কলাগাছের সঙ্গে শত্রুতা

কলার বাগানে দুর্বৃত্তদের হানায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মো. মিরাজুল মণ্ডল। রাতের অন্ধকারে তার কলার বাগান কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের মো. মেছের আলী মণ্ডলের ছেলে মো. মিরাজুল মণ্ডল বলেন, পার্শ্ববর্তী বাবলু মৌলিকের কাছ থেকে এক পাখি (২২ শতাংশ) জমি লিজ নিয়ে সবরি কলার চাষ করে। সংসারের খরচ বাঁচিয়ে বাগান পরিচর্যা করে বেশকিছু গাছ সুন্দর করে গড়ে তোলেন।

গত রোববার পাশের ক্ষেতের চাষি বহরপুর ইউনিয়নের গোলারচরের মো, সাদেক আলীর ছেলে মো. জনাব আলীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় সে হুমকি দেয়। এর পাঁচদিন পর গতকাল সকালে মাঠে গিয়ে দেখেন তার কলাগাছগুলো শুয়ে পড়েছে। কাছে গিয়ে দেখতে পায় প্রতিটি গাছের গোড়া কাটা। হতাশ হয়ে পড়েন প্রান্তিক চাষি মিরাজুল মণ্ডল।

আশপাশের অনেকেই বলেন, মিরাজুল মণ্ডল রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলাবাগানে শ্রম দেয়। কে এমন ক্ষতি করলো তা খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা দরকার। আমরা জানি, এই সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এই কৃষকের যে ক্ষতি করেছে, সে রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছে। তার বিচার হওয়া দরকার। আর মাত্র এক থেকে দেড় মাস পর গাছগুলোতে কলা ধরবে। সেই ক্ষেতের ৮৫টি সবরি কলাগাছ কেটে অনেক বড় ক্ষতি করেছে। যে কেউ হোক না কেন এমন কর্মকাণ্ড করেছে, তার বিচার হওয়া দরকার।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

কলাগাছের সঙ্গে শত্রুতা

প্রতিনিধি, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী)

কলার বাগানে দুর্বৃত্তদের হানায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মো. মিরাজুল মণ্ডল। রাতের অন্ধকারে তার কলার বাগান কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাড়াদী গ্রামের মো. মেছের আলী মণ্ডলের ছেলে মো. মিরাজুল মণ্ডল বলেন, পার্শ্ববর্তী বাবলু মৌলিকের কাছ থেকে এক পাখি (২২ শতাংশ) জমি লিজ নিয়ে সবরি কলার চাষ করে। সংসারের খরচ বাঁচিয়ে বাগান পরিচর্যা করে বেশকিছু গাছ সুন্দর করে গড়ে তোলেন।

গত রোববার পাশের ক্ষেতের চাষি বহরপুর ইউনিয়নের গোলারচরের মো, সাদেক আলীর ছেলে মো. জনাব আলীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। সেই সময় সে হুমকি দেয়। এর পাঁচদিন পর গতকাল সকালে মাঠে গিয়ে দেখেন তার কলাগাছগুলো শুয়ে পড়েছে। কাছে গিয়ে দেখতে পায় প্রতিটি গাছের গোড়া কাটা। হতাশ হয়ে পড়েন প্রান্তিক চাষি মিরাজুল মণ্ডল।

আশপাশের অনেকেই বলেন, মিরাজুল মণ্ডল রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কলাবাগানে শ্রম দেয়। কে এমন ক্ষতি করলো তা খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা দরকার। আমরা জানি, এই সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এই কৃষকের যে ক্ষতি করেছে, সে রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছে। তার বিচার হওয়া দরকার। আর মাত্র এক থেকে দেড় মাস পর গাছগুলোতে কলা ধরবে। সেই ক্ষেতের ৮৫টি সবরি কলাগাছ কেটে অনেক বড় ক্ষতি করেছে। যে কেউ হোক না কেন এমন কর্মকাণ্ড করেছে, তার বিচার হওয়া দরকার।