লকডাউনে কাজ হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ -ন্যাপ

বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা বলেছেন, লকডাউনে কাজ হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। বেশিরভাগ কর্মজীবীর আয় কমেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রায় সব মানুষেরই নাভিশ্বাস উঠেছে জীবন চালাতে। সংসার চালাতে না পেরে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। তাই নিত্যপণ্যের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবন চরম সংকটে পড়বে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মতো জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, এই অবস্থায় সরকারের ব্যর্থতায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির চিন্তা জনগণকে আরও চাপে ফেলবে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করুন। বিবৃতিতে ন্যাপের নেতারা বলেন, খাদ্যমন্ত্রী জনগণকে ভাত কম খাবার উপদেশ দিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছেন। যা অত্যন্ত হাস্যকর। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ ও আলুর মূল্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও সেখানেও স্বস্তি নেই।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, জীবন চালাতে ধার-কর্য করছে প্রতিনিয়ত নিম্নমধ্যবিত্তরা। এমন অবস্থায় তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে তেল পাচারের শঙ্কার অজুহাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সরকারি চিন্তা জনবিরোধী। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হলে জনজীবনে মারাত্মক চাপ পড়বে।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

লকডাউনে কাজ হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ -ন্যাপ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা বলেছেন, লকডাউনে কাজ হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। বেশিরভাগ কর্মজীবীর আয় কমেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রায় সব মানুষেরই নাভিশ্বাস উঠেছে জীবন চালাতে। সংসার চালাতে না পেরে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। তাই নিত্যপণ্যের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবন চরম সংকটে পড়বে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মতো জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, এই অবস্থায় সরকারের ব্যর্থতায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে কষ্ট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির চিন্তা জনগণকে আরও চাপে ফেলবে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করুন। বিবৃতিতে ন্যাপের নেতারা বলেন, খাদ্যমন্ত্রী জনগণকে ভাত কম খাবার উপদেশ দিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছেন। যা অত্যন্ত হাস্যকর। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ ও আলুর মূল্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও সেখানেও স্বস্তি নেই।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, জীবন চালাতে ধার-কর্য করছে প্রতিনিয়ত নিম্নমধ্যবিত্তরা। এমন অবস্থায় তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে তেল পাচারের শঙ্কার অজুহাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সরকারি চিন্তা জনবিরোধী। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হলে জনজীবনে মারাত্মক চাপ পড়বে।