ছয় ইউনিয়নে বিএনপি-জামায়াত সমঝোতায় প্রার্থী দিয়েছে

আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছে

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সমঝোতার মাধ্যমে আসন ভাগাভাগি করে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে ইউপি নির্বাচনে দলগতভাবে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় পীরগাছায় এমন কৌশলে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এ দুই দলের প্রার্থীরা। ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে বিএনপি এবং ২টি ইউনিয়নে জামায়াত প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত ২০ দলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে। তবে কাগজ-কলমে নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থী বলছে। আসন ভাগাভাগির পর সেখানে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি।

এ দিকে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছে। দলগুলো হলো, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ কংগ্রেস। এছাড়াও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। সব মিলে চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন, ইটাকুমারী ইউনিয়নে আবুল বাশার, অন্নদানগরে আমিনুল ইসলাম, ছাওলায় আবদুল হাকিম, তাম্বুলপুরে শাহীন সরদার, পীরগাছায় জাহাঙ্গীর আলম জালাল, কৈকুড়ীতে শফিকুল ইসলাম লেবু ও কান্দি ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম রাজ্জাক নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পারুল ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ, অন্নদানগরে আনোয়ার হোসেন, ছাওলায় আবদুস ছবুর আকন্দ, তাম্বুলপুরে নুরুজ্জামান সরকার, আবুল কালাম আজাদ, সোহরাব হোসেন মিঠু ও কান্দি ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম খাঁন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিএনপি প্রার্থীরা ৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে অন্নদানগর ইউনিয়নে ইউনিয়ন সভাপতি জিল্লুর রহমান, ছাওলা ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা নাজির হোসেন, পীরগাছা ইউনিয়নে ইউনিয়ন সভাপতি মো. মোস্তাফিজার রহমান রেজা ও কান্দি ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সদস্য আবদুস ছালাম আজাদ জুয়েল।

তবে কান্দি ইউনিয়নের আবদুস ছালাম আজাদ জুয়েল এই প্রতিনিধিকে বলেছেন, তিনি বিএনপি রাজনীতি করেন না। বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অন্নদানগর ইউনিয়নে সাবেক ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ছাওলা ইউনিয়নে যুব দলের সাবেক সভাপতি শাহ মো. নুরে আলম ছিদ্দিকী ও কৈকুড়ী ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছাইদুল ইসলাম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির তিন বিদ্রোহী প্রার্থী দাবি করেছেন বিএনপি দলগতভাবে তাদের সমর্থন না দেয়ায় তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সেই সঙ্গে বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী তাদের সমর্থন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তারা।

এক সময় পীরগাছা জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও আগামী ইউপি নির্বাচনে ৮ ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৪টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ইটাকুমারীতে ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম সোহেল, তাম্বুলপুর ইউনিয়নে উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম লাভলু, পীরগাছা ইউনিয়নে উপজেলা কমিটির সদস্য রঞ্জু আলম ও কৈকুড়ী ইউনিয়নে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নুর আলম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কৈকুড়ী ইউনিয়নে বাবুল আক্তার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপরদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২টি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে তাম্বুলপুর ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামের উপজেলা আমির বজলুর রশিদ মুকুল ও কৈকুড়ী ইউনিয়নে উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা জামায়াতের আমির ও তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বজলুর রশীদ মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে বিএনপির সঙ্গে সমন্ময় করে নির্বাচন করছি। বিএনপি যে ৪টিতে প্রার্থী দিয়েছে সেখানে আমরা প্রার্থী দেইনি, অন্যদিকে আমরা যে দুটি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছি সেখানে বিএনপি কোন প্রার্থী দেয়নি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্বীকার করেন যে, পীরগাছায় বিএনপি ও জামায়াত জোট শক্তিশালী, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে ৬টি ইউনিয়নেই আমাদের প্রার্থীরা জয়ী হবে।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল মাহমুদ মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন, বিএনপি জামায়াত বিভিন্ন নির্বাচনী সভাগুলোতে নিজেদের ২০ দলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছে এটা নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী। তারা যতই চালাকি করুক জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে পারুল ইউনিয়নে জাসদের একমাত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ দলীয় প্রতীক মশাল না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন ৬ ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে পীরগাছায় মাওলানা সাইফুল ইসলাম, অন্নদানগরে রিয়াজুল ইসলাম, তাম্বুলপুরে আবদুস ছামাদ, কান্দিতে আমির উদ্দিন, কৈকুড়ীতে হাফেজ আসাদুজ্জামান রানু ও ইটাকুমারীতে জাহিদুল ইসলাম হাত পাখা প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অপরদিকে বাংলাদেশ কংগ্রেস ৪টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছেন। পীরগাছায় শহিদুল ইসলাম, ইটাকুমারীতে আদম আলী, তাম্বুলপুরে শফিকুল ইসলাম ও কৈকুড়ী ইউনিয়নে হারুণ পাশা জাতীয় প্রতীক ডাব মার্কা প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।

উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে ৪৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ৩৪৮ জন সাধারণ সদস্য ও ১২৭ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে পীরগাছা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শোয়ায়েব হোসেন জানান উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৮১টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ১১৭টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২,৩৯,২৯৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১,১৭,৯৩৬ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১,২১,৩৬৩ জন।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

রংপুরের পীরগাছায় ইউপি নির্বাচন

ছয় ইউনিয়নে বিএনপি-জামায়াত সমঝোতায় প্রার্থী দিয়েছে

আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছে

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সমঝোতার মাধ্যমে আসন ভাগাভাগি করে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে ইউপি নির্বাচনে দলগতভাবে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় পীরগাছায় এমন কৌশলে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এ দুই দলের প্রার্থীরা। ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে বিএনপি এবং ২টি ইউনিয়নে জামায়াত প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

মাঠ পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত ২০ দলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে। তবে কাগজ-কলমে নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থী বলছে। আসন ভাগাভাগির পর সেখানে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি।

এ দিকে রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছে। দলগুলো হলো, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ কংগ্রেস। এছাড়াও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। সব মিলে চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন, ইটাকুমারী ইউনিয়নে আবুল বাশার, অন্নদানগরে আমিনুল ইসলাম, ছাওলায় আবদুল হাকিম, তাম্বুলপুরে শাহীন সরদার, পীরগাছায় জাহাঙ্গীর আলম জালাল, কৈকুড়ীতে শফিকুল ইসলাম লেবু ও কান্দি ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম রাজ্জাক নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে পারুল ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ, অন্নদানগরে আনোয়ার হোসেন, ছাওলায় আবদুস ছবুর আকন্দ, তাম্বুলপুরে নুরুজ্জামান সরকার, আবুল কালাম আজাদ, সোহরাব হোসেন মিঠু ও কান্দি ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম খাঁন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিএনপি প্রার্থীরা ৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে অন্নদানগর ইউনিয়নে ইউনিয়ন সভাপতি জিল্লুর রহমান, ছাওলা ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা নাজির হোসেন, পীরগাছা ইউনিয়নে ইউনিয়ন সভাপতি মো. মোস্তাফিজার রহমান রেজা ও কান্দি ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সদস্য আবদুস ছালাম আজাদ জুয়েল।

তবে কান্দি ইউনিয়নের আবদুস ছালাম আজাদ জুয়েল এই প্রতিনিধিকে বলেছেন, তিনি বিএনপি রাজনীতি করেন না। বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অন্নদানগর ইউনিয়নে সাবেক ইউনিয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ছাওলা ইউনিয়নে যুব দলের সাবেক সভাপতি শাহ মো. নুরে আলম ছিদ্দিকী ও কৈকুড়ী ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছাইদুল ইসলাম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির তিন বিদ্রোহী প্রার্থী দাবি করেছেন বিএনপি দলগতভাবে তাদের সমর্থন না দেয়ায় তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সেই সঙ্গে বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী তাদের সমর্থন দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তারা।

এক সময় পীরগাছা জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও আগামী ইউপি নির্বাচনে ৮ ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৪টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ইটাকুমারীতে ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম সোহেল, তাম্বুলপুর ইউনিয়নে উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম লাভলু, পীরগাছা ইউনিয়নে উপজেলা কমিটির সদস্য রঞ্জু আলম ও কৈকুড়ী ইউনিয়নে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নুর আলম চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অন্যদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কৈকুড়ী ইউনিয়নে বাবুল আক্তার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপরদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২টি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে তাম্বুলপুর ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামের উপজেলা আমির বজলুর রশিদ মুকুল ও কৈকুড়ী ইউনিয়নে উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা জামায়াতের আমির ও তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বজলুর রশীদ মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে বিএনপির সঙ্গে সমন্ময় করে নির্বাচন করছি। বিএনপি যে ৪টিতে প্রার্থী দিয়েছে সেখানে আমরা প্রার্থী দেইনি, অন্যদিকে আমরা যে দুটি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছি সেখানে বিএনপি কোন প্রার্থী দেয়নি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্বীকার করেন যে, পীরগাছায় বিএনপি ও জামায়াত জোট শক্তিশালী, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে ৬টি ইউনিয়নেই আমাদের প্রার্থীরা জয়ী হবে।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল মাহমুদ মিলনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন, বিএনপি জামায়াত বিভিন্ন নির্বাচনী সভাগুলোতে নিজেদের ২০ দলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছে এটা নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী। তারা যতই চালাকি করুক জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে পারুল ইউনিয়নে জাসদের একমাত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ দলীয় প্রতীক মশাল না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন ৬ ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছে। এর মধ্যে পীরগাছায় মাওলানা সাইফুল ইসলাম, অন্নদানগরে রিয়াজুল ইসলাম, তাম্বুলপুরে আবদুস ছামাদ, কান্দিতে আমির উদ্দিন, কৈকুড়ীতে হাফেজ আসাদুজ্জামান রানু ও ইটাকুমারীতে জাহিদুল ইসলাম হাত পাখা প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

অপরদিকে বাংলাদেশ কংগ্রেস ৪টি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়েছেন। পীরগাছায় শহিদুল ইসলাম, ইটাকুমারীতে আদম আলী, তাম্বুলপুরে শফিকুল ইসলাম ও কৈকুড়ী ইউনিয়নে হারুণ পাশা জাতীয় প্রতীক ডাব মার্কা প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।

উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে ৪৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ৩৪৮ জন সাধারণ সদস্য ও ১২৭ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে পীরগাছা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শোয়ায়েব হোসেন জানান উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৮১টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ১১৭টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২,৩৯,২৯৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১,১৭,৯৩৬ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১,২১,৩৬৩ জন।