ইএমআই সুবিধায় পাওয়া যাচ্ছে বাজাজ অটোরিকশা

গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারের অটোরিকশা কেনার জন্য ইএমআই সুবিধা নিয়ে এলো বাজাজ। এখন ইএমআই সুবিধায় অটোরিকশা কিনে একাধিক কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই কোম্পানিটির এই ইএমআই সুবিধা জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। অনেকে এই সুবিধায় অটোরিকশা কিনে জীবনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

এমনই একজন হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জের ৪২ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী। সাত ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আলীকে তাই কলেজের গণ্ডি পেরোনোর আগেই পুরো পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয় এবং উপার্জনের খোঁজে মাঠে নামতে হয়। সময়ের পালাবদলের সঙ্গে জীবনেরও পালাবদল ঘটে। কয়েক দশক পরে আলী তখনও কৃষিকাজের মাধ্যমে তার জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

এমন সময় এক প্রতিবেশী নির্দিষ্ট দৈনিক মজুরির বিনিময়ে তাদের মালিকানাধীন একটি তিন চাকার বাজাজ আরই অটোরিকশা চালানোর প্রস্তাব নিয়ে তার কাছে আসেন। আলী এই সুযোগ গ্রহণ করেন। তাই যদিও তখন আলীর হাতে বাজাজ আরই কেনার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না, ইএমআই সুবিধা গ্রহণ এবং প্রাথমিক ডাউন পেমেন্ট পরিশোধের মাধ্যমে নিজের সুখের চাবি হাতে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরতে সক্ষম হন।

শুধু আলীই নয়, এমন অনেকে ইএমআইতে অটোরিকশা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এখন তারা তাদের পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি তাদের এলাকার জনগণকে দ্রুতগতির এবং সাশ্রয়ী বাহনের মাধ্যমে পরিবহন সেবা প্রদান করতে পারছেন।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ইএমআই সুবিধায় পাওয়া যাচ্ছে বাজাজ অটোরিকশা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারের অটোরিকশা কেনার জন্য ইএমআই সুবিধা নিয়ে এলো বাজাজ। এখন ইএমআই সুবিধায় অটোরিকশা কিনে একাধিক কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই কোম্পানিটির এই ইএমআই সুবিধা জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। অনেকে এই সুবিধায় অটোরিকশা কিনে জীবনে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।

এমনই একজন হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জের ৪২ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী। সাত ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আলীকে তাই কলেজের গণ্ডি পেরোনোর আগেই পুরো পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয় এবং উপার্জনের খোঁজে মাঠে নামতে হয়। সময়ের পালাবদলের সঙ্গে জীবনেরও পালাবদল ঘটে। কয়েক দশক পরে আলী তখনও কৃষিকাজের মাধ্যমে তার জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

এমন সময় এক প্রতিবেশী নির্দিষ্ট দৈনিক মজুরির বিনিময়ে তাদের মালিকানাধীন একটি তিন চাকার বাজাজ আরই অটোরিকশা চালানোর প্রস্তাব নিয়ে তার কাছে আসেন। আলী এই সুযোগ গ্রহণ করেন। তাই যদিও তখন আলীর হাতে বাজাজ আরই কেনার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না, ইএমআই সুবিধা গ্রহণ এবং প্রাথমিক ডাউন পেমেন্ট পরিশোধের মাধ্যমে নিজের সুখের চাবি হাতে নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরতে সক্ষম হন।

শুধু আলীই নয়, এমন অনেকে ইএমআইতে অটোরিকশা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এখন তারা তাদের পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি তাদের এলাকার জনগণকে দ্রুতগতির এবং সাশ্রয়ী বাহনের মাধ্যমে পরিবহন সেবা প্রদান করতে পারছেন।