বাগেরহাটে পুলিশ নিয়োগে প্রতারণা : গ্রেপ্তার একজন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক, আইজিপির বন্ধু ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বলে পরিচয় দিতেন তিনি। এই ভুয়া পরিচয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা চুক্তি করেন স্বপন সিংহ (৪৫) নামের ওই প্রতারক। শেষে ধরা পড়ে যান। আইজিপির জাল সিল স্বাক্ষর সম্বলিত চাকরির আবেদনটি বাগেরহাট পুলিশ সুপারের গোচরে এলে তার নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বরিশাল সদর থেকে গ্রেফতার করে স্বপনকে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পটুয়াখালী জেলার মির্জগঞ্জ থানার গাবুরা গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র নাথ বড়–য়ার ছেলে স্বপন সিংহ বরিশাল কোতোয়ালির ২১নং ওয়ার্ডে বটতলা জমিদার বাড়ীর ৩য় তলায় ভাড়া থাকেন। স্বপনসহ আরো ৪ সহযোগি মিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক ও আইজিপির বন্ধু পরিচয়ে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতি গ্রামের বিশ^জিৎ শীলের ছেলে প্রান্ত শীল বাপ্পিকে (১৮) পুলিশ কনষ্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকায় চুক্তি করেন।

চাকরির আবেদনে আইজিপির সিল ও স্বাক্ষর জাল করে বাপ্পীর মায়ের সাথে প্রতারনা করেন। আবেদনটি বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে এলে ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়।

এ ঘটনায় বাপ্পীর মা যুথিকা শীল বাদী হয়ে স্বপন সিংহ, সহযোগী ঝালকাঠির বিষ্ণু বর্মন (২৪), খুলনা রুপসার স্বজল চক্রবর্ত্তী (২২) ও কুমিল্লার বড়–রা উপজেলার ইকবাল হোসেনকে (৪৫) আসামি করে গত বুধবার ফকিরহাট থানায় মামলা করেন। বাগেরহাটের ডিবি পুলিশ ও ডিএসবি গত বুধবার রাতে বরিশালে অভিযান চালিয়ে স্বপন সিংহকে গ্রেফতার করে। স্বপন নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং আইজিপির বন্ধু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক পরিচয় দিয়ে যুথীকা রানী শীলের সাথে চুক্তি করেন বলে বাদী অভিযোগ করেন। প্রতারকদের কাছ থেকে আইজিপির সিল, ১০ লাখ টাকার একটি চেক ও শুধু স্বাক্ষর করা ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল ৩টি সাদা স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরো বলেন, ৭ নভেম্বর বাগেরহাটে পুলিশ কনস্টেবলে নিয়োগ হবে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগে কেউ কোন প্রতারণা করলে পুলিশ সদস্যরা তা প্রতিরোধ করবে। অতএব কেউ যেন প্রতারিত না হন সেদিকে সজাগ থাকবেন।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

বাগেরহাটে পুলিশ নিয়োগে প্রতারণা : গ্রেপ্তার একজন

আজাদুল হক, বাগেরহাট

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক, আইজিপির বন্ধু ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বলে পরিচয় দিতেন তিনি। এই ভুয়া পরিচয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা চুক্তি করেন স্বপন সিংহ (৪৫) নামের ওই প্রতারক। শেষে ধরা পড়ে যান। আইজিপির জাল সিল স্বাক্ষর সম্বলিত চাকরির আবেদনটি বাগেরহাট পুলিশ সুপারের গোচরে এলে তার নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বরিশাল সদর থেকে গ্রেফতার করে স্বপনকে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পটুয়াখালী জেলার মির্জগঞ্জ থানার গাবুরা গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র নাথ বড়–য়ার ছেলে স্বপন সিংহ বরিশাল কোতোয়ালির ২১নং ওয়ার্ডে বটতলা জমিদার বাড়ীর ৩য় তলায় ভাড়া থাকেন। স্বপনসহ আরো ৪ সহযোগি মিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক ও আইজিপির বন্ধু পরিচয়ে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতি গ্রামের বিশ^জিৎ শীলের ছেলে প্রান্ত শীল বাপ্পিকে (১৮) পুলিশ কনষ্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকায় চুক্তি করেন।

চাকরির আবেদনে আইজিপির সিল ও স্বাক্ষর জাল করে বাপ্পীর মায়ের সাথে প্রতারনা করেন। আবেদনটি বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে এলে ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়।

এ ঘটনায় বাপ্পীর মা যুথিকা শীল বাদী হয়ে স্বপন সিংহ, সহযোগী ঝালকাঠির বিষ্ণু বর্মন (২৪), খুলনা রুপসার স্বজল চক্রবর্ত্তী (২২) ও কুমিল্লার বড়–রা উপজেলার ইকবাল হোসেনকে (৪৫) আসামি করে গত বুধবার ফকিরহাট থানায় মামলা করেন। বাগেরহাটের ডিবি পুলিশ ও ডিএসবি গত বুধবার রাতে বরিশালে অভিযান চালিয়ে স্বপন সিংহকে গ্রেফতার করে। স্বপন নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং আইজিপির বন্ধু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্যালক পরিচয় দিয়ে যুথীকা রানী শীলের সাথে চুক্তি করেন বলে বাদী অভিযোগ করেন। প্রতারকদের কাছ থেকে আইজিপির সিল, ১০ লাখ টাকার একটি চেক ও শুধু স্বাক্ষর করা ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল ৩টি সাদা স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরো বলেন, ৭ নভেম্বর বাগেরহাটে পুলিশ কনস্টেবলে নিয়োগ হবে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগে কেউ কোন প্রতারণা করলে পুলিশ সদস্যরা তা প্রতিরোধ করবে। অতএব কেউ যেন প্রতারিত না হন সেদিকে সজাগ থাকবেন।