ভ্যাটিকান থেকে শুরু বাইডেনের ইউরোপ সফর

স্কটল্যান্ডের গ্ল্যাসগোতে আগামী রোববার থেকে শুরু হবে জলাবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ-২৬। সেখানে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এর আগে ইতালির রাজধানী রোমে পৌঁছেছেন তিনি। সেখান থেকে ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের সঙ্গে দেখা করবেন ক্যাথলিক এই প্রেসিডেন্ট।

এবারের বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বিশ্বের গণতন্ত্র নিয়েও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে বাইডেনের। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট হলেন জো বাইডেন। তিনি ধর্মভীরুও বটে। ফলে ভ্যাটিকান থেকে তার সফর শুরু করার অন্য গুরুত্ব আছে। ভ্যাটিকানে পোপের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা তার বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়াকে সাবমেরিন বিক্রি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সাম্প্রতিককালে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্সের সঙ্গে সাবমেরিন বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করার পর অস্ট্রেলিয়া তা বাতিল করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হাত মেলায়। যা নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া ভাষায় সমালোচনাও করা হয়েছিল। তারপর এই প্রথম বাইডেন-ম্যাক্রোঁ আলোচনা হওয়ার কথা। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে একটি সমাধানসূত্র বের হবে বলেই কূটনীতিকদের ধারণা।

এরপর আগামী রোববার গ্লাসগো পৌঁছানোর কথা বাইডেনের। সেখানে জলবায়ু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত জানানোর জন্য একটি বড় টিম পৌঁছাবে বলে বাইডেনের অফিস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। জলবায়ুসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অন্য দেশগুলোকে ওয়াশিংটন চাপ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই শতাব্দীতে উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ দুই ডিগ্রির নিচে আনা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে।

তবে পাশাপাশি গণতন্ত্র নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রাখতে পারেন বাইডেন। হোয়াইট হাউজ সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, বাইডেন মনে করেন গোটা বিশ্বে গণতন্ত্র বিপদের মুখে এসে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গণতান্ত্রিক সরকার ভেঙে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন গণতন্ত্র রক্ষা করা প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। বাইডেন মনে করেন, এই মুহূর্তে গণতন্ত্রই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা।

এদিকে জলবায়ু সম্মেলনের মধ্যেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বাইডেনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে বলে জানা গেছে। এই বৈঠকটির দিকেও তাকিয়ে আছে কূটনীতিকরা। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক বিষয়ে বিতর্ক চলছে তুরস্কের। বাইডেন-এরদোয়ান বৈঠক থেকে সে বিষয়ে কোনো সমাধানসূত্র মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

ভ্যাটিকান থেকে শুরু বাইডেনের ইউরোপ সফর

স্কটল্যান্ডের গ্ল্যাসগোতে আগামী রোববার থেকে শুরু হবে জলাবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ-২৬। সেখানে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এর আগে ইতালির রাজধানী রোমে পৌঁছেছেন তিনি। সেখান থেকে ভ্যাটিকান সিটিতে পোপের সঙ্গে দেখা করবেন ক্যাথলিক এই প্রেসিডেন্ট।

এবারের বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বিশ্বের গণতন্ত্র নিয়েও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে বাইডেনের। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট হলেন জো বাইডেন। তিনি ধর্মভীরুও বটে। ফলে ভ্যাটিকান থেকে তার সফর শুরু করার অন্য গুরুত্ব আছে। ভ্যাটিকানে পোপের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা তার বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়াকে সাবমেরিন বিক্রি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সাম্প্রতিককালে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্সের সঙ্গে সাবমেরিন বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করার পর অস্ট্রেলিয়া তা বাতিল করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হাত মেলায়। যা নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া ভাষায় সমালোচনাও করা হয়েছিল। তারপর এই প্রথম বাইডেন-ম্যাক্রোঁ আলোচনা হওয়ার কথা। সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে একটি সমাধানসূত্র বের হবে বলেই কূটনীতিকদের ধারণা।

এরপর আগামী রোববার গ্লাসগো পৌঁছানোর কথা বাইডেনের। সেখানে জলবায়ু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত জানানোর জন্য একটি বড় টিম পৌঁছাবে বলে বাইডেনের অফিস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে। জলবায়ুসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অন্য দেশগুলোকে ওয়াশিংটন চাপ দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই শতাব্দীতে উষ্ণতা বৃদ্ধির পরিমাণ দুই ডিগ্রির নিচে আনা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে।

তবে পাশাপাশি গণতন্ত্র নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রাখতে পারেন বাইডেন। হোয়াইট হাউজ সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, বাইডেন মনে করেন গোটা বিশ্বে গণতন্ত্র বিপদের মুখে এসে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গণতান্ত্রিক সরকার ভেঙে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন গণতন্ত্র রক্ষা করা প্রয়োজন, তা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। বাইডেন মনে করেন, এই মুহূর্তে গণতন্ত্রই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা।

এদিকে জলবায়ু সম্মেলনের মধ্যেই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বাইডেনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে বলে জানা গেছে। এই বৈঠকটির দিকেও তাকিয়ে আছে কূটনীতিকরা। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক বিষয়ে বিতর্ক চলছে তুরস্কের। বাইডেন-এরদোয়ান বৈঠক থেকে সে বিষয়ে কোনো সমাধানসূত্র মেলে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।