মানব পাচার রুখতে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ হোক
মানব পাচারের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশ শীর্ষে। আমরা যদি এর কারণ খুঁজি তাহলে সর্বপ্রথম যে কারণটি আসবে তা হলো বেকারত্ব। দেশের বিপুল পরিমাণ বেকার ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ধারণা, বিদেশে গেলে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। পারিবারিক সচ্ছলতা আসবে। এই বিশ্বাস নিয়ে অবৈধ পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয় তারা। তাদের এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে স্বার্থ হাসিল করে পাচারকারীরা।
আমাদের দেশে মূলত একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলে তারপর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলে আলোচনা, সমালোচনা, নীতিনির্ধারকদের টকশো এবং সুশীলদের পরামর্শ। কিন্তু কিছুদিন পরে আরো একটি ঘটনার চাপে ঢাকা পড়ে যায় পূর্ববর্তী ঘটনা। আর এভাবেই অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারে বিলম্ব না করে দ্রুত শাস্তি দেওয়া উচিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাচারকারীদের আটক করতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তাইয়্যেবা পুষ্প
বাকৃবির আবাসিক হলগুলোতে রিডিংরুম চাই
দক্ষিণ এশিয়ার একটি অনন্য বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিবছর নতুন নতুন স্বপ্ন নিয়ে এখানে লেখাপড়া করতে আসে। কিন্তু জ্ঞান অর্জনের তাগিদে এখানে এসে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না পড়াশোনার অনুকূল পরিবেশ। পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ও উপকরণ না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘিœত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হলগুলোতে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় গণরুমে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। এক একটি রুমে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর কোলাহলের মধ্যে পড়াশোনায় মনোযোগ আনা প্রায় অসম্ভব। এমতাবস্থায় রিডিংরুমই তাদের একমাত্র সমাধান। লাইব্রেরি এ ব্যাপারে কিছুটা সহযোগিতা করতে পারলেও সবসময় বিশেষ করে রাতে লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়া সম্ভব না। এছাড়াও লাইব্রেরিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর জায়গা সংকুলান হওয়াও সম্ভব না। প্রত্যেক হলে যদি পর্যাপ্ত সুবিধাসহ (পর্যাপ্ত চেয়ার, টেবিল, ফ্যান-লাইট, লেখাপড়ার সমগ্রী রাখার যথেষ্ট জায়গা) রিডিংরুম দেয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ পাবে। তারা তাদের সুবিধাজনক সময়ে রিডিংরুমে গিয়ে পড়তে পারবে।
রিডিংরুমের নীরব পরিবেশে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে পারবে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কারণকে সার্থক করতে পারবে। তাই আবাসিক হলগুলোতে রিডিংরুম দেয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইসরাত জাহান জীম
শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ , ১৩ কার্তিক ১৪২৮ ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩
মানব পাচার রুখতে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ হোক
মানব পাচারের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশ শীর্ষে। আমরা যদি এর কারণ খুঁজি তাহলে সর্বপ্রথম যে কারণটি আসবে তা হলো বেকারত্ব। দেশের বিপুল পরিমাণ বেকার ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ধারণা, বিদেশে গেলে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। পারিবারিক সচ্ছলতা আসবে। এই বিশ্বাস নিয়ে অবৈধ পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয় তারা। তাদের এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে স্বার্থ হাসিল করে পাচারকারীরা।
আমাদের দেশে মূলত একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলে তারপর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলে আলোচনা, সমালোচনা, নীতিনির্ধারকদের টকশো এবং সুশীলদের পরামর্শ। কিন্তু কিছুদিন পরে আরো একটি ঘটনার চাপে ঢাকা পড়ে যায় পূর্ববর্তী ঘটনা। আর এভাবেই অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারে বিলম্ব না করে দ্রুত শাস্তি দেওয়া উচিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাচারকারীদের আটক করতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তাইয়্যেবা পুষ্প
বাকৃবির আবাসিক হলগুলোতে রিডিংরুম চাই
দক্ষিণ এশিয়ার একটি অনন্য বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিবছর নতুন নতুন স্বপ্ন নিয়ে এখানে লেখাপড়া করতে আসে। কিন্তু জ্ঞান অর্জনের তাগিদে এখানে এসে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না পড়াশোনার অনুকূল পরিবেশ। পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ও উপকরণ না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিঘিœত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) হলগুলোতে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় গণরুমে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। এক একটি রুমে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর কোলাহলের মধ্যে পড়াশোনায় মনোযোগ আনা প্রায় অসম্ভব। এমতাবস্থায় রিডিংরুমই তাদের একমাত্র সমাধান। লাইব্রেরি এ ব্যাপারে কিছুটা সহযোগিতা করতে পারলেও সবসময় বিশেষ করে রাতে লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়া সম্ভব না। এছাড়াও লাইব্রেরিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর জায়গা সংকুলান হওয়াও সম্ভব না। প্রত্যেক হলে যদি পর্যাপ্ত সুবিধাসহ (পর্যাপ্ত চেয়ার, টেবিল, ফ্যান-লাইট, লেখাপড়ার সমগ্রী রাখার যথেষ্ট জায়গা) রিডিংরুম দেয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ পাবে। তারা তাদের সুবিধাজনক সময়ে রিডিংরুমে গিয়ে পড়তে পারবে।
রিডিংরুমের নীরব পরিবেশে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে পারবে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কারণকে সার্থক করতে পারবে। তাই আবাসিক হলগুলোতে রিডিংরুম দেয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইসরাত জাহান জীম