টানা ৯ দিন সংক্রমণ হার ২ শতাংশের নিচে

টানা নয় দিন নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে দেশে করোনা সংক্রমণ হার ছিল দুই শতাংশের কম। দৈনিক শনাক্তের সংখ্যাও তিনশ’র কাছাকাছি ঘুরপাক খাচ্ছে। সংক্রমণ হার ও রোগী শনাক্ত নিয়মিত কমে আসায় সারাদেশের হাসপাতালের ‘কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড ইউনিটগুলো’ এখন অনেকটাই ফাঁকা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে চিকিৎসাধীন রোগী অর্থাৎ ‘অ্যাক্টিভ কেস’ ছিল মোট আট হাজার ৩১৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মাত্র এক হাজার ৩৮৭ জন, যার মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২০২ জন। বাকি ছয় হাজার ৯২৮ জন রোগীই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জানতে চাইলে ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেইন মো. মইনুল আহসান গতকাল সংবাদকে জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ রোগীর চাপ না থাকায় সবকটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটেই সাধারণ ও অন্যান্য রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে। ‘কোভিড-১৯’ ইউনিটগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই বন্ধ হচ্ছে না। কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই এখনও উচ্চ সংক্রমণ হচ্ছে। আমাদের এখানেও কিছু কিছু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা না করলে পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়েই প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরীর ১৭টি সরকারি হাসপাতালের করোনা ইউনিটের তিন হাজার ৪৪২টি সাধারণ শয্যার মধ্যে গতকাল দুই হাজার ৯৮৫টি শয্যাই খালি ছিল। আর ৩৯৮টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ছিল ৩৩০টি। এছাড়া ঢাকার ৩১টি বেসরকারি হাসপাতালের এক হাজার ৪৮৬টি শয্যার মধ্যে এক হাজার ৪১০টি শয্যাই ফাঁকা ছিল। বেসরকারি হাসপাতালের মোট ৪০১টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ছিল ৩৬৫টি।

সবমিলিয়ে সারাদেশের কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড ১৩৭টি হাসপাতালের মোট ১৩ হাজার ৭৫৫টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ১২ হাজার ৬৮৪টি শয্যাই খালি ছিল। এ হিসেবে সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি ছিল এক হাজার ৭১ জন।

আর দেশের হাসপাতালে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড এক হাজার ২৪৮টি আইসিইউ ইউনিটের মধ্যে এক হাজার ৪৬টিই খালি ছিল। এ হিসেবে আইসিইউতে রোগী ছিল মাত্র ২০২ জন।

সারাদেশে রোগী মাত্র ৮,৩১৫ জন

গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৯৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫৭ জনে। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৫ জন। আর একদিনে মৃত্যু হওয়া ছয় জনসহ করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মোট ২৭ হাজার ৮৪৭ জন মারা গেছেন। এ হিসেবে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এখন চিকিৎসাধীন আছেন আট হাজার ৩১৫ জন।

টানা নয়দিন শনাক্তের হার ২ শতাংশের নিচে

দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৩৫টি। এ পর্যন্ত মোট এক কোটি তিন লাখ এক হাজার ৫৯৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

এর আগের দিন দেশে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণ হার ছিল এক দশমিক ৫৩ শতাংশ। এছাড়া ২৬ অক্টোবর এক দশমিক ৪৪ শতাংশ, ২৫ অক্টোবর এক দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২৪ অক্টোবর এক দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২৩ অক্টোবর এক দশমিক ৮৫ শতাংশ, ২২ অক্টোবর এক দশমিক ৩৬ শতাংশ, ২১ অক্টোবর এক দশমিক ৫১ শতাংশ ও ২০ অক্টোবর শনাক্তের হার ছিল এক দশমিক ৮০ শতাংশ।

গত ১৬ অক্টোবর নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে দেশে করোনা সংক্রমণ দুই শতাংশের নিচে নামে। ১৯ অক্টোবর শনাক্তের হার ফের দুই শতাংশের উপরে উঠে। এরপর থেকে টানা নয়দিন সংক্রমণ হার দুই শতাংশের নিচেই রয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী, কোন দেশে টানা তিন সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে ধরে নেয়া হয়, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, অর্থাৎ মহামারী নেই। এ হিসেবে করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শূন্য ২৮ জেলা

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হওয়া ছয় জনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিন জন ছিলেন নারী। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া মোট লোকজনের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৮৩০ জন এবং নারী ছিলেন দশ হাজার ১৭ জন।

একদিনে মারা যাওয়া দুই জনের বয়স ছিল ৭১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং আরেকজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

ছয় জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের চার জন, বাকি দুই জন চট্টগ্রাম বিভাগের। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চার জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন দুই জন।

২৪ ঘণ্টায় এক-দুই অঙ্কের রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জেলায়। তবে ২৮ জেলায় কারও মধ্যে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। ঢাকা বিভাগে মহানগরসহ ঢাকা জেলায় ১৮২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম জেলায় ২০ জন ও সিলেট বিভাগের সিলেটে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন।

একদিনে নতুন রোগী শনাক্ত না হওয়া জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ ও নরসিংদী, চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লা, রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট, রংপুর বিভাগের নীলফামারী ও গাইবান্ধা, খুলনা বিভাগের বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও সাতক্ষীরা এবং সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা।

এক অঙ্কের রোগী শনাক্ত হয়েছে এমন জেলাগুলো হলো-ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও বগুড়া, রংপুর বিভাগের রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ?ও দিনাজপুর, খুলনা বিভাগের যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও নড়াইল এবং সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ , ১৩ কার্তিক ১৪২৮ ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

টানা ৯ দিন সংক্রমণ হার ২ শতাংশের নিচে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল থেকে গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। টিকা কেন্দ্রে ছিল উপচেপড়া ভীড়, মুগদা হাসপাতাল থেকে তোলা -সংবাদ

টানা নয় দিন নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে দেশে করোনা সংক্রমণ হার ছিল দুই শতাংশের কম। দৈনিক শনাক্তের সংখ্যাও তিনশ’র কাছাকাছি ঘুরপাক খাচ্ছে। সংক্রমণ হার ও রোগী শনাক্ত নিয়মিত কমে আসায় সারাদেশের হাসপাতালের ‘কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড ইউনিটগুলো’ এখন অনেকটাই ফাঁকা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে চিকিৎসাধীন রোগী অর্থাৎ ‘অ্যাক্টিভ কেস’ ছিল মোট আট হাজার ৩১৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মাত্র এক হাজার ৩৮৭ জন, যার মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২০২ জন। বাকি ছয় হাজার ৯২৮ জন রোগীই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জানতে চাইলে ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেইন মো. মইনুল আহসান গতকাল সংবাদকে জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ রোগীর চাপ না থাকায় সবকটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটেই সাধারণ ও অন্যান্য রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে। ‘কোভিড-১৯’ ইউনিটগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই বন্ধ হচ্ছে না। কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই এখনও উচ্চ সংক্রমণ হচ্ছে। আমাদের এখানেও কিছু কিছু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা না করলে পরিস্থিতি আবারও খারাপ হতে পারে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়েই প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরীর ১৭টি সরকারি হাসপাতালের করোনা ইউনিটের তিন হাজার ৪৪২টি সাধারণ শয্যার মধ্যে গতকাল দুই হাজার ৯৮৫টি শয্যাই খালি ছিল। আর ৩৯৮টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ছিল ৩৩০টি। এছাড়া ঢাকার ৩১টি বেসরকারি হাসপাতালের এক হাজার ৪৮৬টি শয্যার মধ্যে এক হাজার ৪১০টি শয্যাই ফাঁকা ছিল। বেসরকারি হাসপাতালের মোট ৪০১টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ছিল ৩৬৫টি।

সবমিলিয়ে সারাদেশের কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড ১৩৭টি হাসপাতালের মোট ১৩ হাজার ৭৫৫টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ১২ হাজার ৬৮৪টি শয্যাই খালি ছিল। এ হিসেবে সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি ছিল এক হাজার ৭১ জন।

আর দেশের হাসপাতালে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড এক হাজার ২৪৮টি আইসিইউ ইউনিটের মধ্যে এক হাজার ৪৬টিই খালি ছিল। এ হিসেবে আইসিইউতে রোগী ছিল মাত্র ২০২ জন।

সারাদেশে রোগী মাত্র ৮,৩১৫ জন

গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৯৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫৭ জনে। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৬৯৫ জন। আর একদিনে মৃত্যু হওয়া ছয় জনসহ করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মোট ২৭ হাজার ৮৪৭ জন মারা গেছেন। এ হিসেবে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে এখন চিকিৎসাধীন আছেন আট হাজার ৩১৫ জন।

টানা নয়দিন শনাক্তের হার ২ শতাংশের নিচে

দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৩৫টি। এ পর্যন্ত মোট এক কোটি তিন লাখ এক হাজার ৫৯৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

এর আগের দিন দেশে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণ হার ছিল এক দশমিক ৫৩ শতাংশ। এছাড়া ২৬ অক্টোবর এক দশমিক ৪৪ শতাংশ, ২৫ অক্টোবর এক দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২৪ অক্টোবর এক দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২৩ অক্টোবর এক দশমিক ৮৫ শতাংশ, ২২ অক্টোবর এক দশমিক ৩৬ শতাংশ, ২১ অক্টোবর এক দশমিক ৫১ শতাংশ ও ২০ অক্টোবর শনাক্তের হার ছিল এক দশমিক ৮০ শতাংশ।

গত ১৬ অক্টোবর নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে দেশে করোনা সংক্রমণ দুই শতাংশের নিচে নামে। ১৯ অক্টোবর শনাক্তের হার ফের দুই শতাংশের উপরে উঠে। এরপর থেকে টানা নয়দিন সংক্রমণ হার দুই শতাংশের নিচেই রয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী, কোন দেশে টানা তিন সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে ধরে নেয়া হয়, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, অর্থাৎ মহামারী নেই। এ হিসেবে করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শূন্য ২৮ জেলা

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হওয়া ছয় জনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিন জন ছিলেন নারী। আর এ পর্যন্ত মৃত্যু হওয়া মোট লোকজনের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৮৩০ জন এবং নারী ছিলেন দশ হাজার ১৭ জন।

একদিনে মারা যাওয়া দুই জনের বয়স ছিল ৭১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে। এছাড়া ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং আরেকজনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

ছয় জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের চার জন, বাকি দুই জন চট্টগ্রাম বিভাগের। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চার জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন দুই জন।

২৪ ঘণ্টায় এক-দুই অঙ্কের রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জেলায়। তবে ২৮ জেলায় কারও মধ্যে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। ঢাকা বিভাগে মহানগরসহ ঢাকা জেলায় ১৮২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম জেলায় ২০ জন ও সিলেট বিভাগের সিলেটে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন।

একদিনে নতুন রোগী শনাক্ত না হওয়া জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ ও নরসিংদী, চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লা, রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট, রংপুর বিভাগের নীলফামারী ও গাইবান্ধা, খুলনা বিভাগের বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও সাতক্ষীরা এবং সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা।

এক অঙ্কের রোগী শনাক্ত হয়েছে এমন জেলাগুলো হলো-ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও বগুড়া, রংপুর বিভাগের রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ?ও দিনাজপুর, খুলনা বিভাগের যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও নড়াইল এবং সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।