গণসংহতি আন্দোলনের ৪র্থ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন

গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার ডাক

গণসংহতি আন্দোলনের ৪র্থ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত (কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘দুর্গমাগীরী, কান্তার মরু দুস্তার পারাবার’) জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরো, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম এবং গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

ড. কামাল হোসেন বলেন, এই সরকার জনগণের আস্থায় নাই, কিন্তু তারা জনগণের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে যাচ্ছে। জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে। আনুষ্ঠানিক ঐক্য নিয়ে মাঠে নামলেই জনগণ তাদের মতামত জানিয়ে দেবেন। সারাদেশে জেলায় জেলায় সংগঠিত হয়ে নামতে হবে। ইতোমধ্যে নামা শুরু হয়ে গেছে। রাজপথকে দখলে নিলেই মালিকানা আমরা ফিরে পাবো। এদেশের মালিকানাকে আত্মস্যাৎ করা হয়েছে। গণবিরোধী শক্তি সরকারে থেকে দেশকে দখল করে রেখেছে। তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে এবং জনগণের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। সেখান থেকেই হবে আসল পরিবর্তনের শুরু। ইতিহাসে আমরা দেখেছি জনগণ যখন ঐক্যবদ্ধ হয় তখন কোন শক্তিই তাকে হারাতে পারে না। জনগণের সেই ঐক্য গণসংহতি আন্দোলনের সম্মেলনেই সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করা যাবে না। একটি জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। কেননা আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে সমন্ত প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে ফেলেছে। আগামী ১ বছরের মধ্যে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘের অধিবেশনে গেছেন চার্টার বিমান করে এবং ব্যক্তিগত কাজে সেটিকে বসিয়ে রেখেছেন। এই অপচয়ের জবাব তাকে দিতে হবে। দেশে কোন নির্বাচন বলে কিছু নাই। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে, কিন্তু কোথাও জনগনের অংশগ্রহণ নাই। অতএব এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন সম্ভব নয়।

সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নাগরিকদের জন্য এর চাইতে বড় অমর্যাদা আর হতে পারে না। এর চাইতে বড় জবরদস্তি আর হতে পারে না।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

গণসংহতি আন্দোলনের ৪র্থ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন

গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার ডাক

প্রতিনিধি, ঢাবি

image

গণসংহতি আন্দোলনের ৪র্থ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধন হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত (কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘দুর্গমাগীরী, কান্তার মরু দুস্তার পারাবার’) জাতীয় পতাকা এবং দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরো, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম এবং গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

ড. কামাল হোসেন বলেন, এই সরকার জনগণের আস্থায় নাই, কিন্তু তারা জনগণের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করে যাচ্ছে। জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে। আনুষ্ঠানিক ঐক্য নিয়ে মাঠে নামলেই জনগণ তাদের মতামত জানিয়ে দেবেন। সারাদেশে জেলায় জেলায় সংগঠিত হয়ে নামতে হবে। ইতোমধ্যে নামা শুরু হয়ে গেছে। রাজপথকে দখলে নিলেই মালিকানা আমরা ফিরে পাবো। এদেশের মালিকানাকে আত্মস্যাৎ করা হয়েছে। গণবিরোধী শক্তি সরকারে থেকে দেশকে দখল করে রেখেছে। তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে এবং জনগণের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। সেখান থেকেই হবে আসল পরিবর্তনের শুরু। ইতিহাসে আমরা দেখেছি জনগণ যখন ঐক্যবদ্ধ হয় তখন কোন শক্তিই তাকে হারাতে পারে না। জনগণের সেই ঐক্য গণসংহতি আন্দোলনের সম্মেলনেই সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করা যাবে না। একটি জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। কেননা আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে সমন্ত প্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করে ফেলেছে। আগামী ১ বছরের মধ্যে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘের অধিবেশনে গেছেন চার্টার বিমান করে এবং ব্যক্তিগত কাজে সেটিকে বসিয়ে রেখেছেন। এই অপচয়ের জবাব তাকে দিতে হবে। দেশে কোন নির্বাচন বলে কিছু নাই। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে, কিন্তু কোথাও জনগনের অংশগ্রহণ নাই। অতএব এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন সম্ভব নয়।

সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নাগরিকদের জন্য এর চাইতে বড় অমর্যাদা আর হতে পারে না। এর চাইতে বড় জবরদস্তি আর হতে পারে না।