরা শ্রেণীকক্ষে ঠিকমতো পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলে কোনো শৃঙ্খলা থাকে না। শিক্ষকরা নিজের ইচ্ছামতো চলেন। এছাড়া একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি দাপ্তরিক কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে পারেন না। এতে করে শিক্ষক সঙ্কট আরও প্রকট হয়। কেননা তাকে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভিন্নস্থানে যেতে হয়। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আপেল মাহমুদ জানান সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও করোনার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে এবং প্রধান শিক্ষক পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পুরনের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী শিক্ষকের পদ পূরণের উদ্যোগ নেয় হবে।