চট্টগ্রামে হচ্ছে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্মৃতিসৌধ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় জায়গা ছিল বীর চট্টলা। মুক্তিযুদ্ধে এই চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকেই এম এ হান্নান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের কাট্টলীতে ৩০ একর জমিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণস্থান পরিদর্শনকালে তিনি এসব বলেন। সাবেক নৌ-প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান খান সঙ্গে ছিলেন। এ সময় তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় জেলা প্রশাসন।

পরে জেলা প্রসাশনের উদ্যোগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এই চট্টগ্রাম থেকেই এম এ হান্নান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরীসহ অনেক বড় নেতা চট্টগ্রামের। তাই প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দেন চট্টগ্রামকে। কাট্টলী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কিছুদিন আগে পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। আমাকেও বিস্তারিত জানিয়েছেন। একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি নির্মাণে সম্মতি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের প্রস্তাবিত এই জায়গাটি আমি দেখলাম, এটি খুবই চমৎকার জায়গা। এত চমৎকার জায়গা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জায়গাগুলো সংরক্ষণ করব, যাতে তারা ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে। বে-টার্নিমানাল ও রিং-রোড়ের আট লেনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেলে এলাকাটি স্বর্ণের খণিতে পরিণত হবে। আমি আশা করব, স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের এই প্রকল্প হয়ে গেলে স্ট্যাচু অব লিবার্টির মতো বঙ্গবন্ধুর আদলে বিশাল আকৃতির একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হোক, যা সারাবিশ্বে আমাদের ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যা করা দরকার, প্রধানমন্ত্রী তা-ই করে দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অতন্দ্র প্রহরী। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু এখনও পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা ধর্মের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজাম-পে পবিত্র কোরআন রেখে তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে হবে। জাতির প্রয়োজনে আবারও আমরা রাস্তায় নামব। স্বাধীনতাবিরোধীদের কঠোরহস্তে দমন করব।

আরও খবর

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ , ১৩ কার্তিক ১৪২৮ ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

চট্টগ্রামে হচ্ছে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্মৃতিসৌধ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় জায়গা ছিল বীর চট্টলা। মুক্তিযুদ্ধে এই চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকেই এম এ হান্নান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের কাট্টলীতে ৩০ একর জমিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণস্থান পরিদর্শনকালে তিনি এসব বলেন। সাবেক নৌ-প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান খান সঙ্গে ছিলেন। এ সময় তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় জেলা প্রশাসন।

পরে জেলা প্রসাশনের উদ্যোগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সভায় মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এই চট্টগ্রাম থেকেই এম এ হান্নান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরীসহ অনেক বড় নেতা চট্টগ্রামের। তাই প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দেন চট্টগ্রামকে। কাট্টলী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কিছুদিন আগে পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। আমাকেও বিস্তারিত জানিয়েছেন। একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি নির্মাণে সম্মতি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের প্রস্তাবিত এই জায়গাটি আমি দেখলাম, এটি খুবই চমৎকার জায়গা। এত চমৎকার জায়গা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জায়গাগুলো সংরক্ষণ করব, যাতে তারা ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে। বে-টার্নিমানাল ও রিং-রোড়ের আট লেনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে গেলে এলাকাটি স্বর্ণের খণিতে পরিণত হবে। আমি আশা করব, স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের এই প্রকল্প হয়ে গেলে স্ট্যাচু অব লিবার্টির মতো বঙ্গবন্ধুর আদলে বিশাল আকৃতির একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হোক, যা সারাবিশ্বে আমাদের ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যা করা দরকার, প্রধানমন্ত্রী তা-ই করে দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের অতন্দ্র প্রহরী। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু এখনও পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা ধর্মের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজাম-পে পবিত্র কোরআন রেখে তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে হবে। জাতির প্রয়োজনে আবারও আমরা রাস্তায় নামব। স্বাধীনতাবিরোধীদের কঠোরহস্তে দমন করব।