বাজার নিয়ন্ত্রণহীন, সবজিতে দাম কমার লক্ষণ নেই

দীর্ঘদিন থেকে বাড়তে থাকা সবজির দাম কমার কোন লক্ষণ নেই। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের প্রায় সব ধরনের সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সবজির সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দামও। তবে কয়েক মাস থেকে বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকায়, ফুলকপি প্রতিপিস ৪০-৫০ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়, টমেটো ১২০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়। গাজর প্রতিকেজি ১২০ টাকায়, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকায়, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পোটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কাঁকরোলা ৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ২৫ টাকা।

এ সব বাজারে আলুর বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ কেজি ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। ভারতীয় ও মায়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এ সব বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এ সব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতিলিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

বাজারে ডিমের দামও ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৯০ টাকায়। গত সপ্তাহের থেকে ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। কেজি ৩০০ থেকে ৩১৯ টাকা। লেয়ার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজি ২৩০ টাকা।

অন্যদিকে, বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্যান্য মাংসের দাম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। ঢাকার বাজারগুলোতে দেশি জাতের চিংড়ি ৮০০ থেকে এক এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, আইড়, চিতল, বেলে মাছ আকারভেদে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে ইলিশ মাছ কম থাকায় দামও একটু বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মাঝারি আকারের ইলিশ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। ছোট আকারের বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

বাজার নিয়ন্ত্রণহীন, সবজিতে দাম কমার লক্ষণ নেই

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

দীর্ঘদিন থেকে বাড়তে থাকা সবজির দাম কমার কোন লক্ষণ নেই। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের প্রায় সব ধরনের সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সবজির সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দামও। তবে কয়েক মাস থেকে বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ ও মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, বেগুন ৬০ টাকায়, ফুলকপি প্রতিপিস ৪০-৫০ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়, টমেটো ১২০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়। গাজর প্রতিকেজি ১২০ টাকায়, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকায়, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পোটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কাঁকরোলা ৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ২৫ টাকা।

এ সব বাজারে আলুর বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজ কেজি ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। ভারতীয় ও মায়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এ সব বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এ সব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতিলিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

বাজারে ডিমের দামও ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

বাজারে কমেছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৯০ টাকায়। গত সপ্তাহের থেকে ২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। কেজি ৩০০ থেকে ৩১৯ টাকা। লেয়ার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজি ২৩০ টাকা।

অন্যদিকে, বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্যান্য মাংসের দাম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। ঢাকার বাজারগুলোতে দেশি জাতের চিংড়ি ৮০০ থেকে এক এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টেংরা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, আইড়, চিতল, বেলে মাছ আকারভেদে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে ইলিশ মাছ কম থাকায় দামও একটু বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মাঝারি আকারের ইলিশ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। ছোট আকারের বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।