বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বিতর্ক

সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে আগামীতে আর অনার্স-মাস্টার্স কোর্স ‘চালু রাখা-না-রাখার’ বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ ও শিক্ষাবিদরাও এ বিষয়ে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে প্রায়ই ভিন্ন ভিন্ন মতামত ব্যক্ত করছেন। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনেও এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য তাদের মতামত বা দাবি তুলে ধরেছেন। যার অধিকাংশই ছিল এ মুহূর্তে বেসরকারি কলেজে কোর্সটি বন্ধ না করার পক্ষে। যদিও বিগত বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেই একই অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় এটির বিপরীতে কারিগরি/কর্মমুখী বিভিন্ন শর্ট কোর্স চালুর চিন্তার বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন- বেসরকারি কলেজের কোর্স দুটি চালু হওয়ার দীর্ঘ ২৮-২৯ বছর পর মানবজাতির মহা এ ক্রান্তিকালে হঠাৎ এমন একটি বিতর্কের যৌক্তিকতা আসলে কতটা?

উল্লেখ্য, বিতর্কটি এমন একটি সময় শুরু হয়েছে যখন এ স্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বিগত অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় তারা তাদের এমপিও দাবিতে বেশি সরব রয়েছেন। কেননা দীর্ঘ সময় কোভিড-১৯ এর প্রভাবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শিক্ষকদের যে যৎসামান্য সম্মানী (শিক্ষার্থী বেতননির্ভর) সেটিও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এখন বন্ধ প্রায়।

এটি অবশ্যই সত্য যে, সময়ের প্রয়োজনে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব এখন অনস্বীকার্য। তাছাড়া বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে মোট শিক্ষার্থীর যথাক্রমে ২০% ও ৪০% কারিগরি শিক্ষার্থীর যে লক্ষ্যমাত্রা সেটিও যতটা দ্রুত সম্ভব আমাদের পূরণ করা জরুরি। কিন্তু শুধুমাত্র লক্ষ্যমাত্রা পূরণের স্বার্থে আমাদের এটিও ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে, যেখানে ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্স দুটি চালুর পর- কোর্সের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে ধরনের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা ছিল সেটি এখন পর্যন্ত সেভাবে পাওয়া সম্ভব হয়নি। উপরন্তু প্রয়োজনীয় কারিগরি সরঞ্জাম/যন্ত্রাংশের ও দক্ষ প্রশিক্ষকের অভাবে বস্তুত কোর্স দুটি ব্যবহারিক নির্ভরতার পরিবর্তে অনেকটা তাত্ত্বিক ও সনদ নির্ভরই হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে ১৯৬৯ সালে চালুকৃত (স্বাধীনতার পূর্বে) বিভিন্ন কর্মমুখী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অন্য যে ক্ষেত্রসমূহ এখন দেশে অনেকটা প্রসার লাভ করেছে (বিভিন্ন টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) সেগুলোর গুণগতমান নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে এখনও। এমন একটি কঠিন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে ডিগ্রি (পাস) কোর্স বা উচ্চশিক্ষা পরবর্তী কারিগরি শর্ট কোর্সের প্রতি শিক্ষার্থীদের কতটা ইতিবাচক মনোভাব তৈরি সম্ভব হবে তা বলা মুশকিল। কেননা ভিত্তি যেখানে মজবুত নয়, সেখানে চূড়ান্ত সফলতা প্রত্যাশা মোটেই সমীচীন হতে পারে না!

অবশ্যই এ বিষয়ে সম্প্রতি গঠিত ১৫ সদস্যের একটি সুপারিশ কমিটির অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মমুখী শর্ট কোর্স যুক্ত করে সময় উপযোগী একটি উচ্চশিক্ষা কোর্স চালুর বিষয়ে এগোতে চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। বাস্তবে সেটি যদি সম্ভবপর হয়ে ওঠে, তবে অবশ্যই সেটি ভালো বৈ কোন অংশে মন্দ হবে না। কিন্তু বিষয় হচ্ছে, বৈশি^ক মহা এ সংকটকালে বর্তমান বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে যেভাবে নেতিবাচক সমালোচনা চলছে সেটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্টের জন্যে কতটা কল্যাণকর হতে পারে?

এটি অবশ্যই কর্তাব্যক্তিদের মনে রাখা উচিত যে, ২৯ বছর আর্থিক বৈষম্যের সাথে চূড়ান্ত সামাজিক নিগৃহকে স্বীকার করেই এ স্তরের শিক্ষকরা সেই ১৯৯৩ সাল থেকে রীতিমতো জীবনের সাথে যুদ্ধ করেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করছেন। সেই সাথে এসব কলেজে এ স্তরে অধ্যয়নরত লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাও রয়েছেন চূড়ান্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। অথচ বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখেই ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে কোর্সটি থাকা-না-থাকার অনিশ্চয়তা নিয়েই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কলেজে অনেকটা বাধ্য হয়ে ভর্তি হচ্ছে। সাথে এ স্তরের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ২৯ বছরের নন-এমপিও অভিশপ্ত জীবনের চূড়ান্ত অস্বস্তি ও অনিশ্চয়তার মাত্রাও বেড়েছে কয়েকগুণ!

সহজ কথা হচ্ছে, উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন সেটি অবশ্যই সার্বিক কল্যাণের নিমিত্তে হওয়া উচিত; কোনভাবেই কোন পক্ষকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। অর্থাৎ এ সমস্যার সমাধানে এ স্তরের শিক্ষকদের একটি স্থায়ী অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা বিধান ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দ্রুত একটি সঠিক কারিকুলাম প্রকাশ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকরা যদি জনবলে না থেকেও এমপিও আওতায় আসতে পারে, তবে এই শিক্ষকদের সময়ের প্রয়োজনে একটি বিশেষ এমপিও ব্যবস্থা প্রণয়নের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

অতএব, পরিশেষে শুধু এটুকু বলার- শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান বা কারিগরি/কর্মমুখী শিক্ষাতেই নয়; বরং বাংলাদেশকে সমভাবে এগিয়ে যেতে হবে নীতি-নৈতিকতা তথা তাত্ত্বিক ও মানবিক শিক্ষায়ও। অন্যথায় স্বাধীনতা উত্তর সোনার বাংলার যে স্বপ্ন তা অধরাই থেকে যাবে কালের পর কাল। ধ্বংস নয়, সৃষ্টির অন্তর্নিহিত উপযোগেই দেখা দিক সৃষ্টির নবতর উচ্ছ্বাস!

[লেখক : সেল সদস্য (তথ্য), বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ]

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর ২০২১ , ১৩ কার্তিক ১৪২৮ ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বিতর্ক

চিরঞ্জীব চ্যাটার্জী

সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে আগামীতে আর অনার্স-মাস্টার্স কোর্স ‘চালু রাখা-না-রাখার’ বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ ও শিক্ষাবিদরাও এ বিষয়ে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে প্রায়ই ভিন্ন ভিন্ন মতামত ব্যক্ত করছেন। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশনেও এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য তাদের মতামত বা দাবি তুলে ধরেছেন। যার অধিকাংশই ছিল এ মুহূর্তে বেসরকারি কলেজে কোর্সটি বন্ধ না করার পক্ষে। যদিও বিগত বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেই একই অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় এটির বিপরীতে কারিগরি/কর্মমুখী বিভিন্ন শর্ট কোর্স চালুর চিন্তার বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন- বেসরকারি কলেজের কোর্স দুটি চালু হওয়ার দীর্ঘ ২৮-২৯ বছর পর মানবজাতির মহা এ ক্রান্তিকালে হঠাৎ এমন একটি বিতর্কের যৌক্তিকতা আসলে কতটা?

উল্লেখ্য, বিতর্কটি এমন একটি সময় শুরু হয়েছে যখন এ স্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বিগত অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় তারা তাদের এমপিও দাবিতে বেশি সরব রয়েছেন। কেননা দীর্ঘ সময় কোভিড-১৯ এর প্রভাবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত শিক্ষকদের যে যৎসামান্য সম্মানী (শিক্ষার্থী বেতননির্ভর) সেটিও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এখন বন্ধ প্রায়।

এটি অবশ্যই সত্য যে, সময়ের প্রয়োজনে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব এখন অনস্বীকার্য। তাছাড়া বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে মোট শিক্ষার্থীর যথাক্রমে ২০% ও ৪০% কারিগরি শিক্ষার্থীর যে লক্ষ্যমাত্রা সেটিও যতটা দ্রুত সম্ভব আমাদের পূরণ করা জরুরি। কিন্তু শুধুমাত্র লক্ষ্যমাত্রা পূরণের স্বার্থে আমাদের এটিও ভুলে যাওয়া উচিত হবে না যে, যেখানে ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে যথাক্রমে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্স দুটি চালুর পর- কোর্সের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে ধরনের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার কথা ছিল সেটি এখন পর্যন্ত সেভাবে পাওয়া সম্ভব হয়নি। উপরন্তু প্রয়োজনীয় কারিগরি সরঞ্জাম/যন্ত্রাংশের ও দক্ষ প্রশিক্ষকের অভাবে বস্তুত কোর্স দুটি ব্যবহারিক নির্ভরতার পরিবর্তে অনেকটা তাত্ত্বিক ও সনদ নির্ভরই হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে ১৯৬৯ সালে চালুকৃত (স্বাধীনতার পূর্বে) বিভিন্ন কর্মমুখী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার অন্য যে ক্ষেত্রসমূহ এখন দেশে অনেকটা প্রসার লাভ করেছে (বিভিন্ন টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) সেগুলোর গুণগতমান নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে এখনও। এমন একটি কঠিন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে ডিগ্রি (পাস) কোর্স বা উচ্চশিক্ষা পরবর্তী কারিগরি শর্ট কোর্সের প্রতি শিক্ষার্থীদের কতটা ইতিবাচক মনোভাব তৈরি সম্ভব হবে তা বলা মুশকিল। কেননা ভিত্তি যেখানে মজবুত নয়, সেখানে চূড়ান্ত সফলতা প্রত্যাশা মোটেই সমীচীন হতে পারে না!

অবশ্যই এ বিষয়ে সম্প্রতি গঠিত ১৫ সদস্যের একটি সুপারিশ কমিটির অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মমুখী শর্ট কোর্স যুক্ত করে সময় উপযোগী একটি উচ্চশিক্ষা কোর্স চালুর বিষয়ে এগোতে চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। বাস্তবে সেটি যদি সম্ভবপর হয়ে ওঠে, তবে অবশ্যই সেটি ভালো বৈ কোন অংশে মন্দ হবে না। কিন্তু বিষয় হচ্ছে, বৈশি^ক মহা এ সংকটকালে বর্তমান বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে যেভাবে নেতিবাচক সমালোচনা চলছে সেটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্টের জন্যে কতটা কল্যাণকর হতে পারে?

এটি অবশ্যই কর্তাব্যক্তিদের মনে রাখা উচিত যে, ২৯ বছর আর্থিক বৈষম্যের সাথে চূড়ান্ত সামাজিক নিগৃহকে স্বীকার করেই এ স্তরের শিক্ষকরা সেই ১৯৯৩ সাল থেকে রীতিমতো জীবনের সাথে যুদ্ধ করেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করছেন। সেই সাথে এসব কলেজে এ স্তরে অধ্যয়নরত লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাও রয়েছেন চূড়ান্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়। অথচ বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখেই ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে কোর্সটি থাকা-না-থাকার অনিশ্চয়তা নিয়েই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কলেজে অনেকটা বাধ্য হয়ে ভর্তি হচ্ছে। সাথে এ স্তরের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ২৯ বছরের নন-এমপিও অভিশপ্ত জীবনের চূড়ান্ত অস্বস্তি ও অনিশ্চয়তার মাত্রাও বেড়েছে কয়েকগুণ!

সহজ কথা হচ্ছে, উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন সেটি অবশ্যই সার্বিক কল্যাণের নিমিত্তে হওয়া উচিত; কোনভাবেই কোন পক্ষকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। অর্থাৎ এ সমস্যার সমাধানে এ স্তরের শিক্ষকদের একটি স্থায়ী অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা বিধান ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দ্রুত একটি সঠিক কারিকুলাম প্রকাশ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকরা যদি জনবলে না থেকেও এমপিও আওতায় আসতে পারে, তবে এই শিক্ষকদের সময়ের প্রয়োজনে একটি বিশেষ এমপিও ব্যবস্থা প্রণয়নের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

অতএব, পরিশেষে শুধু এটুকু বলার- শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান বা কারিগরি/কর্মমুখী শিক্ষাতেই নয়; বরং বাংলাদেশকে সমভাবে এগিয়ে যেতে হবে নীতি-নৈতিকতা তথা তাত্ত্বিক ও মানবিক শিক্ষায়ও। অন্যথায় স্বাধীনতা উত্তর সোনার বাংলার যে স্বপ্ন তা অধরাই থেকে যাবে কালের পর কাল। ধ্বংস নয়, সৃষ্টির অন্তর্নিহিত উপযোগেই দেখা দিক সৃষ্টির নবতর উচ্ছ্বাস!

[লেখক : সেল সদস্য (তথ্য), বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদ]