টটেনহ্যাম পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেই ম্যানইউ কোচ বিদায়!

লিভারপুলের কাছে নিজেদের মাঠে ৫-০ গোলে পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ ওলে গানার সোলসারের চাকরি সাময়িকভাবে বেঁচে গেছে। তিনি রোববার টাচ লাইনের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষের ম্যাচেও। দল খারাপ খেলায় কোচ নিঃসন্দেহে বেশ চাপের মধ্যে আছেন। তবে একই কারণে চাপের মধ্যে আছেন দলের তারকা খেলোয়াড়রাও। তারকা খেলোয়াড়দেরও দায় আছে ভালো খেলার ক্ষেত্রে। নিজেদের সুনাম ধরে রাখার দায়িত্ব তাদেরও।

সোলাসার প্রায় তিন বছর ধরে ম্যানইউর কোচের দায়িত্বে আছেন। কোচ হিসেবে সবচেয়ে খারাপ সময়ই পার করছেন তিনি। তার অধীনে এত খারাপ আর খেলেনি ম্যানইউ। ম্যানইউ তাদের শেষ চার ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে ড্র করতে পেরেছে। তারা ৯ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা চেলসির চেয়ে আট পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে। আশা করা হয়েছিল ২০১৩ সালের পর ম্যানইউ এবার শিরোপার লড়াইয়ে থাকবে। কিন্তু তারা ইতোমধ্যেই সেখান থেকে ছিটকে গেছে। চেলসি, লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটি আছে শিরোপার লড়াইয়ে।

ম্যানইউর এখনকার লক্ষ্য শীর্ষ চার এ থাকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হলে কি হয় তা খুব ভালোভাবে জানেন ডেভিড ময়েস এবং লুইস ফন গাল। ব্যর্থতার দায়ে তাদের চাকরি গিয়েছিল।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, রাফায়েল ভারানে এবং জ্যাডন স্যানচোর মতো খেলোয়াড় দলে থাকা সত্ত্বেও ম্যানইউর ভাল করতে না পারাটা বিস্ময়কর। এর মধ্যে রোনালদো ৯ ম্যাচে ৬ গোল করে দেখিয়েছেন কেন তাকে দলে দরকার। তবে রোনালদো দলে থাকায় এডিসন কাভানি সুযোগ পাচ্ছেন না। তিনি আবার রক্ষণেও বেশ সহায়তা করতে পারতেন।

সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সানচো। তিনি ১১টি ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত কোন গোল করতে পারেননি। এমনকি কোন গোলে সহায়তাও করতে পারেননি। এমনকি যাদের ওপর সোলসার অনেক নির্ভর করতেন তারাও ব্যর্থ হচ্ছেন।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১ , ১৪ কার্তিক ১৪২৮ ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৩

টটেনহ্যাম পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেই ম্যানইউ কোচ বিদায়!

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

লিভারপুলের কাছে নিজেদের মাঠে ৫-০ গোলে পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ ওলে গানার সোলসারের চাকরি সাময়িকভাবে বেঁচে গেছে। তিনি রোববার টাচ লাইনের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষের ম্যাচেও। দল খারাপ খেলায় কোচ নিঃসন্দেহে বেশ চাপের মধ্যে আছেন। তবে একই কারণে চাপের মধ্যে আছেন দলের তারকা খেলোয়াড়রাও। তারকা খেলোয়াড়দেরও দায় আছে ভালো খেলার ক্ষেত্রে। নিজেদের সুনাম ধরে রাখার দায়িত্ব তাদেরও।

সোলাসার প্রায় তিন বছর ধরে ম্যানইউর কোচের দায়িত্বে আছেন। কোচ হিসেবে সবচেয়ে খারাপ সময়ই পার করছেন তিনি। তার অধীনে এত খারাপ আর খেলেনি ম্যানইউ। ম্যানইউ তাদের শেষ চার ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে ড্র করতে পেরেছে। তারা ৯ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা চেলসির চেয়ে আট পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে। আশা করা হয়েছিল ২০১৩ সালের পর ম্যানইউ এবার শিরোপার লড়াইয়ে থাকবে। কিন্তু তারা ইতোমধ্যেই সেখান থেকে ছিটকে গেছে। চেলসি, লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটি আছে শিরোপার লড়াইয়ে।

ম্যানইউর এখনকার লক্ষ্য শীর্ষ চার এ থাকার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হলে কি হয় তা খুব ভালোভাবে জানেন ডেভিড ময়েস এবং লুইস ফন গাল। ব্যর্থতার দায়ে তাদের চাকরি গিয়েছিল।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, রাফায়েল ভারানে এবং জ্যাডন স্যানচোর মতো খেলোয়াড় দলে থাকা সত্ত্বেও ম্যানইউর ভাল করতে না পারাটা বিস্ময়কর। এর মধ্যে রোনালদো ৯ ম্যাচে ৬ গোল করে দেখিয়েছেন কেন তাকে দলে দরকার। তবে রোনালদো দলে থাকায় এডিসন কাভানি সুযোগ পাচ্ছেন না। তিনি আবার রক্ষণেও বেশ সহায়তা করতে পারতেন।

সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সানচো। তিনি ১১টি ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত কোন গোল করতে পারেননি। এমনকি কোন গোলে সহায়তাও করতে পারেননি। এমনকি যাদের ওপর সোলসার অনেক নির্ভর করতেন তারাও ব্যর্থ হচ্ছেন।