দশমিনায় পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন প্রতিপক্ষের

পটুয়াখালীর দশমিনায় উপজেলায় এক মাছ ব্যবসায়ীর পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করে প্রায় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এই ঘটনায় এলাকার মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মো. এছাহাক মৃধার নিজ পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। দিন দুপুরে পুকুরের বিষ দিয়ে এ মাছ মারছে দুর্বৃত্তরা। মাছ নিধন করেছে এমন ডাক চিৎকার শুনে পুকুর পারে গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ৯০ হাজার টাকার দেশি প্রজাতির মাছ মরে ভেসে আছে।

ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধার স্ত্রী মোসা. পারভিন বেগম বলেন, আমার নিজের চোখে দেখেছি শুক্রবার দুপুরে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধা পুকুর পারে বিষের বোতল নিয়ে হাঁটে আর আমারে দেখে পুকুরের মধ্যে ম্যালা মারে। তার কিছুক্ষণ পর হইতে পুকুরের মাছ মরে ভাইসা উঠতে থাকে।

ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধা বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারনে প্রকাশ্য দিবালোকে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধারা আমার চাষের পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মারছে। এমন কি তারা এর পূর্বেও দুইবার আমার চাষের অন্য পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে তারা এলাকা ছাড়তে হুমকিও দিয়ে আসছে। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ দেশি প্রজাতির মাছের রেনু পোনার ব্যবসা করে আসছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচারের দাবি জানাই।

এই বিষয়ে ফারুক মৃধা জানান, আমাদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের ফাঁসাতে মাছ মারার অভিযোগ করেছে।

দশমিনা থানা ওসি মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার সঠিকভাবে কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তা বলতে পারেনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

দশমিনায় পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন প্রতিপক্ষের

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দশমিনায় উপজেলায় এক মাছ ব্যবসায়ীর পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করে প্রায় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এই ঘটনায় এলাকার মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মো. এছাহাক মৃধার নিজ পুকুরে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। দিন দুপুরে পুকুরের বিষ দিয়ে এ মাছ মারছে দুর্বৃত্তরা। মাছ নিধন করেছে এমন ডাক চিৎকার শুনে পুকুর পারে গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ৯০ হাজার টাকার দেশি প্রজাতির মাছ মরে ভেসে আছে।

ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধার স্ত্রী মোসা. পারভিন বেগম বলেন, আমার নিজের চোখে দেখেছি শুক্রবার দুপুরে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধা পুকুর পারে বিষের বোতল নিয়ে হাঁটে আর আমারে দেখে পুকুরের মধ্যে ম্যালা মারে। তার কিছুক্ষণ পর হইতে পুকুরের মাছ মরে ভাইসা উঠতে থাকে।

ভুক্তভোগী মো. এছাহাক মৃধা বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারনে প্রকাশ্য দিবালোকে মো. ফারুক মৃধা ও মামুন মৃধারা আমার চাষের পুকুরে বিষ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ মারছে। এমন কি তারা এর পূর্বেও দুইবার আমার চাষের অন্য পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে তারা এলাকা ছাড়তে হুমকিও দিয়ে আসছে। আমি দীর্ঘদিন যাবৎ দেশি প্রজাতির মাছের রেনু পোনার ব্যবসা করে আসছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচারের দাবি জানাই।

এই বিষয়ে ফারুক মৃধা জানান, আমাদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের ফাঁসাতে মাছ মারার অভিযোগ করেছে।

দশমিনা থানা ওসি মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার সঠিকভাবে কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তা বলতে পারেনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।